বন্ধুদের সাথে রাতের বেলা পিকনিক খাওয়ার গল্প//পর্ব-২
তবে আমরা সবাই ছিলাম ছোট। কিভাবে আগুনে পুড়িয়ে মুরগি রেসিপি তৈরি করব, এই বিষয়টি ভালোভাবে আমরা জানতাম না। যার কারণে বাবা আমার মামা ও চাচাকে সাথে দিল, যে ওরা সবাই ছোট তোমরা ওদের পিকনিক সাহায্য করবে।তাই আর মামা ও চাচা আমাদের সাথে খুবই ফ্রি, তাই বন্ধুদের সাথে আমাদের স্কুল মাঠে রাতভর আমরা আনন্দ করবো, আমরা গান বাছার জন্য বক্স নিয়ে এসেছিলাম। তারপরে আমরা বন্ধুরা মিলে অনেক আনন্দের সাথে মাঠের ভিতরে মুহূর্তগুলো উপভোগ করতে ছিলাম। আমার মামা খুবই ভালো রান্না করতে পারে। যার কারণে মামা রান্না শুরু করে দিল, আর মামার সাথে সাহায্য করতে ছিল আমার চাচা, যার কারণে খুবই ভালো লাগতেছিল। আর আমরা বন্ধুরা সবাই মিলে রান্নার কাজে সাহায্য করতেছিলাম। তো প্রথমে ভুনা খিচুড়ি রান্না করলো, আর মামা বলল রাতের বেলায় এই মুরগি আমরা আগুনে পুড়ে খাব। আগে ভুনা খিচুড়ি তৈরি করি আর এই ভুনা খিচুড়ি আমরা বিকেল বেলায় খাব।
তারপর আমাদের খিচুড়ি খাওয়া শেষে আমরা মাঠের ভিতরে অনেক আনন্দের সাথে সেই মুহূর্তটা পার করতেছিলাম। তারপরে সন্ধ্যা নেমে আসলো। আর সন্ধ্যার সময় মামা বলল যে এখুন আমরা মুরগির মাংস গুলো এই আগুনে পুড়বো।যার কারণে আমরা আগুনের ব্যবস্থা করলাম এবং ছোট ছোট লোহার সিক নিয়ে এসেছে আমার চাচা। সিকের সাথে মাংস লাগিয়ে আগুনে হয়।আর আমার বন্ধু বলল যে আমাদের গ্রামে যেহেতু ইটের ভাটা রয়েছে, আর ওখানে কয়লা রয়েছে। আর এই কয়লা দিয়ে পোড়ানো হলে নাকি অনেক ভালো হয়। বন্ধু তার বড় ভাইদের দেখেছে আগুনে পুড়িয়ে খাওয়ার সেই মুহূর্তগুলো।
তারপরে মুরগি পোড়ানোর জন্য কয়লাতে আগুন ধরানো হলো।মামা বলল যে কয়লা দিয়ে মাংস পোড়ালে খেতে মজাদার হয়। তাই আমরা বন্ধুরা মিলে সেখানে বসে থাকলাম। মামা আর চাচা মিলে মুরগির মাংস গুলো ভালোভাবে মসলা দিয়ে মাখিয়ে পোড়ানো শুরু করে দিল। তো বন্ধুরা আজকের পর্ব এখানেই শেষ করছি। আশা করছি আগামী পর্বের জন্য অপেক্ষা করবেন। সেই পর্বে আপনাদের মাঝে বাকি অংশটুকু শেয়ার করবে ইনশাআল্লাহ।
আজ এখানেই শেষ করছি। অন্য কোন একদিন ভিন্ন ধরনের কনটেন্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। ততক্ষন পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
👉বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺
https://twitter.com/mohamad786FA/status/1799384195489546505?t=YKR3DIuKjebjJPNp8xkQug&s=19
ভাই আমার লাইফে আমি অনেকবার বন্ধুদের সাথে রাতে এভাবে পিকনিক করেছি। সেই সাথে খুব সুন্দর একটা মুহূর্ত উপভোগ করেছি। আজকে সেই মুহূর্তগুলো খুব মিস করি। আপনার পোস্ট দেখে সেই পুরনো কথা মনে পড়ে গেল। তবে আপনিও দেখছি বন্ধুদের সাথে এভাবে রাতে পিকনিক করে বেশ আনন্দঘন একটা মুহূর্ত পার করেছেন। আপনারা দেখছি দ্রুত খাওয়ার জন্য মাংস দিয়ে খিচুড়ি রান্না করলেন। শুনেই তো খিদে লাগছে । কারণ মাংস দিয়ে খিচুড়ি রান্না করলে খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে । অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই শেয়ার করার জন্য। আপনার পরবর্তি পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
আগুনে পুড়িয়ে পিকনিক ভীষন চমৎকার খাবার।আসলে পিকনিক খেতে খুব ভালো লাগে আর পিকনিকের রান্না যেমনি হোক না কেন ভীষণ মজা হয়।আপনার দেখছি মজা করে কলার পাতায় মাংস দিয়ে ভুনা খিচুড়ি খেয়েছেও মুরগী পুড়িয়ে খেয়েছেন ভালো লাগলো আপার পিকনিকের স্মৃতিচারণ পোস্ট টি।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট টি ভাগ করে নেয়ার জন্য।
বন্ধুদের সাথে মাঠের ভিতর পিকনিক করার একটা আলাদা মজা রয়েছে। তবে যদি নৌকায় পিকনিক করতে পারতেন, তাহলে আরো বেশি মজা হত। এক্ষেত্রে আপনার বাবা যদি অনুমতি দিত তাহলে হয়তো আর সমস্যা হতো না। যাইহোক, আমি যতবার পিকনিক করেছি কখনো ভুনা খিচুড়ি খাইনি। আমরা সবসময় তান্দুরি চিকেন এবং বিরিয়ানি করতাম। আপনাদের সেই আনন্দঘন মুহূর্তের কথাগুলো পড়ে অনেক বেশি ভালো লাগলো ভাই।