স্মৃতিচারণঃছোট বেলা বড়শি দিয়ে মাছ ধরার গল্প//পর্ব-৩

in আমার বাংলা ব্লগ6 months ago

আসসালামু-আলাইকুম/আদাব।

হ্যালো বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।হ্যাঁ, আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @mohamad786 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের সিরাজগঞ্জ জেলায় বাস করি।আমির সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজে অধ্যায়নরত আছি।

আসলে ছোটবেলা আমরা অনেক আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করেছি। এই দিনগুলোর কথা মনে করতে পেরে এখন খুবই ভালো লাগে। মনে হয় যেন ছোটবেলায় সেই দিনগুলোতে আবার ফিরে যায়। আসলে আমাদেরও পুকুরপাড়ে অনেকেই বড়শি দিয়ে মাছ ধরতেছিল। আর এই বড়শি দিয়ে মাছ ধরার মুহূর্তগুলো অনেক আনন্দময় ছিল। বাড়ির সবাই বড়শি দিয়ে মাছ ধরতেছিল। আমার চাচাতো ভাই এবং মামা ও ছিল। তাই আমিও মামার সাথে বড়শি দিয়ে মাছ ধরেছি এবং অনেক আনন্দের সাথে সেই মুহূর্তগুলো উপভোগ করেছি। সেই গল্পটি আপনাদের সাথে শেয়ার করতেছিলাম। আজকে স্মৃতির পাতা থেকে এই গল্পটির শেষের অংশটুকু আপনাদের সাথে শেয়ার করতে আসলাম। আশা করছি শেষের পর্বের এই গল্পটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।


আসলে এই বড়শি দিয়ে মাছ ধরার মুহূর্ত আমার প্রথম ছিল। যার কারণে আমি খুবই আনন্দের সাথে সেই মুহূর্তটুকু করেছি এবং আমার বড়শিতে বড় একটি রুই মাছ ধরা পড়েছিল। আর এই রুই মাছটি ধরা পড়াতে আমি খুবই আনন্দিত হয়েছিলাম। আর এই রুই মাছ নিয়ে যেন বাড়িতে পিকনিকের আয়োজন করা হলো। মামার রান্নাবান্না শুরু করে দিল এবং আমার চাচাতো ভাইয়েরাও রান্নাবান্নার কাজে সাহায্য করতে লাগলো। আমি বক্সে গান বাজাতে লাগলাম। এই মুহূর্তগুলো অনেক আনন্দ ছিল। আসলে পিকনিকের মুহূর্তগুলো খুবই ভালো লাগে। গ্রাম অঞ্চলের আগে আমরা ছোটবেলায় কয়েকজন মিলে যেন এই পিকনিক করতাম মাঝে মাঝে। তাই পিকনিকটা দেখলে এবং পিকনিক করলে খুবই ভালো লাগতো আমার।

boy-909552_1280.jpg

Source

আসলে আজকে রুই মাছ দিয়ে মজাদার পিকনিকের আয়োজন করা হলো। বাড়ির সবাই মিলে আমরা এই রান্না শুরু করে দিলাম। আসলে সবাই মিলে একসাথে রান্নার মুহূর্তটা অনেক আনন্দময় ছিল। সবাই অনেক হাসাহাসির সাথে সেই মুহূর্তগুলোকে উপভোগ করতেছিল। আমি আমার চাচাতো ভাইয়ের সাথে বাজারে গেলাম। বাজারে গিয়ে আরো কিছু জিনিস কিনে নিয়ে আসলাম। বিশেষ করে মামা বলল যে আজকে যেহেতু পিকনিকের আয়োজন করেছি। তাই আজকে আমি তোমাদের জন্য রোস্ট রেসিপি তৈরি করব। যার কারণে বাজার থেকে আমরা দুটি মুরগি কিনে নিয়ে আসলাম। আসলে রোস্ট আমার ছোটবেলা থেকে অনেক পছন্দের ছিল। যার কারণে মামার হাতের রোস্ট আমি মাঝেমধ্যে খেতাম। মামা খুবই ভালো রোস্ট তৈরি করতে পারতো। তাই বাজার থেকে মুরগী কিনে এবং অন্যান্য সকল উপকরণ কিনে নিয়ে এসে মামাকে দিলাম।


