শাহীন ভাইয়ের দোকানে আগুন লাগার ঘটনাটি সত্যি অনেক মর্মাহত ছিল। আর এই ঘটনাটি মনে করতে পেরে এখনো খুবই খারাপ লাগে। কারণ একজন মানুষের জীবিকা নির্বাহ করার সর্বোচ্চ পর্যায়ের চেষ্টা করে সফল হয়েছে। সেখানে যদি তার আগুনে পড়ে সকল কিছু ধ্বংস হয়ে যায়। তাহলে সেই পরিবার একদম নিঃস্ব হয়ে যায়। যার কারণে শাহিন ভাইয়ের সেই ঘটনাটিতে গ্রামবাসী সকলে সহ অনেক মর্মান্ত হয়েছিল। তাই আপনাদের সাথে স্মৃতির পাতা থেকে শাহিন ভাইয়ের দোকানে আগুন লাগার এই গল্পটি শেয়ার করতেছিলাম। আজকে সেই গল্পের দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে এসেছি। আশা করছি দ্বিতীয় পর্ব পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
সবাই মিলে শাহীনকে সান্তনা দিতে লাগলো। যে কোন একটা ব্যবস্থা হবেই, রিজিকের ব্যবস্থা আল্লাহতালা করে দিবে। তুমি কোন চিন্তা করো না। আস্তে আস্তে ঠিক হবেই। যতই তোমার সব কিছু ধ্বংস হয়ে যাক, তুমি তো বেঁচে রয়েছো। তুমি আবারও চেষ্টা করবে, অনেক কিছু হবে। সেদিন সকলেই বুঝে রাতে বাসায় চলে গেলাম। আসলে খুবই খারাপ লাগতেছিল কারণ চোখের সামনে এভাবে একটি দোকানের ধ্বংস এবং একটি পরিবার ধ্বংস হয়ে গেল। আসলে শাহীন অনেক ঋণ করে এই দোকানটি দিয়েছিল। আমি বাড়িতে আসলাম বাবার সাথে।বাবাকে বলতে লাগলাম যে শাহীন ভাইয়ের দোকানে কিভাবে আগুন লাগল।
বাবা বলতে লাগতে আগুন কিভাবে লেগেছে। এটা বলা যাচ্ছে না, তবে মনে হচ্ছে কেউ হয়তো আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। কিন্তু শাহীন ভাইয়ের সাথে কারো কোন শত্রুতা ছিল না।সকলেই আফসোস করছে। আবার একজনের সে বলল যে শাহিনের দোকানে নাকি কারেন্টের থেকে আগুন লেগেছে। আসলে কারেন্ট থেকে আগুন লাগতে পারে কারণ তার দোকানের মালামালগুলো খুব বেশি ছিল আর দোকানে ইঁদুর রয়েছে। ইঁদুর যদি তার কেটে দেয়, তাহলে সেখান থেকে আগুন লাগতে পারে। এটাই সকলের ধারণা করতে ছিল।
আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল একজন মানুষের সব স্বপ্ন । এই আগুনে কত মানুষযে নিঃস হয়ে গেছে তা চোখের সামনেই দেখতে পেয়েছি । গত বছর ঢাকার বঙ্গ মার্কেটের আগুনের ভয়বহতা আর মানুষের আহাজারি এখনো কানে বাজে চোখে ভেসে উঠে । শাহীন ভাইয়ের জন্য দোয়া করি যেন আবার নতুন উদ্যোমে জেগে উঠতে পারেন । নতুন করে বাচার স্বপ্ন দেখতে পারেন।
আসলে ভাই অনেক সময় আগুন মানুষের অনেক স্বপ্নগুলোকে পুড়িয়ে ছারখার করে দেয়। শাহীন ভাইয়ের ক্ষেত্রে ঠিক তাই হয়েছিল। আগামী পর্বে আশা করছি ক্লিয়ার হবেন।
খুব দুঃখজনক ঘটনা।আসলে চোর চুরি করলেও কিছু না কিছু রেখে যায় কিন্তুু আগুন এতোটাই ভয়ংকর যে সব কিছু ছাই করে দেয়। বর্তমানে আগুন লাগার ঘটনা ও জানমালের ক্ষতি অহরহ। আপনার শাহিন ভাইয়ের জ্ঞান না থাকাটাই স্বাভাবিক। চোখের সামনে সাজানো গোছানো রুজিরোজগারের দোকান তা পড়ে গেলো।খুব মর্মান্তিক ঘটনা শেয়ার করেছেন ভাইয়া।
আসলে আপু আপনি ঠিকই বলেছেন চোর চুরি করলেও তাও সকল কিছু চুরি করতে পারে না। কিছু না কিছু রেখে যায়। কিন্তু আগুনে পুড়ে গেলে সবকিছুই শেষ হয়ে যায়। আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
অগ্নিকাণ্ডের এই ঘটনা গুলো খুবই মারাত্মক ৷ নিমিশেষই শেষ করে দেয় মানুষের প্রাণ সম্পদ সব কিছু ৷ আপনার গল্পটা পড়ে অনেক খারাপ লাগলো শাহিন ভাইয়ের কথা চিন্তা করে ৷ যাই হোক , এরপর কি হলো জানার অপেক্ষায় রইলাম ৷ আশা করি পরের পর্ব খুব শীঘ্রই শেয়ার করবেন ৷ ধন্যবাদ
