স্মৃতিচারণঃস্মৃতির পাতা থেকে বন্ধুদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করার জীবনের গল্প //পর্ব-৩

in আমার বাংলা ব্লগ2 months ago

আসসালামু-আলাইকুম/আদাব।

হ্যালো বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।হ্যাঁ, আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @mohamad786 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের সিরাজগঞ্জ জেলায় বাস করি।আমির সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজে অধ্যায়নরত আছি।

স্মৃতিময় দিনের কথা মনে করতে পেরে এখন খুবই ভালো লাগে। আসলে বন্ধুদের সাথে আমাদের হাজারো স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। স্কুল জীবনের কথা মনে করতে পেরে খুবই ভালো লাগে, প্রিয় বন্ধুদের সাথে কত রকমের আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করেছি। সেই বন্ধুরা আজ অনেক দূরে। আসলে সময় এর ব্যবধানে আমাদের বন্ধুত্ব দূর হয়ে যায়। তবে স্মৃতিগুলো থেকে যায়। তাই আপনাদের সাথে স্মৃতির পাতায় থেকে বন্ধুদের সাথে পিকনিকে যাওয়ার একটি আনন্দময় মুহূর্তের গল্প শেয়ার করতেছিলাম। এই গল্পটির আজকে তৃতীয় পর্ব নিয়ে এসেছি। আশা করছি আজকের পর্বের মাধ্যমে আপনারা অনেকটাই ধারণা পাবেন। তো বন্ধুরা চলুন স্মৃতিময় সেই গল্পটি করা শুরু করা যাক।


আসলে বন্ধুরা সবাই মিলে যখন আনন্দ ভাগাভাগি করে নেই। সেই আনন্দটাই বেশি ভালো লাগে। আমাদের বন্ধুর মধ্যে অনেক ধরনের ঘটনা ঘটে যায়। সকল বন্ধুরা মিলে যখন সেই আনন্দ ভাগ করে নেই। তখন খুবই ভালো লাগে। এক বন্ধুর বিপদে অন্য বন্ধু আমরা ঝাঁপিয়ে পড়েছি। আসলে আমরা স্কুল জীবনে যে বন্ধুগুলো ছিলাম সবাই একটা দল হিসেবে থাকতাম। আর আমাদের এই দলের সকলেই যেন একসাথে সব সময় চলাফেরা এবং পড়াশোনা করতাম। যার কারণে বন্ধুদের সাথে এই একত্রতা থাকার কারণে স্কুল জীবনে সেই দিনগুলো বেশি আনন্দময় ছিল।

hands-2847508_1280.jpg

Source

বন্ধু মানিকের বাড়ি থেকে যখন আমরা চলে আসলাম এবং রাস্তায় একটি ব্রিজের উপরে বসে আমরা পরিকল্পনা করতে লাগলাম। কিভাবে মানিককে পিকনিকে নেওয়া যায়। তখন আমার বন্ধু বলল কালকে এ বিষয়ে স্যারের সাথে কথা বলবো। তাই আমরা কালকে সকাল বেলায় প্রাইভেট পড়ার জন্য স্যারের কাছে আসলাম এবং স্যারকে সকল ঘটনা বললাম। স্যার বলল যে আমিও এইরকম একটা ধারণা করেছিলাম। যে মানিকের হয়তো টাকার প্রবলেমের জন্য ও যেতে চাচ্ছে না। তবে আমরা এর ব্যবস্থা করব। স্যার বলল যে আমি কিছু টাকা দিয়েছি এই টাকা দিয়ে আজকে মার্কেটে যাব, এবং মানিকের জন্য শার্ট প্যান্ট জুতা কিনবো।


আসলে আমাদের স্যার মানিককে খুবই ভালোবাসতো, কারণ মানিক ভালো স্টুডেন্ট ছিল। আর স্যারের প্রতি প্রিয় ছিল, যার কারণে স্যার টাকা দিয়ে মানিকের শার্ট প্যান্ট জুতা কিনে দিলো, আর আমরা বন্ধুরা মিলে টাকা উঠালাম মানিকের পিকনিকে চাঁদা দেওয়ার জন্য এবং মানিকে একটা সুন্দর ব্যাগ কেনার জন্য। তাই আমরা পরের দিন মার্কেটে গেলাম ওর ব্যাগ কেনার জন্য, মানিকে এত কিছু না জানিয়েই আমরা বন্ধুরা মিলে মানিকের জন্য এই ব্যবস্তা করতে করেছিলাম।


