বন্ধুদের সাথে রাতের বেলা পিকনিক খাওয়ার গল্প//পর্ব-১

in আমার বাংলা ব্লগlast month

আসসালামু-আলাইকুম/আদাব।

হ্যালো বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।হ্যাঁ, আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @mohamad786 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের সিরাজগঞ্জ জেলায় বাস করি।আমির সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজে অধ্যায়নরত আছি।

বন্ধুদের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো এখন খুবই মনে পড়ে। ছোটবেল বন্ধুদের সাথে কত আনন্দের সাথে মুহূর্তগুলো উপভোগ করতাম। মাঝে মাঝে বন্ধুরা মিলে পিকনিক করতাম। সেই দিনগুলো সত্যিই অসাধারণ ছিল। স্মৃতিময় এই দিনগুলো যদি আবারো ফিরে পেতাম, কতই না ভালো হতো। আজকে অনেকদিন পর বন্ধুদের সাথে কাটানো এক রাতের গল্প নিয়ে আসলাম।রাতের বেলায় পিকনিক করার সেই দৃশ্যর কথা খুব মনে পড়তে ছিল।বন্ধুর সাথে আমাদের হাজারো গল্প রয়েছে আমাদের প্রত্যেকের জীবনে। বন্ধু ছাড়া যেন লাইফ ইম্পসিবল। বন্ধু ছাড়া লাইফে ইনজয় মুহূর্তগুলো উপভোগ করা যায় না। আজ সেই দিনগুলো খুবই মনে পড়ছে। তাই সেই দিনের গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করতে আসলাম। আশা করছি আমার এই গল্পটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।


tree-736877_1280.jpg

Source

আমি তখন ক্লাস টেনে পড়াশোনা করি। আর এই সময় আমার বাড়ির পাশে আরো কয়েকজন বন্ধু ছিল। যারা আমরা সমবয়সী ছিলাম। একসাথে সবসময় থাকতাম। আমরা এক সবাই মিলে একদিন আমরা পরিকল্পনা করি, আমরা পিকনিক করবো মআর এই পিকনিকের আয়োজন নিয়ে অনেক ধরনের কথা হচ্ছিল। আসলে আমরা পিকনিক করতে চেয়েছিলাম নৌকায় করে। বিলের মাঝখানে যাব আর এই বিলের মাঝখানে গিয়ে নৌকার উপরে আমরা পিকনিক করবো। আসলে নৌকার পিকনিক করার মজাটাই অন্যরকম। কারণ আমাদের গ্রামের বড় ভাইরা এই নৌকায় করে পিকনিক করেছিল মতারা গান-বাজনার আয়োজন করেছিল। এই পিকনিকটা দেখে আমরা বন্ধুরা মিলে ঠিক করেছিলাম। আমরাও পিকনিকে যাবো তাই নিয়ে আমাদের বন্ধুদের মধ্যে অনেক কথা হচ্ছিলো।


তো আমরা বন্ধুরা মিলে পরিকল্পনা করলাম এবং আমরা একটি নৌকা ভাড়া করলাম, যে আমরা শুক্রবার করে পিকনিকের আয়োজন করব। আমরা সকল কিছু ঠিকঠাক করেছি। পিকনিকের আয়োজন করার। একদিন আগে আমরা বাজার করব, এই সময় আমার বাবা এই পিকনিকের কথা জানতে পারে না করে দেয়। বাবা সব সময় নৌকা করে পিকনিকে যেতে বারণ করে। কারণ কিছুদিন আগেই আমাদের গ্রাম থেকে বড়রা পিকনিকে গিয়েছিল, আর সেই নৌকাটা নদীর মাঝখানে অন্য নৌকার সাথে ধাক্কা লেগে ডুবে গিয়েছিল। সেখানে কোন মানুষ মারা যায়নি। তবে অনেকেই আহত হয়েছিল। সেই কথা বাবাও জানে যার কারণে আমাদের নৌকা করে পিকনিকে করতে দেবে না। এদিকে আমরা তো পিকনিকের সকল আয়োজন ঠিক করেছি।


bonfire-1867275_1280.jpg

Source

এদিকে পিকনিকের সকল আয়োজন ঠিক করা হয়েছে, বাবাকে কোন ভাবে রাজি করানো যাচ্ছে না। অনেক কান্নাকাটি করলাম তারপরেও রাজি হয় না। এদিকে আমার বন্ধুরা বলছে তোর বাবার জন্য আমাদের পিকনিকে যাওয়া হবে না, বললাম যে তাহলে তোরাই চলে যা। আমি আর পিকনিক করবো না। কিন্তু বন্ধুরা আমাকে ছাড়াও পিকনিক করবে না। যার কারণে কি আর করা, বন্ধুরা বলল যে আচ্ছা ঠিক আছে তাহলে আমরা কিভাবে এই পিকনিকটা করবো তোর বাবার কাছ থেকে আমরা পরিকল্পনা শুনিয়ে, সে কিভাবে মতামত দেয়।তাই আমরা বাবার কাছে আসলাম, বাবাকে বললাম আমরা পিকনিকের সকল আয়োজন করেছি। আপনি যেহেতু নৌকায় করে পিকনিক করতে দেবেন না, তাহলে কিভাবে আমরা পিকনিক করবো আপনি একটু আমাদের পরিকল্পনা দেন।


