বাবার সাথে নৌকা করে হাঁটে যাওয়া স্মৃতিময় গল্প // পর্ব-৩

in আমার বাংলা ব্লগlast year

আসসালামু-আলাইকুম/আদাব।

হ্যালো বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।হ্যাঁ, আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @mohamad786 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের সিরাজগঞ্জ জেলায় বাস করি।আমির সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজে অধ্যায়নরত আছি।

আমাদের প্রত্যেকের জীবনে বাবাদের অবদান অনেক বেশি। আর বাবা ছাড়া যেন আমরা উঠে দাঁড়াতে পারি না। তাই বাবাদের সাথে আমাদের জীবনে অনেক গল্প জড়িয়ে রয়েছে। সেই গল্পগুলো যেন স্মৃতি পাতায় জমা রয়েছে। তো বাবার সাথে হাটে যাওয়ার গল্পের আজকে তৃতীয় পর্ব নিয়ে আসলাম। এই তৃতীয় পর্বটি পড়ে আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে। আসলে বাবার সাথে নৌকায় করে হাটে যাওয়ার সেই দিনগুলো যেন এখন চোখের সামনে ভাসে। যদি ফিরে পেতাম সেই দিনগুলো কতই না মজা হতো। তো বন্ধুরা চলুন আজকে তৃতীয় পর্বের মাধ্যমে আপনাদের সাথে শেয়ার করি স্মৃতিময় সেই গল্পটি।

ship-gb6fe1f16d_1280.jpg

source

তো আমাদের নৌকাটি যখন হাটের ঘাটে এসে থামল। তখন আমি নৌকা থেকে নামলাম, নেমে আমার বন্ধুর সাথে দেখা হল। বন্ধুর হাত ধরে এবং বাবার সাথে হাটের ভিতরে আসলাম। আর হাটের ভিতরে অনেক বড় একটি বটগাছ রয়েছে। সেই বটগাছের নিচে আমি আর আমার বন্ধু বসে থাকলাম এবং বাবা আর বন্ধুর বাবা দুজন বাজার করতে গেল এবং তারা আমাদের জন্য জেলাপি কিনে নিয়ে এসেছিল। তারা বলল যে তোমরা বট গাছের নিচে বসে থাকো, আর জিলাপি খাওয়া শুরু করে দাও। আসলে বট গাছের নিচে বসে থাকতে পেরে খুবই ভালো লাগছিল। তবে গরম গরম জেলাপি আমার খুবি প্রিয় ছিলো।


আসলে বাবার সাথে হাঁটে গেলেই এই বট গাছের নিচে আমাকে বসিয়ে রাখত। আর রহিম চাচার গুড়ের জিলাপি আমাকে খেতে দিত। আসলে রহিম চাচার গরম গুড়ের জিলাপি খেতেও খুবই মজাদার ছিল। তাই আমারও যেন এই জেলাপির প্রতি একটা অন্যরকম নেশা ছিল। তো আমরা দুই বন্ধু গুড়ের জিলাপি খেতে লাগলাম। আর গল্প করতে লাগলাম, এরই মধ্যে আমার বন্ধু বলল যে আমি একটু ওই দিক থেকে ঘুরে আসি।