friendship-2366955_1280.jpg

Source

পরের দিন সকাল বেলা আমরা পাইভেট আসলাম। মানিক আসেনি, তারপরে স্যার বলল যে আমি শার্ট প্যান্ট কিনে নিয়ে এসেছি, চলো ওদের বাড়িতে যাই। তখন স্যারকে বললাম স্যার আমরা একটা ব্যাগ কিনে নিয়েছি, স্যার বলেছে খুবই ভালো করেছে। সেই ব্যাগের ভিতর মানিকের জন্য শার্ট প্যান্ট জুতা নিয়ে আমরা মানিকের বাড়িতে আসলাম।মানিকের বাড়িতে এসে দেখতে পেলাম মানিক বাড়ির পাশে কাজ করছে। মানিককে দেখে আমরা ডাক দিলাম। মানিক আমাদের দেখে এবং স্যারকে দেখে দৌড়ে বাড়ির ভিতরে চলে গেল গিয়ে ও বাবাকে ডাকল।আর একটা চেয়ার নিয়ে তাড়াতাড়ি আসলো। স্যারকে দেখে ও অবাক হয়ে গেল। আসলে স্যার কোনদিনও ওর বাড়িতে আসিনি।তাই মানিক খুবি খুশি হয়েছিলো।


তারপর মানিককে ডেকে স্যার ওর হাতে ব্যাগটি দিয়ে বলল, এই ব্যাগটি তোমার। এই ব্যাগের ভিতর যা যা রয়েছে সকল কিছুই তোমার জন্য উপহার। আর মানিক তখন ব্যাগটি খুলে যখন দেখতে পেল তখন বলল এগুলো আমার কিসের জন্য স্যার, তখন স্যার বলল যে এগুলো তোমাকে ভালোবেসে দিয়েছি। এই পোশাকগুলো পরে এবং বন্ধুদের সাথে 19 তারিখে পিকনিকে শুক্রবারে যাতে হবে। আজকে তোমার বাড়িতে এসেছি এই উপহার হিসেবে আমাদের সাথে যাবে কোন না মেনে নেবো না। মানিক তখন স্যারের কথা না করার সুযোগই পায়নি।


আসলে মানিকও আমাদের সাথে পিকনিকে যেতে চাচ্ছিল, কিন্তু ওরা আর্থিক সমস্যার কারণে যেতে পারছিল না। যার কারণে আমাদের সাথে ঐরকম কথা বলেছিলো।স্যারের কথা শুনে এবং মানিক ব্যাগ জামা আর জুতা পেয়ে এত আনন্দিত হয়েছিল এবং আমাদের সাথে পিকনিকে যেতে পারবে ওর চাঁদা আমরা দিয়েছি, এটা জানতে পেরে ওর মুখে যতটা হাসি এবং আনন্দ ছিল তা বলে বোঝাতে পারবো না। মানিকের বাবাও তখন আনন্দে কেঁদে দিল এবং স্যারকে বললো যে আমার ছেলে একমাত্র এই টাকার জন্য যেতে চাইনি।তখন স্যার বলল যে সমস্যা নেই আমরা বুঝতে পেরেছিলাম।স্যার বলল মানিক কালকে প্রাইভেট অবশ্যই অবশ্যই আসবে। আজকে আর সময় নেই।আমরা তাড়াতাড়ি চলে আসলাম। মানিক ও তার বাবা না খাইয়ে আসতেই দিবেনা।তো বন্ধুরা আজকের পর্বে এখানে শেষ করছি এবং আগামী পর্বের বাকি অংশটুকু শেয়ার করবেন ইনশাআল্লাহ।

আজ এখানেই শেষ করছি। অন্য কোন একদিন ভিন্ন ধরনের কনটেন্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। ততক্ষন পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।

standard_Discord_Zip.gif

আমার পরিচয়

IMG_20230821_180423.jpg

আমার নাম মোঃ ফয়সাল আহমেদ ।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবসি ।আমি সর্বদাই গরীব-দুঃখীদের সেবায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং নতুন সৃজনশীলতার মাধ্যমে কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে।

Amar_Bangla_Blog_logo_png.png

👉বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺

Coin Marketplace

STEEM 0.27
TRX 0.11
JST 0.030
BTC 70782.07
ETH 3815.35
USDT 1.00
SBD 3.44