তিন বন্ধু মিলে বন্ধু জিহাদের গ্রামের বাড়ি ভ্রমণ [পর্ব-২]
জিহাদের গ্রামের মেঠো পথ দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে আমরা চড়ের মধ্যে গেলাম।পুরো চড়া জুড়ে ধান আর ধান।এরকম দৃশ্য দেখে মনে হলো পুরো গ্রামটি ধান গাছে ভরে গেছে।ধানগুলো এখনো পাকেনি তাই ধান গাছগুলো সবুজে আছে।চারপাশে একদম সবুজে ছুঁয়ে গেছে।আসলে গ্রামের এইসব দৃশ্য গুলো আমাদেরকে বেশি করে আকৃষ্ট করে।আই বার বার ছুটে যেতে ইচ্ছে হয় গ্রামের এরকম মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্যের মধ্যে।আমরা চার বন্ধু ধান ক্ষেতের আইল দিয়ে হাঁটা শুরু করলাম।আমার বন্ধু সাদি অনেক মোটা।তাই আমার মনে হচ্ছিল সাদি যেকোনো সময় পড়ে যেতে পারে।যা ভাবলাম ঠিক তাই হলো।একটু পরেই দেখি সাদি ধান ক্ষেতের মধ্যে পড়ে গেছে।এরকম দৃশ্য দেখে আমরা আমরা চার বন্ধু খুব হাসাহাসি করলাম।সাদির এমন অবস্থা দেখে আমরা ওর সাথে ফাজলামি শুরু করলাম।ধান ক্ষেতের আইল দিয়ে সাদির সাথে ফাইজলামি করতে করতে আমরা গ্রামের একদম মাঝখানে চলে আসলাম।
চার বন্ধু মিলে জিহাদের গ্রামের একদম মাঝখানে আসার পর দেখি অনেক বড় একটা খোলা মাঠ এবং সেই খোলা মাঠে গ্রামের অনেক পোলাপান ক্রিকেট খেলছে।আমরা চার বন্ধ ছিলাম ক্রিকেট পাগল মানুষ।তাই এত সুন্দর একটি খোলা জায়গায় ক্রিকেট খেলা দেখে আমরা আর চুপ থাকতে পারলাম না।তাই আমরা তাদের কাছে গিয়ে বললাম আমরাও ক্রিকেট খেলব,আমাদের ক্রিকেট খেলাও নাও।সেখানে জিয়াদের এক বড় ভাই ছিল।জিহাদের বড় ভাই আমাদের বলল, হ্যাঁ অবশ্যই খেলবা।তারপর আমি সেই বড় ভাইকে বললাম তাহলে চলেন একটা ক্রিকেট টুর্নামেন্ট খেলি।আমরা চায়ের বন্ধু সাথে গ্রামের আরও তিনজনকে নিয়ে আমরা মোট সাতজন মিলে একটি দল গঠন করলাম।আর সেই বড় ভাই অন্য সাতজন নিয়ে একটি দল গঠন করল।শুরু হয়ে গেল আমাদের ক্রিকেট ম্যাচ।১০ ওভারের এই ম্যাচে আমরা প্রথমে ব্যাট করতে নামলামআমরা ১০ ওভারে ৮০ রান করেছিলাম।এবার আমাদের বোলিংয়ের পালা। প্রথমে আমি বল করতে নামলাম। প্রথম ওভারে আমি চার রান দিয়ে কোন উইকেট পায়নি।তারপর আদিত বল করল।আদিতের বল অনেক ভালো তাই সে ৬ রান দিয়ে একটি উইকেটে নিল।তারপর আমি আবার বল করতে গেলাম সেই ওভারে আমি এক রান দিয়ে দুইটি উইকেট নিয়েছিলাম।এভাবে আমরা ১০ ওভার সম্পূর্ণ করলাম এবং তোরা ৬০ রান করতে পেরেছিল।আর আমরা ২০ রানে জয়লাভ করেছিলাম সেই ম্যাচটিতে।জিহাদের গ্রামে গিয়ে এই ক্রিকেট ম্যাচের কথা এখনো আমার অনেক মনে পড়ে। আবার ইচ্ছা হয় যে গ্রামে গিয়ে বন্ধুরা মিলে এরকম একটি ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজন করব।কিন্তু তা আর হয়ে ওঠেনি।সেই দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত ক্রিকেট খেলার পর আমরা আবার জিহাদের বাড়িতে ফিরে আসি।জিহাদের বাড়িতে এসে আমরা ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করি।তারপর রাত দশটার দিকে আমরা রাতের খাবার খাই এবং রাতভর অনেক মজা করি চার বন্ধু মিলে। তারপরের দিন সকালে আমরা তিনজন আবার সিরাজগঞ্জে ফিরে আসি।এভাবেই জিহাদের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে খুব সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করলাম।
আজ এখানেই শেষ করছি। অন্য কোন একদিন ভিন্ন ধরনের কনটেন্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। ততক্ষন পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
👉বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺
টুইটার লিংক
https://twitter.com/FaisalA45225288/status/1697877387328041315?s=20
আপনার বন্ধুর বাড়িতে ঘুরতে যাওয়া এবং সেখানে সময় কাটানোর অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। গ্রামের ব্যাপারটা শহর থেকে পুরোই আলাদা। রাস্তার পাশের গাছের সারি, যেখানে সেখানে ফলের গাছ, পুকুরে মাছ ধরা বা মাঠে ক্রিকেট খেলার দৃশ্য -- সবই যেন চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছিলাম। তবে ভাইয়া, আপনি অন্য সোর্স থেকে ইমেজ না নিয়ে, বন্ধুর গ্রামে আপনার তোলা ছবি ব্যবহার করলে বিষয়টি আরোও জমে যেতো কিন্তু!!
আসলে আপু ঘটনাটি আজ থেকে চার পাঁচ বছর আগের।তখন আমি নতুন নতুন ক্লাস নাইনে উঠি।তাই ওই সময় আমাদের কারো কাছে ফোন ছিল না দেখে ওই সুন্দর মুহূর্তগুলো ক্যামেরাবন্দি করে রাখতে পারিনি।ঐ সময় নিজের একটা স্মার্ট ফোন থাকলে খুব ভালো হতো। 🥹
ওহ আচ্ছা! আমি তাহলে প্রথম পর্ব মিস করে যাওয়ায় এই তথ্য টি খেয়াল করি নি ভাই।