তখন আমি এবং আমার বন্ধুরা মিলে বাবার কাছে আসলাম, বললাম যে আমরা পিকনিকের সকল আয়োজন করেছি। এখন কি করা যায় বাবা তখন বলল যে, নৌকায় করে পিকনিকে আর দূরে কোথাও পিকনিক করা যাবে না। তাছাড়া তোমরা কোথায় পিকনিক করবে, আমাকে বল আমি তোমাদের যতটুকু পারি সাহায্য করবো। তখন আমার বন্ধুরা বলল যে আঙ্কেল আপনিই বলুন কিভাবে পিকনিক করা যায়। তখন বাবা বলল যে আচ্ছা তোমরা কি দিয়ে পিকনিক করতে চাচ্ছ, আমরা তখন বললাম যে আপনি যেভাবে বলবেন।ঠিক ওই ভাবেই আমরা পরিকল্পনা মতে পিকনিক করবো।


তখন বাবা বললো তোমরা যেহেতু পিকনিকের আয়োজন করেছো, তাহলে কোন সমস্যা নেই। তোমরা তোমাদের মত পিকনিক আমাদের প্রাইমারি স্কুলেও মাঠে করো। আমাদের বাড়ির পাশে প্রাইমারি স্কুল ছিল। বলরো যে এখানে তোমরা যত রাত পর্যন্ত আনন্দ করতে পারো কইরো, তোমাদের কোন সমস্যা নেই। তাই আমরা পিকনিকের সকল জায়গা স্কুল মাঠেই ঠিক করলাম।তাই আমরা সেখানে গান বাজনার আয়োজন করলাম। অনেক আনন্দের সাথে সেই দিনটা পার করলাম এবং বন্ধুদের বললাম আমরা সন্ধ্যাবেলা অর্থাৎ রাতের বেলা আমরা মুরগি আগুনে পুড়িয়ে খাব, বন্ধুরা বল ঠিক আছে। তাই আমরা মুরগি কেনার জন্য বাজারে আসলাম।আর মুরগি কেনার জন্য বাবার ১৫০০ টাকা দিয়েছিল। তো বন্ধুরা আজকে এখানেই শেষ করছি, আগামীতে পরবর্তী গল্প বাকি অংশটুকু শেয়ার করবেন ইনশাআল্লাহ।

আজ এখানেই শেষ করছি। অন্য কোন একদিন ভিন্ন ধরনের কনটেন্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। ততক্ষন পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।

standard_Discord_Zip.gif

আমার পরিচয়

IMG_20230821_180423.jpg

আমার নাম মোঃ ফয়সাল আহমেদ ।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবসি ।আমি সর্বদাই গরীব-দুঃখীদের সেবায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং নতুন সৃজনশীলতার মাধ্যমে কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে।

Amar_Bangla_Blog_logo_png.png

👉বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺

Sort:  
 last month 

আমারও অতীত মনে পড়ে গেল আপনার পোস্ট দেখে, আসলে জীবনের সেরা মুহূর্ত হয়তো বন্ধুদের সাথে কাটে। এখন চাইলেও সেই সময়টাই আর ফেরত যেতে পারবো না। আমরা সবাই মিলে রাতে পিকনিক করতাম। ভীষণ ভালো লাগতো এবং গাছের ডাব চুরি করে খেতাম। অনেক আনন্দ করতাম। সারা রাত বাজার ঘুরে বেড়াতাম।নৌকায় করে পিকনিক করার ইচ্ছা করেছেন। এটা বেশ দারুন লাগলো। আমাদের কখনো তেমন এভাবে করার সৌভাগ্য হয়ে ওঠে নাই ।শেষ সিদ্ধান্ত আপনারা স্কুল মাঠে করলেন।যাইহোক পিকনিকটা বেশ সুন্দরভাবে সম্পূর্ণ হয়েছে। এরকম মুহূর্ত প্রতিটা মানুষের জীবনে আসে যেন।

 last month 

অনেক সুন্দর একটি গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। এভাবে একজন যদি তার জীবনের ঘটনা লিখে প্রকাশ করে তাহলে অবশ্যই সেখান থেকে অনেক মানুষ অনেক কিছু জানার সুযোগ পায়। ঠিক তেমনি আপনার এই পোস্ট পড়ে বেশ অনেক কিছু জানার সুযোগ মিললো।

 last month 

যাক আপনার গল্পটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। তবে নৌকা চড়ে পিকনিক করার মজাটা অবশ্যই আলাদা। যদিও বা আমাদের সেই সুযোগ নেই কারণ আমাদের আশেপাশে কোন নদী নেই। তবে যেহেতু অতীতের নৌকা দুর্ঘটনা ঘটে কিছু মানুষ আহত হয়েছে তাই আপনার বাবার সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েই আপনাদেরকে নিষেধ করেছে। আশা করি, পরবর্তীতে রাতে মুরগি পুড়িয়ে খাওয়ার মজাটা সত্যি আলাদা ছিল। সাথে গান বাজনার আয়োজন করেছেন। আশা করছি আপনারা সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছিলেন।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.13
JST 0.029
BTC 57328.77
ETH 3111.24
USDT 1.00
SBD 2.42