বাবার সাথে নৌকা করে হাঁটে যাওয়া স্মৃতিময় গল্প // শেষ-পর্ব-

in আমার বাংলা ব্লগlast year

আসসালামু-আলাইকুম/আদাব।

হ্যালো বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।হ্যাঁ, আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @mohamad786 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের সিরাজগঞ্জ জেলায় বাস করি।আমির সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজে অধ্যায়নরত আছি।

ছোটবেলা বাবার সাথে আমাদের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। আর সেই স্মৃতিগুলো যেন এখন আমাদের মনে হয় আর সেই দিনগুলোর কথা মনে করতে পেরে খুবই ভালো লাগে। আসলে ছোটবেলা বাবার সাথে কত বায়না করতাম। হাঁটে যেতাম মেলাতে যেতাম। আসলে এই দিনগুলো খুবই আনন্দময় ছিল। বাবার কাঁধে চড়ে অনেক জায়গায় ভ্রমণ করেছি। আমাদের প্রত্যেকের জীবনে বাবা যেন বট গাছের ছায়ার মত আমাদের আগলে রাখে। তো বন্ধুরা বাবার সাথে হাটে যাওয়ার সেই স্মৃতিময় গল্পটির আজকের শেষ পর্ব নিয়ে এসেছি। আশা করছি শেষ পর্ব করে আপনাদের ভালো লাগবে।

ship-gb6fe1f16d_1280.jpg

source

আসলে হাটের ভিতরে আমি আর আমার বন্ধু বসে ছিলাম। বন্ধু যখন কবুতরের হাটে গিয়ে একটি ছোট্ট কবুতরের ছানা ধরে এনেছিল। সেই ছানাকে নিয়ে অনেক আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করলাম। আমরা সরিষা খাওয়াছিলাম এমন সময় বাবা আসলে বাবাকে বলা আমি একটি কবুতর কিনব। বাবা বলল ঠিক আছে কবুতর কিনে দেবো। তোর বাবার কথা মতো আমিও অনেক খুশিতে বাড়িতে আসলাম। বাড়িতে আসার পরে যেন কবুতর কেনার জন্য আরো বেশি বায়না করতে লাগলাম।মাও যেন বারবার বাবাকে বলছিল, এত বায়না করছে তাহলে ওকে একটা কবুতর কিনে দেন। ওই বাড়ি রফিকের অনেক কবুতর রয়েছে। এক জোড়া কবুতর ওকে কিনে দাও। বাবা বলল যা আচ্ছা বিকেল বেলা যাবনি, কিন্তু আমি বায়না করলাম। যে না এখনই যাব। তাই বাবার সাথে আমি রফিক চাচার বাড়িতে গেলাম। রফিক চাচার বাড়িতে গিয়ে দেখতে পেলাম, অনেক কবুতর রয়েছে।


তখন বাবার সাথে রফিক চাচার বাড়িতে আসলাম। রফিক চাচার বাড়িতে এসে দেখতে পেলাম অনেক কবুতর রয়েছে। চাচাকে বাবা সবকিছু বলল। কবুতরের জন্য বায়না করছে। তখন রফিক চাচা বলল যে কবুতর পালন করা খুবই ভালো কাজ এবং এটি একটা নেশার মত। তোমার যেহেতু কবুতর পালন করার ইচ্ছা জেগেছে। তুমি আমার এখান থেকে যেকোন একটা জেড়ো কবিতর নিয়ে যাও।তখন চাচার ওখানে সাদা ও কালো একজোড়া কবুতর আমার খুবই ভালো লেগেছিল। আমি এই কবুতর নিলাম এবং চাচার কাছ থেকে একটি খাঁচা নিলাম। চাচা বলল খাঁচার ভিতর আপাততো পালন করতে থাকো। আস্তে আস্তে কবুতর সম্পর্কে জানতে পারবে এবং অনেক ভালো হবে। সত্যিই চাচা বলল এই কবুতর এক সপ্তার মধ্যে ডিম দেবে। এই কথাটি শুনতে পেরে আমার খুবই ভালো লাগলো।