woman-gb7a8cf8da_1280.jpg

source

আমি বললাম বন্ধু তুমি একা যেও না। বাবারা এখানে আমাদের বসিয়ে রেখেছে। যদি এসে আমাদের না পায়, তাহলে অনেক কষ্ট পাবে। আর হাটের মধ্যে যদি আমরা হেরে যাই তাহলে আমাদের আর খুঁজে পাবে না। বন্ধু কথা শুনল না সে চলে গেল কবুতরের হাটে। কবুতরের হাটে গিয়ে, হাটের পাশে নাকি একটি কবুতর পেয়ে ছিলো, আর বন্ধু অনেক সময় হয়ে গেলো তাও আসলো না, এই কবুতরটি ধরার জন্য সে অনেক দৌড়াদৌড়ি করেছে। আর আমি একা একা তখন অনেক কষ্ট পাচ্ছিলাম, কারণ একা একা বসে থাকা খুবই কষ্টকর। আর বোট গাছের নিচে একা একা বসে থাকা যেন আমার খুবই খারাপ লাগতেছিল। বাবাও সহজে আসতে ছিল না। আমার যেন এখন কান্না পাচ্ছিল, কি করব বুঝতেছিলাম না।তারে কিছুক্ষণ পরেই দেখতে পেলাম বন্ধু একটি খুবই সুন্দর কবুতরের বাচ্চা ধরে নিয়ে আমার কাছে আসলো। বলল বন্ধু এই কবুতরের বাচ্চাটি আমি ধরেছি। আমি বললাম তুমি কি হাটের ভিতর থেকে চুরি করেছো।যদি এই কবুতরের বাচ্চা চুরি করে নিয়ে আসো তাহলে ফেরত দিয়ে আসো। বন্ধু বলে না এটি চুরি করে নিয়ে,কবুতরের হাটের পাশেই একটি ফুলের বাগান ছিল, সেই ফুলের বাগানের পাশে দেখতে পেলাম এই বাচ্চাটি। আর বাচ্চাটি অনেক ছোট, সে উঠতে পারেনা। তবে আমি খুব কষ্টেই কবিতারের বাচ্চাটি ধরে নিয়ে এসেছি। ওখানকার কেউ আমাকে কিছু বলল না। যদি তাদের হতো তাহলে তো আমাকে নিয়ে আসতে দিত না। বন্ধুর কবুতরের বাচ্চাটি দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো। খুবি সুন্দর দেখতে ছিলো। আমরা দুজন মিলে এই কবুতরকে হাটের ভিতর থেকে সরিষা নিলাম।আর এই সরিষা নিয়ে এসে কবুতরটিকে খাওয়াচ্ছিলাম। সত্যি সেই মুহূর্তটা অনেক আনন্দের ছিল।


দুই বন্ধু মিলে কবুতরের সাথে অনেক আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করতে ছিলাম। সত্যি কবুতরটি দেখে যেন আমারও কবুতর কেনার একটা ইচ্ছা জাগতেছিল। তখন দেখতে পেলাম বাবা বাজার করে নিয়ে আসছে। আর বাবার কাছে আমি বাইনা করব কবুতর কেনার মনের মধ্যে আমার পরিকল্পনা ছিল। তো বন্ধুরা আশা করছি পরবর্তী অংশে আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার কি মনের চাওয়া ছিল। আশা করছি পরবর্তী পর্বটি আপনাদের মাঝে আরো আকর্ষণীয় হবে।

আজ এখানেই শেষ করছি। আবারো অন্য কোনদিন ভিন্ন কোনো কন্টেট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। ততক্ষন পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, এই দোয়া রইল। আল্লাহ হাফেজ।🙏🤲🙏

banner-abbVD.png

আমার পরিচয়

IMG_20220525_014109.jpg

আমার নাম মোঃ ফয়সাল আহমেদ ।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবসি ।আমি সর্বদাই গরীব-দুঃখীদের সেবায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং নতুন সৃজনশীলতার মাধ্যমে কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে।

Amar_Bangla_Blog_logo_png.png

👉বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺

Sort:  
 last year 

বাবার সাথে নৌকা করে হাঁটে যাওয়া স্মৃতিময় গল্পের আজকের পর্ব পড়ে ভালো লাগলো। আপনার জীবনে ঘটে যাওয়া অনেক সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার অনুভূতিগুলো পড়ে সত্যিই বেশ ভালো লাগলো। আসলে কিছু কিছু অনুভূতি আছে যে গুলো হৃদয় ছুয়ে যায়। আগামী পর্বের জন্য অপেক্ষা রইলাম ভাই। ধন্যবাদ এত চমৎকার গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

নৌকা ভ্রমণের সেই স্মৃতিময় গল্পটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আসলে হাটে গিয়ে আপনারা অনেক মজা করেছেন। আপনার গল্পটির মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন, সেই স্মৃতিময় গল্পটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.15
JST 0.029
BTC 56949.15
ETH 2401.26
USDT 1.00
SBD 2.33