রাসেল পার্কে ভ্রমণ এবং ফটোগ্রাফি// শেষ-পর্ব

in আমার বাংলা ব্লগlast year

আসসালামু-আলাইকুম/আদাব।

হ্যালো বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।হ্যাঁ, আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @mohamad786 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের সিরাজগঞ্জ জেলায় বাস করি।আমির সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজে অধ্যায়নরত আছি।

নদীর পারে গড়ে ওঠা রাসেল পার্কের অপরূপ সুন্দর মুহূর্তের সেই দৃশ্যগুলোর ভ্রমণ করে ফটোগ্রাফি করেছিলাম। আর এই মুহূর্তগুলো সত্যি আমার খুবই ভালো লেগেছে, আসলে সিরাজগঞ্জ এই রাসেল পার্কটি আমাদের জন্য খুবই উপকারী। কারণ এই রাসেল পার্কে শিশুদের বেড়ে ওঠার জন্য নানা রকমের খেলাধুলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর এই খেলাধুলার মাধ্যমে তারা তাদের নিজেদের সাথে অন্য শিশুদের পরিচয় যেমন হচ্ছে। তেমনি তাদের বেড়ে ওঠার পেছনে অনেক বড় অবদান রাখছেম এখানে শিক্ষামূলক হিসেবে অনেক পশু পাখির ভাস্কর্য রয়েছে মযেগুলো শিশুরা ভ্রমণের মাধ্যমে এসব পশু পাখির সম্পর্কে সঠিক ধারণা এবং জ্ঞান অর্জন করতে পারছে। তাই শিশুদের বেড়ে ওঠার জন্য এই রাসেল পার্ক অনেক উপকারী। তাই রাসেলপারকে ভ্রমণ করেছিলাম, সেই ভ্রমণের ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। আজকে শেষ পর্বের ফটোগ্রাফি নিয়ে এসেছি। আশা করছি শেষ পর্বের ফটোগ্রাফি দেখে ভালো লাগবে।


IMG_20230609_214644.jpg

IMG_20230609_214542.jpg

location

রাসেল পার্কে গেট দিয়ে প্রবেশের পরেই সুন্দর একটি পরীর ভাস্কর্য রয়েছে। সত্যি এই পরীর ভাস্কর্যটি দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেছি। এটি অনেক সুন্দর সাদা পরী আর এই পরীর বিকেলবেলা ঝরনা বয়। ঝর্ণার মাঝে যেন অপরূপ সৌন্দর্যময় দৃশ্য এবং তার সাথে সাদা বকের ভাস্কর্য, সত্যিই অসাধারণ ছিল সেই মুহূর্তগুলো।


IMG_20230609_214655.jpg

IMG_20230609_214614.jpg

location

রাসেল পার্কের এই সৌন্দর্যময় ভাস্কর্যের পাশ দিয়ে আমি হেঁটে যাচ্ছিলাম। হেঁটে যাওয়ার পথে দেখতে পেলাম অপরূপ সৌন্দর্যময় ফুলের দৃশ্য। সত্যি ওই ফুলের দৃশ্যগুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। তার সাথে যেন ভাস্কর্যগুলো ছিল পশু পাখির ভাস্কর্য, বিশেষ করে এই ফুলের দৃশ্যটি আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে তাই ফটোগ্রাফি করে।


IMG_20230609_214627.jpg

IMG_20230609_214512.jpg

location

এই রাসেল পার্কের পরিবেশ যেন সাজানো গোছালো। খুবই সুন্দর ভাবে পরিকল্পনা করে এই পার্ক তৈরি করা হয়েছে। কি সুন্দর ভাবে ভাস্কর্যগুলো তৈরি করা হয়েছে। পশু পাখির ভাস্কর এবং ফুলগুলো অন্যরকম ভাবে সাজানো ছিলো। পার্কটির পরিবেশ আমার খুবই ভালো লেগেছে। আর পার্কের ভিতর কিছু মুহূর্ত উপভোগ করতে আরো বেশি ভালো লেগেছে। পার্কের ভিতরে সাজানো-গোছালো দৃশ্যগুলো দেখে শিশুরা যেন আরো আনন্দিত হয় ।