woman-gb7a8cf8da_1280.jpg

source

কবিতাটি বাড়িতে এনে আমি কবুতরের খুবই যত্ন করতে লাগলাম এবং আমি দৌড়ে গিয়ে আমার বন্ধুটি খবর দিলাম। যে আমি কবুতর কিনে এনেছি, বন্ধুকে সাথে নিয়ে আসলাম নিয়ে এসে দেখালাম। যে আমার কবিতর গুলো খুবই সুন্দর বন্ধু দেখে বলল। তাই বন্ধুও কেনার জন্য আবারো যাবে। আমার এই কবুতরগুলো পালন করা শুরু করে দিলাম। অনেক যত্ন সহকারে পালন করতে ছিলাম।পাঁচ দিনের মাথায় কবুতর একটি ডিম দিল। এই ডিমটি দেখে আমায় খুবই খুশি হয়েছিলাম এবং দৌড়ে গিয়ে আমি বাবাকে খবর দিয়েছিলাম। আর আমার বন্ধুকে, যে আমার কবুতর ডিম পেরেছে। সত্যি সেদিন আমার এত ভালো লেগেছিল। যা বলার মত না। মনে হচ্ছিল যেন পৃথিবীর সকল সুখ যেন আমাকে আজকে ঘিরে ধরেছে। আসলে জীবনে প্রথম এত আনন্দ একটি মুহূর্ত উপভোগ করেছিলাম। সেই থেকে আমার কবিতর পালন করা শুরু এবং আমি অনেক কবুতর পালন করেছিলাম। যখন আমি কলেজে ভর্তি হই তখন থেকে আর কবুতর পালন করা হয়নি। তবে এই কবুতরের নেশা যেন এখনো আমার মধ্যে রয়েই আছে।


আসলে বন্ধুরা বাবার সাথে আমাদের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। তাই বাবাকে কেন্দ্র কেউ যেন আমাদের জীবনের সকল গল্প রয়েছে। বাবার সাথে হাটে যাওয়ার নিয়ে যেন আমার এই কবুতর পালন করা শুরু হয়েছিল। তাই বাবাকে নিয়ে আমি হাটে যাওয়ার এই স্মৃতিময় গল্পটি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আসলে বাবারা হলো সুপার হিরো আর এই সুপার হিরোদের সাথে আমাদের অনেক গল্প রয়েছে।আশা করি এই গল্পটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।

আজ এখানেই শেষ করছি। আবারো অন্য কোনদিন ভিন্ন কোনো কন্টেট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। ততক্ষন পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, এই দোয়া রইল। আল্লাহ হাফেজ।🙏🤲🙏

banner-abbVD.png

আমার পরিচয়

IMG_20220525_014109.jpg

আমার নাম মোঃ ফয়সাল আহমেদ ।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবসি ।আমি সর্বদাই গরীব-দুঃখীদের সেবায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং নতুন সৃজনশীলতার মাধ্যমে কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে।

Amar_Bangla_Blog_logo_png.png

👉বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺

Sort:  
 last year 

বাবার আসলে সুপার হিরো। আর আপনি আপনার সুপার হিরো বাবাকে নিয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। বলতে গেলে বাবাদের স্মৃতিগুলো কখনো ভুলার নয়। কারণ বাবা বাবাই তো। প্রত্যেকের জীবনেই বাবাদেরকে নিয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর স্মৃতি রয়েছে বলে আমি মনে করি । ভালো ছিল আপনার গল্পগুলো।

 last year 

আসলে ভাইয়া আপনি ঠিকই বলেছেন বাবারা হচ্ছে বটবৃক্ষের মত। তাদের সঙ্গে অনেক মধুর স্মৃতি রয়েছে যা মনে করলে সত্যিই অনেক ভালো লাগে ।আপনার গল্পটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো। আসলে একটা সময় আমাদেরও অনেকগুলো কবুতর ছিল। কবুতর পালন করা সত্যি অনেক আনন্দের ব্যাপার ।যখন খাবারের জন্য কবুতরগুলো ঘাড়ের উপর এসে বসতো সত্যি অনেক ভালো লাগতো।আপনার লেখা গুলো পড়ে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 58729.26
ETH 2640.67
USDT 1.00
SBD 2.47