আজকে অনেকদিন পর কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়েছিলাম। আসলে সিরাজগঞ্জের কলেজ ক্যাম্পাসটি আমার খুবই পরিচিত। এই কলেজ ক্যাম্পাসে আমি পড়াশোনা করেছি দুটি বছর। যার কারণে এই কলেজ ক্যাম্পাসে হাজারো মায়া এবং স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। আজকে আমি সকালবেলা আমার কলেজ ক্যাম্পাসে কিছু বন্ধুদের সাথে দেখা করার জন্যই গিয়েছিলাম। ওদের সাথে কিছু মুহূর্ত উপভোগ করেছি। তবে অনেকদিন পর যখন কলেজ ক্যাম্পাসে এসেছি, তখন কলেজ ক্যাম্পাসের দৃশ্য গুলো দেখে যেন সেই পুরনো স্মৃতি মনে পড়ে যাচ্ছিলো।আসলে হাজারো গল্প রয়েছে কলেজ ক্যাম্পাসে। বন্ধুদের সাথে অনেক খেলাধুলা করেছি, সেই স্মৃতিগুলো যেন মনে পড়ে গেল, কত আনন্দময় দিন ছিল।সেই মুহূর্তগুলো, তাই আজকে কলেজ ক্যাম্পাসে এসে কিছু মুহূর্ত উপভোগ করতে পেরে অনেক ভালো লেগেছে। তাই ফটোগ্রাফি করে আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।

প্রথমে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম, আমাদের একাদশ ভবনের ফটোগ্রাফি। আর এই একাদশ ভবনের ফটোগ্রাফিটি করতে পেরে অনেক ভালো লেগেছে। আমি পুকুরের থেকে এই ভবনটির ফটোগ্রাফি করেছি। অসাধারণ ছিল এই পুকুর পাড়ের দৃশ্য। আমরা বন্ধুরা মিলে এই পুকুর পাড়ে বসে থেকে আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করতাম। কলেজ ক্যাম্পাসের দৃশ্য আর এই পুকুর পাড়ে বসে থাকার মুহূর্তগুলো খুবই মনে পড়ছিলো তখন।তাই সেই স্মৃতিময় দিনের কথা ভাবতেই ভালো লাগলো। আর ফটোগ্রাফি করে আপনাদের মাঝে তুলে ধরলাম।

তারপর আস্তে আস্তে হাঁটতে হাঁটতে আমি আমার কলেজ ক্যাম্পাসের একাডেমী ভবনের দিকে যেতে লাগলাম। এই একাডেমী ভবনে আমার অনেক বন্ধু রয়েছে। ওদের সাথে দেখা করার উদ্দেশ্যে আমি এসেছি। বন্ধুদের আজকে পরীক্ষা ছিল, যার কারণে ওরা সবাই উপরেই ছিল। আর এই কলেজ ক্যাম্পাসের স্যারদের সাথে আমার খুবই ভালো পরিচিত।তাই আমি বন্ধুদের একাডেমি ভবনের দিকে আসলাম। আর একাডেমী ভবন ভিতরে ঢুকে বন্ধুদের সাথে দেখা করে চলে আসবো।গিয়ে দেখি ওরা পরীক্ষা দিচ্ছে।

আমার বন্ধুদের একাডেমী ভবনের ভিতরে ঢুকে ওদের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। তারপর দেখা করে গল্প করতে পেরে ভালো লাগলো। তারপরে অনেকক্ষণ সেখানে সময় পার করলাম, তারপরে আমরা কলেজ মাঠে আসলাম। কলেজ মাঠে এসে দেখতে পেলাম সকলেই বসে রয়েছে। আসলে কলেজ ক্যাম্পাসে এই মুহূর্ত গুলো বেশি ভালো লাগে।বন্ধুদের সাথে নিয়ে গাছের নিচে বসে আড্ডা দেওয়ার মুহূর্তগুলো খুবই ভালো লাগে। সেই মুহূর্ত কিছুক্ষণ আমরা আনন্দে সাথে উপভোগ করলাম।

কলেজ ক্যাম্পাসে গাছের বাগান রয়েছে। এই গাছের বাগানের মাঝখান দিয়ে বসে থাকতে খুবই ভালো লাগে। কারণ এই গাছের মাঝখানে বসে থাকলে শীতল বাতাস আর ঠান্ডা প্রকৃতি উপভোগ করা যায়। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যময় দৃশ্য গুলো যেন উপভোগ করা যায়। সেখানে ফুচকা চটপটিসহ আরো অনেক দোকান রয়েছে। আমরা বসে বসে সেই খাবারের মুহূর্ত গল্পের সাথে পার করলাম। তবে কারও মোবাইল বের করতে দেইনি।কারণ মোবাইল হাতে থাকলে গল্প করে মজা হয় না।সেই মুহূর্ত অনেক বেশি ভালো লাগে। তাই সেখানে বসে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিলাম অনেক সময়।

তারপরে আমি আমাদের কলেজ মাঠের পাশে আসলাম। আসলে এই সবুজ ঘাসের উপরে হাজারো স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। বন্ধুদের সাথে খেলাধুলার মুহূর্তগুলো আনন্দের সাথে উপভোগ করেছি। বিশেষ করে খেলাধুলার মুহূর্তগুলো অনেক বেশি ভালো লেগেছে। এখানে আমরা ক্রিকেট খেলতাম। এখানে অনেক ধরনের খেলার আয়োজন করা হতো। বিকেলবেলা মাঠের মধ্যে ঘাসের উপরে আড্ডা দেওয়ার মুহূর্তগুলো অসাধারণ ছিল।

তো বন্ধুরা আজকে আপনাদের মাঝে আমাদের কলেজ ক্যাম্পাসের কিছু মুহূর্ত শেয়ার করতে পেরে অনেক ভালো লাগছে। আসলে কলেজ ক্যাম্পাসে অনেকদিন পর গিয়েছিলাম, যার কারণে আমার অনেক ভালো লেগেছে। পুরনো স্মৃতিগুলো বারবার মনে পড়তে ছিল সেই মুহূর্তেরই কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আশা করছি কলেজ ক্যাম্পাসের দৃশ্যের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আপনাদের ভালো লাগবে।

প্রত্যেকটা ছবি তোলার লোকেশন এবং ডিভাইসের নামঃ

Location
Device:Poco X2

আজ এখানেই শেষ করছি। অন্য কোন একদিন ভিন্ন ধরনের কনটেন্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। ততক্ষন পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।

ফোনের বিবরণ

ক্যামেরা	রেডমি পোকো x2
ধরণ	❝ ফটোগ্রাফি❞
ক্যমেরা মডেল	Poco X2
ক্যাপচার	@mohamad786
অবস্থান	সিরাজগঞ্জ- বাংলাদেশ

আমার পরিচয়