সত্য কথা বলতে আমরা ফেসবুকে দেখে থাকি।মানুষ হাহাকার হতাশায় ভুগছে কিন্তু যার এরকম পরিস্থিতি হয় সেই বোঝে যে কতটা যন্ত্রনাদায়ক।গ্রাম অঞ্চলে মানুষ মানুষের বিপদে পাশে আসে। এখন শহর অঞ্চলে তো দেখা যায়। আগুন ধরলে মানুষ আগে ভিডিও নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। কিভাবে ভাইরাল হবে সেটা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। প্রায় সময় দেখা যায় কেউ আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। শত্রুতা করে এমন করে।এই আগুন লেগেই আছে একটা দিন পর পর।যাক চেয়ারম্যানদের সুন্দর একটি মীমাংসা করে দিল।
আসলে ভাই শহর অঞ্চলে এরকম বিপদে পড়লে মানুষ ভিডিও করতে থাকে এবং চেয়ে চেয়ে দেখতে থাকে। কিন্তু গ্রামাঞ্চলে কেউ বিপদে পড়লে তাকে সর্বোচ্চ সাহায্য করা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
মানুষের জীবিকার উপর যখন এমন একটা বিপর্যয় নেমে আসে তখন সে ঠিক থাকবে না এটা মোটামুটি স্বাভাবিক। আপনার শাহিন ভাইয়ের ক্ষেএে এটাই হয়েছিল। তবে তার কোন ক্ষতি হয়নি এটাই অনেক। কারণ মানুষের জীবনের থেকে আর কোন কিছু বেশি দামী হতে পারে না। পরবর্তীতে চেয়ারম্যান কী করল সেটা জানার অপেক্ষায় রইলাম।।
আসলে ভাই কেউ বিপদে পড়লে তখন সে ঠিক থাকতে পারে না। আর যদি সেটা তার জীবনের অনেক মূল্যবান হয়ে থাকে। আপনার জন্য ধন্যবাদ আশা করছি আগামী পর্বতে ক্লিয়ার হবেন।
ভাই, কারেন্ট থেকে দোকানে আগুন লাগুক কিংবা কেউ শত্রুতা করে আগুন লাগিয়ে দিক, তবে যে লোকটার এত বড় ক্ষতি হয়েছে, সেটা তো পূরণ করতে গিয়ে অনেক চাপে পড়ে যাবে সে। যাইহোক, লোকটা যে প্রাণে বেঁচে গিয়েছে, এটাই অনেক বড় ব্যাপার। এখন গ্রামের লোকেরা সবাই মিলে যদি অল্প অল্প করে সাহায্য করে তাহলে হয়তো আর কোন সমস্যা হবে না।
আসলে ভাই শাহীন ভাইয়ের অনেক ক্ষতি হয়েছিল। তারপরও সে যে বেঁচে গেছে এটাই যেন আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। চেয়ারম্যান অনেক ভালো একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
চেয়ারম্যান লোক হিসাবে ভালো ছিল , এই জন্য ভালো একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
এই গল্পের প্রথম পর্ব আমার পড়া হয়েছিল৷ আজকে এর দ্বিতীয় পর্ব পড়েও খুবই ভালো লাগলো৷ আসলে দোকানে পুড়ে গেলে কারো মাথা কাজ করে না৷ এতোদিনের স্বপ্ন যখন আগুনে ধ্বংস হয়ে যায় তখন সে কষ্ট বলে বোঝানো যায় না৷ আর শাহিন ভাইয়ের মা যখন বলতে থাকেন যে ওনার ছেলেকে আল্লাহ বাঁচিয়ে রেখেছেন এটাই অনেক শুকরিয়া৷ পরবর্তীতে যখন তার অনেক ক্ষতি হয়ে গেল সে ভাবছিল তার কি হবে৷ তখন সকলে তাকে শান্তনা দিচ্ছিল যে, আল্লাহ তাকে রিজিকের পথ দেখাবেন৷ এরপরই চেয়ারম্যান সাহেব সকলকে ডাকলেন৷ তিনি খুব সুন্দর কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন৷ তিনি বললেন যেহেতু তার অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে গিয়েছে তাই তাকে আবারও ব্যবসা করার সুযোগ করে দিতে হবে৷ সকলকেই সাহায্য করার জন্য বলল এবং সকলে রাজি হল৷
অসংখ্য ধন্যবাদ এই পোস্টটি শেয়ার করার জন্য৷ পরবর্তী পর্বে আরো অনেক কিছু জানার আশায় রইলাম৷
আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আসলে শাহীন ভাইয়ের অনেক ক্ষতি হয়েছিল। আর চেয়ারম্যান অনেক ভালো মনের ছিল যার কারণে তার ক্ষতিপূরণ নিয়ে অনেক চিন্তাভাবনা করেছিল।