বন্ধুত্বের বন্ধন স্মৃতিময় গল্প//পর্ব-১//
বন্ধু ছাড়া যেন লাইফটা কল্পনা করা যায় না। আসলে জীবনে যদি বন্ধুই না থাকে তাহলে সে জীবনে কোন আনন্দ হাসি উল্লাস নেই। আর বন্ধু ছাড়া লাইফ ইম্পসিবল কথায় আছে। বন্ধু ছাড়া যেন জীবনটা চলে না। আসলেই তাই বন্ধু ছাড়া জীবনটা যেন একদম মূল্যহীন। জীবন আনন্দময় মুহূর্ত প্রয়োজন রয়েছে। আর জীবনে প্রতিটা ক্ষেত্রে বন্ধুত্বের ভূমিকা অপরিসীম। বন্ধু যদি বন্ধুত্বর মর্যাদা দিতে পারে তাহলে সেই সম্পর্ক হয়ে ওঠে মধুর। আর বন্ধু থেকে আবার শত্রুতার রূপ নেয় আর এই রুপটা ভয়াবহ হয়। কিন্তু প্রিয় বন্ধুদের সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক সারা জীবন থেকে যায়।প্রিয় বন্ধুরা হৃদয়ের মাঝে থেকে, কখনোই মুছে ফেলা যায় না। এই বন্ধু গুলো হৃদয়ে জায়গা করে নেয়। আর জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বন্ধুত্বের স্মৃতিগুলো হৃদয়ের মাঝে থেকে যায়। হয়তো সম্পর্কের দূরত্বের কারণে বন্ধুদের সাথে আগের মত আর মেশা হয়না। কিন্তু বন্ধুত্বের সম্পর্কটা হৃদয়ের মাঝে থেকে যায় সারাজীবন।
বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমার প্রিয় বন্ধু আদিতের সাথে কিভাবে বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি হল এবং আদিত আমার প্রিয় বন্ধু কিভাবে হলো সেই গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আমাদের বন্ধুত্বের সম্পর্কটা কত গভীরে ছিল সেই গল্প নিয়ে হাজির হয়েছি, আশা করছি আমাদের প্রিয় বন্ধুত্ব হওয়ার গল্পটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে। তোর সময়টা ছিল ২০১২ সাল আমি তখন ক্লাস সিক্সে ভর্তি হয়েছি। আর আদিত্য তখন ক্লাস সিক্সে নতুন করে ভর্তি হয়েছে। প্রথমে আদিতের সাথে আমার কোন সম্পর্ক ছিল না। আমি স্কুলে ভর্তি হওয়ার পরে ঔ ভাবে কাউকে চিনি না যা কারণে বন্ধুত গড়ে ওঠেনি।শুধু ক্লাস করতাম আর বাসাই আসতাম।এভাবে চলতে লাগল এক মাস। এক মাসের মধ্যে আমার শুধু একজন বন্ধুত্ব হয়েছিল। যার নাম রফিক। রফিক এর সাথে মোটামুটি ভালো সম্পর্ক ছিল। ক্লাসে খুব ভালো পাড়া শোনা করতাম আমি আর রফিক তাই স্যাররা খুব ভালো বাসতো আমাদের।আদিতও খুব ভালো ছাত্র ছিলো,যা কারণে স্যাররা আদিতকেও খুব ভালোবাসতো।
ক্লাসে আদিত খুব ভালো পড়াশোনা করত। যার কারণে আমি আর রফিক আদিতের সাথে ওই ভাবে মিশতাম না এবং মনে মনে প্রতিজ্ঞা করতাম,আদিতের চাইতে ভালো রেজাল্ট করব। মনে মনে হিংসা ছিল পড়াশোনা নিয়ে এবং গুরুত্বপূর্ণ কথা ছাড়া আমরা ক্লাসে আদিতের সাথে কথা হতো না। পড়াশোনার বিষয় হলে কথা বলতাম। তাছাড়া এমনি বন্ধুদের মতো কোন কথা বলিনি,আদিত ও আমাদের সাথে বলতো না।একদিন স্কুল ছুটি শেষে আমরা হেঁটে যাচ্ছিলাম রাস্তার পাশ দিয়ে। আর আদিত প্রতিদিন সাইকেল নিয়ে স্কুলে আসা যাওয়া করতে। আর সাইকেল নিয়ে সে দিনও যাচ্ছিল যাওয়ার পথে একটি ভ্যান এর সাথে তার সাইকেলের ধাক্কা লাগে।আর রাস্তার নিচে পড়ে যায়। আর রাস্তার নিচে ছোট একটি পুকুর ছিলো, পুকুর এর মধ্যে পড়ে যায়। এটা দেখে আমি আর রফিক দূরে চলে গেলাম এবং পুকুরে নেমে সেখান থেকে আদিতকে তুলে নিয়ে আসলাম এবং তুলে নিয়েছে দেখি তার হাত এবং পা কেটে গেছে। তখন আমরা পাশের একটি ঔষধের দোকান ছিল সেই দোকানের ডাক্তার আদিত পরিষ্কার করে এবং দুটি সেলাই দেয়।