IMG_20230609_214456.jpg

location

পার্কের ভেতরে অনেক ফুলের গাছ রয়েছে। এই ফুলের গাছগুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। তবে একটি ফুলের গাছ আমি দেখতে পেলাম এটি শুধু ফুলের গাছ নয়। এটি ঔষধ গাছও। তাই এই গাছটির গুণাগুণ আমার জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। এটি আমাদের জন্য অনেক উপকারী, নানা রকম অসুখের কাজ করা হয়। সত্যি এই ফুলের গাছগুলো দেখে খুবি ভালো লেগেছে আমার।


Uploading image #8...

IMG_20230609_214528.jpg

location

পার্কের ভিতর এই ভাস্কর্যটি আমার সবচাইতে বেশি ভালো লেগেছে। একটি হনুমান কাঁঠাল নিয়ে বসে আছে। সত্যি এটি দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি আনন্দময়। তারপরে দেখতে পেলাম একটি ঘোড়া যেন পা উপরের দিকে উঠে রয়েছে। এই ঘোড়াটির ভাস্কর্য আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে। মোট কথা পার্কের ভিতর প্রত্যেকটা পশু পাখির ভাস্কর্য। অসাধারণ দক্ষতার সাথে এটি তৈরি করেছিলো।


যমুনা নদীর পাড়ে গড়ে ওঠা রাসেল পার্কে অপরূপ সৌন্দর্যময় মুহূর্তগুলো উপভোগ করতে পেরে খুবই ভালো লেগেছে। সিরাজগঞ্জের শিশুদের জন্য এই পার্কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের বেড়ে ওঠার পেছনে পার্কটি নানা রকম অবদান রাখছে। তাই এই পার্কের ভিতর ভ্রমণ এবং সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। আজকে শেষ পর্বের ফটোগ্রাফি শেয়ার করতে পেরে অনেক বেশি ভালো লাগছে। আশা করছি সিরাজগঞ্জের রাসেল পার্কের দৃশ্যগুলো আপনাদের ভালো লাগবে।


আজ এখানেই শেষ করছি। অন্য কোন একদিন ভিন্ন ধরনের কনটেন্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। ততক্ষন পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।

New_Benner_ABB.png

standard_Discord_Zip.gif

ফোনের বিবরণ

ক্যামেরারেডমি নোট ৬ প্রো
ধরণফটোগ্রাফি
ক্যমেরা মডেলনোট ৬ প্রো
ক্যাপচার@mohamad786
অবস্থানসিরাজগঞ্জ- বাংলাদেশ

IMG_20220404_165348.jpg

আমার পরিচয়

IMG_20220525_014109.jpg

আমার নাম মোঃ ফয়সাল আহমেদ ।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবসি ।আমি সর্বদাই গরীব-দুঃখীদের সেবায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং নতুন সৃজনশীলতার মাধ্যমে কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে।

Amar_Bangla_Blog_logo_png.png

👉বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺

Sort:  
 last year 

রাসেল পার্কে বেশ ভালোই ঘোরাঘুরি করেছিলেন এবং রাসেল পার্কে ঘোরাঘুরি করার শেষ পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন দেখে ভীষণ ভালো লাগলো আমার কাছে। এরকম জায়গাগুলোতে ঘোরাঘুরি করতে সত্যি অনেক বেশি ভালো লাগে। রাসেল পার্কের সৌন্দর্য সত্যি একেবারে মনোমুগ্ধকর। ছোট বাচ্চারা এরকম পার্ক গুলোতে যেতে খুব ভালোবাসে। যাইহোক ভালো লাগলো ঘোরাঘুরি করার সম্পূর্ণ পোস্টটা আমার কাছে।

