আমাদের গ্রামে একটি মাদ্রাসা রয়েছে। আর এই মাদ্রাসার উন্নয়নের জন্য প্রতিবছরই মাহফিলের আয়োজন করা হয়। আর এই মাহফিল অনেক বড় ভাবে আয়োজন করা হয়। যার কারণে এখানে অনেক দূর দূরান্ত থেকে মানুষ আসে। আর এই মাহফিল উপলক্ষে প্রতি বছরই মেলার আয়োজন করা হয়। মাহফিল থেকে অনেকটাই দূরে এই মেলার আয়োজন করা হয়। আর এই মেলাতে অনেকেই আসে আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করার জন্য। গ্রামের মানুষ যেন একটি উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্যে দিয়ে এই দিনগুলো পালন করে। তাই এবারও মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। আসলে মাহফিলকে কেন্দ্র করে মেলার আয়োজন করা হয়েছে।আর এই মেলার আয়োজন অনেক সুন্দর ভাবে করেছে। যার মাধ্যমে আজকে আমি সেই মেলার কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে আসলাম।

মাহফিল থেকে অনেকটাই দূরে একটা স্কুল রয়েছে। এই স্কুলের মাঠে মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে। এবারও সেই স্কুল মাঠে মেলার আয়োজন করা হয়েছে। আর এই স্কুলটি রাস্তার পাশেই ছিল। আর এখানে অনেক সুন্দর ভাবে আয়োজন করেছে। বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের জন্য খেলাধুলার ব্যবস্থা রয়েছে। আর আমি এই মাহফিলে দেখার জন্য এসেছি। তবে মাহফিলে আসার আগেই আমি মেলাতে গিয়ে কিছু মুহূর্ত উপভোগ করলাম। কারণ মেলাতে আমার অনেক বন্ধু রয়েছে। তাদের সাথে কিছু মুহূর্ত উপভোগ করার জন্য।

মেলাতে প্রবেশ করেই দেখতে পেলাম রাস্তার পাশে এক বৃদ্ধ চাচা সে পাপড় তৈরি করছে। আসলে পাপড় ভাজছে আর এই পাপড় ভাজা দেখতে পেয়ে খেতে ইচ্ছা করল। আসলে মেলাতে আগে আসলেই পাপড় ভাজা খেতাম। তাই সে তেলে ভাজা এই দৃশ্যটি দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো। তাই সেই মুহূর্তটি ফটোগ্রাফি করে আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।

ছোট বাচ্চাদের খেলাধুলার জন্য এই মেলাতে নাগরদোলার ব্যবস্থা করা হয়। আর ছোট বাচ্চারা এখানে আনন্দের সাথে খেলাধুলা করে। তাই ছোট বাচ্চাদের খেলাধুলার দৃশ্যটি দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। আসলে মেলার মুহূর্তগুলো আনন্দ দেওয়ার জন্য।বাচ্চাদের এই আনন্দের দৃশ্য দেখতে পেয়ে আমার খুবই ভালো লাগলো।

এখন যেহেতু শীত পড়েছে।তাই মেলাতে শীতের পিঠার আয়োজন করেছে। তাই মেলাতে দেখতে পেলাম শীতের পিঠা বানানো শুরু করে দিয়েছে। আর অনেকেই এই শীতের পিঠা খাওয়াও শুরু করে দিয়েছে। গরম গরম শীতের পিঠা খেতে খুবই মজা। তাই শীতের পিঠা বানানো হচ্ছে সেই দৃশ্য দেখতে পেলাম আর মেলাতে ঝুড়ি বিক্রি হয়েছে সেই দৃশ্য দেখে ফটোগ্রাফি করলাম।

ছোট বাচ্চাদের অনেক ধরনের খেলনা বিক্রি করতে দেখতে পেলাম। তারপরে এক বৃদ্ধ চাচার দোকানে গেলাম, তাকে কেন যেন চেনা চেনা মনে হচ্ছিলো। তাকে আমি জিজ্ঞেস করলাম আপনাকে আগে কোথাও দেখেছি। সে বলল এই মেলাতে নাকি সে পাঁচ বছর হলো আসে। মানে প্রতি বছরই সে এই মেলাতে আসে। তাই হয়তো সে চেনা চেনা লাগছে। তার সাথে কথা বলে খুবই ভালো লাগলো এবং তার কাছ থেকে একটা ছোট খেলনা কিনলাম।

মাহফিল উপলক্ষে এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে।তাই মেলাতে অনেক মুহূর্ত উপভোগ করলাম। ভালই লাগলো মেলার মুহূর্তগুলো। তাই ফটোগ্রাফি করে আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম এবং এই মেলার মুহূর্ত কাটিয়ে মাহফিলের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। মাহফিলের গেট দেখতে পেয়েছিলাম এবং হেঁটে হেঁটে আমি মাহফিলের ভিতরে প্রবেশ করলাম। তো বন্ধুরা আশা করছি আজকের এই ফটোগ্রাফি গুলো ভালো লাগবে।

প্রত্যেকটা ছবি তোলার লোকেশন এবং ডিভাইসের নামঃ

Location
Device:Poco X2

আজ এখানেই শেষ করছি। অন্য কোন একদিন ভিন্ন ধরনের কনটেন্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। ততক্ষন পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।

ফোনের বিবরণ

ক্যামেরা	রেডমি পোকো x2
ধরণ	❝ ফটোগ্রাফি❞
ক্যমেরা মডেল	Poco X2
ক্যাপচার	@mohamad786
অবস্থান	সিরাজগঞ্জ- বাংলাদেশ

আমার পরিচয়