আদিতকে সেলাই দিয়ে আমরা কিছুক্ষণ ওখানে বসে থাকলাম। তারপর একটু সুস্থতা বোধ করলে আদিতকে ধরে নিয়ে ওর বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। আমরা আদিতের বাড়িতে আসলাম এবং আদিত এর আম্মাকে সব বললাম। ওর আম্মা আমাদের রুমে নিয়ে গেল এবং আদিতকে জড়িয়ে ধরল কান্না করে দিলে এবং বলল যে আজকে এই বন্ধু গুলো ছিল বলে আজ ঠিকঠাকভাবে পৌঁছে পারলা।তখন আদিত আমার আর রফিকের হাত ধরে বললো অনেক ধন্যবাদ বন্ধু তোমাদের।তখন রফিক বললো কিসের ধন্যবাদ, তুই তো আমাদের বন্ধু রে।আদিত তখন একটা হাসি দিল বলল বন্ধু অনেক ধন্যবাদ রে।তখন খুবি ভালো লেগেছিলো।আদিতের আম্মা আমাদের বাড়ি আসতে দিলো না।বললো আজকে খেয়ে তারপর বাড়ি যাইবা তোমরা।তখন আমাদের জন্য রান্না শুরু করে দিলো আদিতের আম্মা।
আজ এখানেই শেষ করছি। আবারো অন্য কোনদিন ভিন্ন কোনো কন্টেট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। ততক্ষন পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, এই দোয়া রইল। আল্লাহ হাফেজ।🙏🤲🙏
আমার নাম মোঃ ফয়সাল আহমেদ ।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবসি ।আমি সর্বদাই গরীব-দুঃখীদের সেবায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং নতুন সৃজনশীলতার মাধ্যমে কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে।
👉বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺
ওয়ালাইকুম আসসালাম,
আপনার বন্ধুত্বের গল্পটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো। আসলেই বন্ধু ছাড়া লাইফ অচল। একটা অ্যাক্সিডেন্টের মাধ্যমে আপনাদের বন্ধুত্ব হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। আসলে বন্ধুত্ব কখন কিভাবে হয়ে যায় তার কোন ঠিক নেই। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সাথে আদিত ভাইয়ের বন্ধুত্বের গল্পটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ
আসলে ভাই আপনি ঠিকই বলেছেন বন্ধু ছাড়া জীবন যেমন চলে না ,তেমনি জীবনটা মূল্যহীনও বটে ।আদিতের সাথে আপনার বন্ধুত্ব হওয়ার গল্পটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো । আসলে বিপদে কাউকে সাহায্য করাই তো প্রকৃত বন্ধুর কাজ । খুব ভালো একটি মুহূর্তের মধ্য দিয়ে আপনাদের বন্ধুত্ব হয়েছিল । বিষয়টি আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো । ধন্যবাদ আপনাকে ।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
ভাইয়া আদিতের সাথে আপনার বন্ধুত্ব হওয়ার গল্প পড়ে আমার বান্ধবীর কথা মনে পড়ে গেল। তার সাথেও আমার বন্ধুত্ব হওয়ার গল্প অনেকটা এমনি। আমিও একদিন সেই গল্প শেয়ার করবো। আপনার এই গল্প পড়ে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ সুন্দর একটি বন্ধুত্বের গল্প শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ
আমার কাছে বন্ধুত্বের গল্প গুলো একটু বেশি ভালো লাগে। আপনার বন্ধুত্বের গল্প পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। আপনার বন্ধু আদিত্য এর সাথে কিভাবে বন্ধুত্ব হলো তা খুবই সুন্দরভাবে শেয়ার করেছেন। আপনাদের তিন বন্ধুর আগের মত যেন বন্ধুত্ব থাকে আমি শুধু সেই কামনা করি। বন্ধু মানে ডেয়ারিং , কেয়ারিং , শেয়ারিং। যে বন্ধুর বিপদে গিয়ে আসে সেই হলো প্রকৃত বন্ধু। যারা বন্ধুর বিশ্বাস ভেঙে দেয় তারা কখনো প্রকৃত বন্ধু হতে পারে না। আপনার দ্বিতীয় পর্ব দেখার অপেক্ষায় থাকবো। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি আমাদের মাঝে হাজির হবেন দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে।
ধন্যবাদ ভাই
বন্ধুত্ব এমন একটা সম্পর্ক যেটা কখনোই ছিন্ন হয় না এবং বন্ধুদের সাথে এমন অনেক কিছু শেয়ার করা যায় যেটা মা-বাবা এবং ভাই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করা যায় না। আপনার আদিতের সাথে সম্পর্ক শুরুর বিষয়টি অনেক ভালো লেগেছে। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করবো তবে আমরা ছোটবেলায় এরকম একটি বন্ধু ছিলো তবে দুঃখের বিষয় সেই বন্ধুটি এক বছর আগে মারা যায়।।
আপনার মতামতের পেয়ে খুবি ভালো লেগেছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
আসলেই বন্ধু বিহীন জীবনের কথা কল্পনাই করা যায় না। ঠিকই বলেছেন দূরত্বের কারণে এবং মানুষের ব্যস্ততার কারণে বন্ধুত্ব হয়তো থাকে না তবে বন্ধুত্বের সম্পর্কটা আজীবন রয়ে যায়। আদিতের সাথে আপনার বন্ধুত্বের সম্পর্কটা আসলেই অলৌকিকভাবে তৈরি হয়ে গিয়েছে। মানুষের মধ্যে কখন যে বন্ধুত্ব তৈরি হয়ে যায় টেরই পাওয়া যায় না। ঐদিন ওই দুর্ঘটনা টা না ঘটলে হয়তো অত তাড়াতাড়ি বন্ধুত্বটা হয়ে উঠতো না। ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার গল্পটি পরে।
অনেক ধন্যবাদ আপু
জীবনের সবচাইতে বড় একটি অধ্যায় হচ্ছে বন্ধু নির্বাচন। আর সে ক্ষেত্রে যদি বন্ধু অসৎ হয়ে পড়ে, তাহলে নিজের অবশ্যই ক্ষতি হয়। আর সৎ বন্ধু যদি হয় তাহলে তো কোন কথাই নেই। তবে বর্তমানে সৎ বন্ধু পাওয়াটা খুবই মুশকিল। স্বার্থপরতায় ভরে আছে সব দিকে। যাইহোক আপনার বন্ধুত্বের বন্ধন স্মৃতিময় গল্পটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ ভাই
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, মন্তব্যের যথাযথ মূল্যায়ন করার জন্য। ভালো থাকবেন সর্বদায়।
আপনার বন্ধুত্বের গল্পটা পড়ে বেশ ভালো লেগেছে। এটি পড়ে আমার নিজের বেশ কিছু বন্ধুর কথা মনে পরে গেলো। আসলে বন্ধুত্বের সম্পর্ক অনেক মধুর হয়ে থাকে। বেশ ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়ে উঠেছেন আপনারা বলতেই হবে।
আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