 last year 

রাসেল পার্কের ভিতরে খুবই সুন্দর দৃশ্য গুলোর ফটোগ্রাফি করেছেন। আসলে শিশুদের বেড়ে ওঠার জন্য এই রাসেল পার্ক অনেক বড় ধরনের অবদান রাখছে। তাই ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগলো।

 last year 

রাসেল পার্ক ভ্রমণের শেষ পর্বে আপনি অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। বিশেষ করে মাটি দিয়ে বানানো বিভিন্ন ধরনের প্রাণীর ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ লাগছে।।

 last year 

যমুনা নদীর পাড়ে অসাধারণ এই রাসেল পার্কে ঘুরে আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুবই ভালো লাগলো। একদম ঠিক কথা বলেছেন আপনি শিশুদের বেড়ে ওঠার পেছনে এই পার্কের অবদান রয়েছে। আশেপাশে যদি একটা পার্ক থাকে তাহলে সেখানে বাচ্চাদের খেলাধুলার এবং অনেক শিক্ষামূলক বিষয় জানতে পারে। পার্কের মাধ্যমে সিরাজগঞ্জে বাচ্চাদের অনেক বেশি উপকার হচ্ছে সেটা একদমই ঠিক কথা বলেছেন। আমার কাছে ওই পরীর ভাস্কর্যটি খুবই সুন্দর লেগেছে। আশা করছি রাসেল পার্কে ঘোরাঘুরি করে খুব ভালো সময় কাটিয়েছেন আপনি। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

 last year 

ভ্রমন করলে শিশুদের মন মানসিকতা ভালো থাকে এবং সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পায়।
রাসেল পার্কটা সুন্দর তবে লোক সমাগম কম মনে হয়েছে আমার কাছে। যাক অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই চমৎকার পোস্টটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।

 last year 

ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন রাসেল পার্কে ভ্রমণ এবং ফটোগ্রাফি। আসলে ভাই এইসব জায়গা ভ্রমণ করলে এমনিতেই মন মানসিকতা অনেক ভালো থাকে। পার্কের ভিতরের ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট তৈরি করে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

নদীর পাড়ে গড়ে ওঠা রাসেল মার্কের পরিবেশটা আমার কাছে খুবই মনোরম মনে হচ্ছে। একই সাথে রাসেল পার্কের অসাধারণ সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। খুবই সুন্দর একটি পার্ক ভ্রমণ করে তার ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 last year 

রাসেল পার্কের পরিবেশ দেখতেও অনেক সুন্দর লাগতেছে। এসব পার্কের শিশুদের জন্য অনেক ধরনের খেলনা এবং বিনোদনমূলক কিছু জিনিস রাখে ।যেগুলো কারণে বাচ্চাগুলো তাদের খেলাধুলা এবং শিক্ষা লাভ করতে পারে। আপনার ফটোগ্রাফির মধ্যে বোঝা যাচ্ছে রাসেল পার্ক অনেক চমৎকার। অনেক সুন্দর করে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

রাসেল পার্কে ভ্রমণ এবং ফটোগ্রাফি করার শেষ পর্ব শেয়ার করলেন দেখে ভালো লাগলো। সিরাজগঞ্জ এই রাসেল পার্কটি সত্যি সবার জন্য অনেক উপকারী। আর ছোট ছোট বাচ্চারা এরকম পার্কের কারনে খুবই ভালোভাবে বেড়ে উঠতে পারে। আর বাচ্চাদেরকে নিয়ে পার্কে যাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যাই হোক আপনি খুব ভালো ঘোরাঘুরি করেছিলেন, বেশ ভালোই উপভোগ করলাম আপনার ঘোরাঘুরি করার মুহূর্তটা পড়ে।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.031
BTC 62209.21
ETH 2436.43
USDT 1.00
SBD 2.66