সবাইকে মহান স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা
প্রথমে সবাইকে মহান স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানায়। সত্যিই স্বাধীনতা আমাদের একটি অনেক বড় পাওয়া। আর এই স্বাধীনতা আমরা এমনি এমনি পায়নি। স্বাধীনতা পেয়েছি আমার ভাইয়ের রক্তে বিনিময়ে।সত্যিই আমার ভাইয়েরা যদি রক্ত না দিতো তাহলে আমরা স্বাধীনতা পেতাম না। আর স্বাধীনতার না পেলে আমরা পরধীন জাতি হয়ে থাকতাম।আর পরাধীন জাতি কখনো নিজের উন্নতি করতে পারে না এবং মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে না। বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়াতে হলে সে জাতিকর স্বাধীনতা অর্জন করতে হবে। আর স্বাধীনতা অর্জন করতে পারলে সারা জীবন মাথা উঁচু করে সবার সামনে বেঁচে থাকার যায়।তাই স্বাধীনতা অনেক বড় পাওয়া আর এই স্বাধীনতা এনে দিয়েছে আমার ভাইয়েরা। আমার ভাইয়ের রক্তে বিনিময়ে আজ আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। যার কারণে আমরা স্বাধীন ভাবে বসবাস করতে পারছি।
পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সব সময় আমাদের উপরে অন্যায় অত্যাচার করত। আমাদের মানুষই মনে করত না। প্রতিটা ক্ষেত্রে আমাদের উপরে জুলুম করত। তারা সবকিছু অধিকার ভোগ করতো এবং আমাদের কোন অধিকারই দিত না। যার কারণে বাঙালির জাতি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর উপরে ক্ষেপে যায় এবং তারা স্বাধীন হতে চায়। আর ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসি ভাষণ দেন।আর এই ভাষনের অনুপ্রেরণায় বাঙালি জাতির স্বাধীনতার অনুপ্রেরণা পায়। তারা এই ভাষণকে কেন্দ্র করে যেন নিজের ভিতর স্বপ্ন জাগে যে তারা আর পরাধীন থাকবে না। তারা স্বাধীন ভাবে বসবাস করবে এবং স্বাধীনতার সাথে জীবন যাপন করবে। তাই স্বাধীনতার মূল অস্ত্র ছিলে ৭ই মার্চ এর ভাষণ।
৭ ই মার্চ ভাষণ এর পরেই ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর মাঝ রাতে বাঙালির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে, নির্মমভাবে হত্যা করা শুরু করে দেয়। সেই রাতেই ২৬ মার্চ প্রথম পহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। আর স্বাধীনতা ঘোষণা দেওয়ার পর বাঙালি জাতির ঝাঁপিয়ে পড়ে মুক্তিযুদ্ধে।তারা নিজের জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনে। দীর্ঘ নয় মাস মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন করা হয়। এই স্বাধীনতা খুবই মূল্যবান। আমার ভায়ের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা। সেই স্বাধীনতাকে আমাদের ধরে রাখতে হবে।নিজের জীবনের বিনিময়ে।
আমার ভাইয়ের রক্তে বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি, কিন্তু এই স্বাধীনতা পরে আজও আমাদের দেশের মানুষ এখনো পরাধীন ভাবে জীবন যাপন করছে। স্বাধীনতার ৫২ বছর চলছে, তারপরেও যেন আমাদের দেশের মানুষ না খেয়ে মারা যাচ্ছে। তাই স্বাধীনতা অর্জন করা যতটা কঠিন স্বাধীনতা রক্ষা করা আরো বেশী কঠিন। তাই আমাদের প্রত্যেককেই সচেতন হতে হবে এবং সচেতনতা সাথে স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে হবে। দেশের মানুষে কথা ভাবতে হবে।তারা যেন শান্তিতে বসবাস করতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
আজ এখানেই শেষ করছি। আবারো অন্য কোনদিন ভিন্ন কোনো কন্টেট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। ততক্ষন পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, এই দোয়া রইল। আল্লাহ হাফেজ।🙏🤲🙏
আমার নাম মোঃ ফয়সাল আহমেদ ।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবসি ।আমি সর্বদাই গরীব-দুঃখীদের সেবায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং নতুন সৃজনশীলতার মাধ্যমে কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে।
👉বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺
আপনাকেও আমার পক্ষ থেকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা রইল। আসলে আমাদের সবাইকে মনে রাখতে হবে যে স্বাধীনতা অর্জনের থেকে রক্ষা করাটা অনেক বেশি কঠিন। তাই এই স্বাধীনতার কথা মাথায় রেখে আমরা আমাদের দেশকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করব এই বিশ্ব দরবারের মাঝে।
ভাইয়া আপনাকেও স্বাধীনতা দিবসের অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। স্বাধীনতা দিবসকে কেন্দ্র করে আপনি আজ খুব সুন্দর একটি ব্লগ আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। যাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা আজ স্বাধীনতা পেয়েছি তাদের প্রতি রইল হাজারো শ্রদ্ধা ও দোয়া। ঠিক বলেছেন ভাইয়া আজ স্বাধীনতার না পেলে আমরা পরধীন জাতি হয়ে থাকতাম। স্বাধীনতা অর্জন করা যতটা কঠিন তার চেয়ে বেশি কঠিন সেই স্বাধীনতাকে রক্ষা করা। হাজারো ভাইয়ের রক্তের বিনিময়ে আমরা আজ এই স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছি। তার জন্য আজ আমরা মুক্ত স্বাধীন পাখির মতো বাঁচতে শিখেছি আর আমরা বাংলায় কথা বলতে পেরেছি। ধন্যবাদ ভাইয়া।