আমি আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন রেসিপি তুলে ধরার চেষ্টা করছি।আপনাদের মাঝে আজ এমন একটি রেসিপি উপস্থাপন করতে যাচ্ছে যেটি আমাদের এলাকার খুবই বিখ্যাত একটি রেসিপি।আশাকরি রেসিপিটি আপনাদের সবার অনেক ভালো লাগবে।

আমরা বেশিরভাগ মানুষ চিংড়ি মাছ খেতে খুবই পছন্দ করি।চিংড়ি মাছ পছন্দ করিনা এরকম খুবই অল্প সংখ্যক মানুষ পাওয়া যাবে।চিংড়ি মাছ দিয়ে আমরা মজাদার মজাদার বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে থাকি।আজ আমি আপনাদের মাঝে চিংড়ি মাছের মজাদার রেসিপি গুলোর মধ্যে একটি রেসিপি তুলে ধরবো।আজ চিংড়ি মাছের রেসিপিটি আমি তৈরি করেছি সেটি হল “মুলার শাক দিয়ে চিংড়ি মাছের পিটুলি”।আপনারা অনেকেই হয়তো চিংড়ি মাছের এই রেসিপিটি খেয়েছেন। কারণ মুলার শাক দিয়ে চিংড়ি মাছের এই পিটুলি খেতে খুবই সুস্বাদু। যা আমার অনেক পছন্দের একটি খাবার।আজ আমি আপনাদের মাঝে এই মজাদার রেসিপির প্রত্যেকটা ধাপ খুবই সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করব। আশা করি আপনাদের সবার অনেক ভাল লাগবে। তো চলুন তাহলে আর বেশি দেরি না করে শুরু করা যাক......

উপাদান	পরিমাণ
চিংড়ি মাছ	২৫০ গ্রাম।
মুলার শাক	৩ আঁটি।
পেঁয়াজ কুচি	৩টি।
কাঁচা মরিচ কুঁচি	২টি।
রসুন কুঁচি	২টি।
তেজপাতা	২ টি।
চাউলের গুঁড়া	পরিমাণমতো।
মরিচের গুঁড়া	পরিমানমতো।
হলুদের গুঁড়া	পরিমানমতো।
সজের গুঁড়া	পরিমাণমতো।
জিরা গুঁড়া	পরিমানমতো।
আদা বাটা	পরিমানমতো।
রসুন বাটা	পরিমানমতো।
লবণ	পরিমানমতো।
জিরা	পরিমাণমতো।
সয়াবিন তেল	পরিমানমতো

প্রথমেই মুলার শাক গুলো ভালোভাবে কুচি কুচি করে কেটে নিতে হবে। তারপর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর অন্যান্য উপকরণ যেমনঃ হলুদের গুড়া, মরিচের গুড়া, সজের গুঁড়া, আদা বাটা, রসুন বাটা এবং লবণ নিতে হবে।

সকল উপকরণ ভালোভাবে মাখিয়ে হালকা পানি দিয়ে তা কষাতে দিলাম। ৭/৮ মিনিট ভালোভাবে কষিয়ে নিলাম।

এরপর অন্য একটি বাসনের চিংড়ি মাছ গুলো নিলাম। চিংড়ি মাছের সাথে পরিমাণমতো মরিচের গুরা, হলুদের গুরা, সজের গুঁরা, আদা বাটা, রসুন বাটা এবং লবণ নিলাম। এবং অন্য একটি কড়াইয়ে সোয়াবিন তেল দিয়ে পেঁয়াজ কুচি এবং মরিচ কুচি ভাজলাম।

পেঁয়াজ কুচি এবং মরিচ কুচি ভাজার পর চিংড়ি মাছ গুলো কড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে দিলাম। এবং কষানোর জন্য পরিমাণমতো পানি দিলাম।

বেশকিছু সময় নিয়ে চিংড়ি মাছ গুলো ভালোভাবে কষিয়ে নিলাম।

জ্বাল দেওয়া মুলার শাক এর মধ্যে এবার কষানো চিংড়ি মাছ গুলো দিলাম।

তারপর আবারো পরিমাণমতো পানি দিলাম। পানি দেওয়ার পর ৫/৬ মিনিট ভালোভাবে জ্বাল দিলাম।এরপর পানি দিয়ে মাখিয়ে রাখা চাউলের গুড়ো পরিমাণমতো দিয়ে দিলাম। মূলত পিটুলি করার জন্য এ চাউলের গুড়া দেওয়া হয়েছে।

তরকারির সমভার দেওয়ার জন্য অন্য একটি কড়াইয়ে সোয়াবিন তেল দিয়ে পেঁয়াজ কুঁচি, রসুন কুঁচি,তেজপাতা ও জিরা ভাজলাম ।

এবার ভাজা পেঁয়াজ কুঁচি, রসুন কুঁচি গুলো তরকারির মধ্যে দিয়ে দিলাম ।

আমার নাম মোঃ ফয়সাল আহমেদ ।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবসি ।আমি সর্বদাই গরীব-দুঃখীদের সেবায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং নতুন সৃজনশীলতার মাধ্যমে কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে।

👉বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