মামা প্রথমে এই রুই মাছের রেসিপি মজাদার ভাবে রান্না করলো। আসলে রুই মাছ ভুনা করা হয়েছিল আলু দিয়ে। আর আলু দিয়ে ভুনা করার কারণে এই রুই মাছ খেতে খুবই মজাদার হয়েছিল। সত্যিই মজাদার এই রুই মাছের রেসিপি দেখে যেন ভালো লাগলো। কারণ রুই মাছটি অনেক বড় ছিল আর এই রুই মাছের বড় হওয়ার কারণে রেসিপিটা যেন দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হলো।আমি অনেক আনন্দের সাথে সেই মুহূর্ত উপভোগ করতে ছিলাম।মামা রুই মাছ রান্নার পরে রোস্টের রেসিপি রান্না করা শুরু করে দিল। আর আমি মামার কাছে দাঁড়িয়ে এই রোস্টের রেসিপি দেখে লাগলাম।


boy-1807518_1280.jpg

Source

পিকনিকের সকল রান্না শেষ হওয়ার পরে আমরা একসাথে খাবো। আসলে একসাথে খাওয়ার মুহূর্তটাই বেশি আনন্দ হয়। কারণ পিকনিকের খাওয়ার মুহূর্তটাই আনন্দের সাথে উপভোগ করা হয়। তাই আমরা একসাথে গোল হয়ে বাইরে বসে খাওয়া শুরু করে দিলাম। আর বাইরে লাইটের ব্যবস্থা করা হলো সবাই একসাথে বসে খাবার মুহুর্তটা এত আনন্দময় ছিল যা বলার মতো না। সকলে একসাথে এই রেসিপিগুলো মামাই পরিবেশন করে দিলাম। আসলে মামার হাতের রেসিপিটা খেতে সকলেই অনেক প্রশংসা করলো। কারণ রুই মাছের রেসিপি খুবি মজাদার হয়ে ছিলো।

খাওয়া-দাওয়া শেষে আমরা সকলেই জোসনা রাতে বাড়ির বাইরে গোল হয়ে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম। আর সকলে মিলে আমরা গানের কুলি খেলা করতে ছিলাম। আসলে এত আনন্দের সাথে সেই মুহূর্তগুলো উপভোগ করেছি এখন খুবই মনে পড়ে। কারণ জোসনা রাত আসলেই সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়ে। আর কখনোই ওভাবে গানের গুলি সকলে মিলে খেলা হয় না। তাই সেই দিনগুলোর কথা খুবই মনে পড়ে। তো বন্ধুরা আপনাদের সাথে স্মৃতিময় এই গল্পটি শেয়ার করতে পেরে আজকে খুবই ভালো লাগছে।

আজ এখানেই শেষ করছি। অন্য কোন একদিন ভিন্ন ধরনের কনটেন্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। ততক্ষন পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।

standard_Discord_Zip.gif

আমার পরিচয়

IMG_20230821_180423.jpg

আমার নাম মোঃ ফয়সাল আহমেদ ।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবসি ।আমি সর্বদাই গরীব-দুঃখীদের সেবায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং নতুন সৃজনশীলতার মাধ্যমে কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে।

Amar_Bangla_Blog_logo_png.png

👉বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺

Sort:  
 6 months ago 

ছোটবেলার সৃতিচারণ করেছেন সুন্দর করে ভাইয়া।বরশি দিয়ে মাছ ধরেছিলেন চাচাত ভাই ও মামা মিলে এবং মজাদার সুস্বাদু রুই মাছ পেয়েছিলেন আর তা দিয়ে পিকনিক করে মজা করেছেন সবাই মিলে খুব ভালো লাগলো পোস্ট টি পড়ে।আপনার মামার হাতে রান্না ভীষণ সুস্বাদু হয়েছিল নিশ্চই তাই এখনো স্বাদটা মনে রেখেছেন। ধন্যবাদ সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.14
JST 0.029
BTC 57839.82
ETH 3132.70
USDT 1.00
SBD 2.43