বাবার সাথে নৌকা করে হাঁটে যাওয়া স্মৃতিময় গল্প // পর্ব-২
বর্ষাকালে বাবার সাথে নৌকায় করে হাটে যাওয়া সেই মুহূর্তগুলো সত্যিই অসাধারণ ছিল। আসলে নৌকায় করে হাটে যাওয়া অনেক আনন্দময় ছিল। গ্রামের মানুষ একসাথে নৌকায় করে হাটে যেতাম। আর সেই মুহূর্তগুলো আনন্দের সাথে উপভোগ করতাম। নদীর বুকে যখন নৌকা ভ্রমন করতাম আরও অনেক নৌকা একসাথে হাটের দিকে রওনা দিতেও সত্যিই সেই মুহূর্তগুলো যেন আনন্দের ছিলো। এখন আর আগের মত নৌকায় করে হাটে যাওয়া হয় না। তাই সেই দিনগুলো খুবই মিস করি। তো বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের মাঝে বাবার সাথে নৌকায় করে হাটে যাওয়ার স্মৃতিময় গল্পের দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে এসেছি, আশা করছি দ্বিতীয় পর্ব পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
নৌকা যখন হাটে যাওয়ার উদ্দেশ্যে আমাদের নৌকাটি নদীর বুকে চলতেছিল, তখন খুবই ভালো লাগতেছিল। তবে আমাদের নৌকাতে একটি গরু উঠানো হয়েছিল। আর ওই গরুটির জন্য আমি একটু ভয় পাচ্ছিলামম তারপর এই গরুটির পাশ দিয়ে যখন নৌকার মাঝি আসতেছিল, নৌকার মাঝিকে গরুটি গুতা দেয় আর নৌকার মাঝি নদীতে পড়ে যায়। তারপরে আমাদের নৌকাটি আবার ঘুরে এসে মাঝেকে তুলতে যায়ম এবং মাঝিকে যখন তুলতে নৌকা ঘুরানো হলো। তখন দেখতে পেলাম মাঝব অনেকটাই নার্ভাস হয়ে গিয়েছে। কররণ পুরো নদীর মধ্যে সে অনেকক্ষণ সাঁতার কেটেছিল। তারপরে সবাই ধরে তাকে নৌকায় উঠানো হলো এবং উঠানোর পরে তাকে নৌকাতে শুয়ে দেওয়া হলো এবং সে অনেক ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিল।
তারপরে নৌকাতে থাকা সকল এই সেই গরুওয়ালাকে অনেক বকাবকি করতে লাগলো। বলল যে এরকম গরু তুমি একা কিভাবে হাটে নিয়ে আসলে। তোমার সাথে তোমার ছেলে কিংবা ভাইকে সাথে নিয়ে আসতে পারোনি। লোকটা অনেকটাই ভয় পেয়ে গিয়েছিল। আসলে এখানে ভয় পাওয়ার কথা। যদি নৌকার মাঝিকে গুতা না মেরে অন্য কাউকে মারতো, তাহলে সে হয়তো এই নদীর বুকে অনেকটাই বিপদজনক হয়ে যেত। তাকে উদ্ধার করতে করতে এসে অনেকটাই বিপদের মুখে পড়ে যেত। আমিও অনেক ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। বাবা তখনই আমাকে নিয়ে নৌকার অন্য পাশে চলে গেল। যেখানে গরুর আরে দেখতে পাবে না। তখন আমার বাবার হাত ধরে থাকলাম।
তারপরে আবারও আমাদের নৌকা হাটের উদ্দেশ্যে রওনা দিল। আর হাটের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার সেই মুহূর্তটা অনেক ভালো লেগেছে। কারণ আমাদের সাথে আরো একটি নৌকা ছিল। সেই নৌকাটি অনেক মানুষ নিয়ে হাটের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল। সেই নৌকাতে আমার বন্ধু এবং বন্ধুর বাবাও যাচ্ছিল। আমি এই নৌকা থেকে চিৎকার করে আমার বন্ধুর বন্ধুকে ডাক দিলাম। বন্ধু আমার ডাকে সাড়া দিল। বললো যে হাটে ঘাটে এসে নামলে আমি তোর সাথে দেখা করব। তখন আমাদের নৌকা অনেক স্পিডে চলতেছিল। তারপরে আস্তে আস্তে আমরা আমাদের হাটের ঘাটে এসে নামলাম। আর ঘাটে এসে নামার পর অন্যরকম একটা শান্তি খুঁজে পেলাম।
আজ এখানেই শেষ করছি। আবারো অন্য কোনদিন ভিন্ন কোনো কন্টেট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। ততক্ষন পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, এই দোয়া রইল। আল্লাহ হাফেজ।🙏🤲🙏
আমার নাম মোঃ ফয়সাল আহমেদ ।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবসি ।আমি সর্বদাই গরীব-দুঃখীদের সেবায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং নতুন সৃজনশীলতার মাধ্যমে কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে।
👉বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺
আপনি তো ভাই একদম ছোটকাল থেকেই নৌকায় চড়ে হাটেবাজারে গেছেন, নদীর বুকে ভেসেছেন কিন্তু আমাদের এদিকে তেমন নদী নেই বললেই চলে। যার জন্য আজও সেভাবে নৌকায় চড়া হয়নি।
নৌকায় চড়ে হাটে বাজারে যাওয়ার মজাই অন্যরকম। এই গল্পের প্রথম পর্বটি আগে আমার পড়া ছিল না এই জন্য দ্বিতীয় পর্বটা বুঝতে একটু কষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। যাই হোক প্রথম পর্ব পড়ে তার পরে দ্বিতীয় পর্বটি পড়লাম এই জন্য ঘটনাটি বুঝতে পারলাম । আপনার এই স্মৃতিময় গল্পটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো ভাই। ধন্যবাদ এরকম একটি ঘটনা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।