🐟বন্ধুর সাথে বড়শি দিয়ে মাছ ধরার গল্প🐠পর্ব-১🐠By mohamad786 [10% Beneficiary @shy-fox]
ছোটবেলা বন্ধুর সাথে হাজারো স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে আমাদের জীবনে। আর এই স্মৃতিময় দিনগুলো যখন আমরা মনে করি তখন খুবই ভালো লাগে। কারণ ফেলে আসা দিনের গল্পগুলো ভাবতে যেমন ভালো লাগে তেমনি সেই ফেলে আসা দিনের স্মৃতিময় মুহূর্ত গুলো অনেক মনে পড়ে। তাই আজকে আমি আপনাদের মাঝে বন্ধুর সাথে বড়শি দিয়ে মাছ ধরার একটি গল্প শেয়ার করব। এই গল্পটি আমার জীবনে এক ঐতিহ্যবাহী এরকম গল্প আর হয়নি। এই গল্পটি আমার জীবনে একবারই ঘটেছিল। আমার বন্ধু মানিকের সাথে। বন্ধু মানে আমার সস্পর্কে চাচাতো ভাই হয়।আমরা ভাই হলেও বন্ধুর হিসাবেই থাকতাম। আর আমি ও মানিক সবসময় একি সাথে থাকতাম।কারণ আমাদের বাড়ি পাশাপাশি ছিল।তাই সব সময় একসাথে খেলাধুলা করতাম।
আমরা তখন ক্লাস ফোরে পড়ি। আমাদের বন্ধুত্বের এই মুহূর্তটা ছিল অসাধারণ। সব সময় ঘোরাফেরা স্কুল থেকে এসেই বন্ধুর সাথে বের হতাম। খেলাধুলার নিয়ে ব্যস্ত থাকতাম। স্কুল থেকে এসে ভাত খেয়ে খেলতে যেতাম মাঠে। তো একদিন মানিক বলল চল আজকে আমরা বড়শি দিয়ে নদীর ধরতে যাবো, বিকেলবেলা নদীর পারে অনেকেই বড়শি দিয়ে মাছ ধরে এবং মাছ ধরার মূহুর্ত সত্যি অসাধারণ। তাই আমি আর মানিক দোকান থেকে বড়শি কিনে এবং বাঁশের কুন্চি দিয়ে বড়শির সিপ বানিয়ে কিনে আমরা নদীর দিকে রওনা দিলাম এবং নদীতে গিয়ে দেখতে পেলাম অনেকেই বড়শি দিয়ে মাছ ধরছে। তোমার আমারা একটি নৌকার উপরে বসে,বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে ছিলাম। মানিকের বসিতে মাছ ধরল না। তবে আমার বড়শিতে একটি টেংরা এবং দুটি পুঁটি মাছ উঠলো। আমার খুবই ভালো লাগে ছিল।
আসলে বড়শি দিয়ে মাছ ধরার মধ্যে অনেক আনন্দ রয়েছে। যখন বড়শি দিয়ে মাছ ধরবো ওই সময় খুবই আনন্দ হয়। এবং বড়শিতে মাছ ধরে উপরে তোলা যায়, তখন আরো বেশি ভালো লাগে। তাই আমার খুবই ভালো লাগতেছিল। যখন আমার বড়শিতে মাছ ধরতে ছিল। কিন্তু আমার বন্ধুর বড়শিতে মাছ ধরতে ছিল না। যার কারণে বন্ধু অনেক মন খারাপ। তারপরে বন্ধু চেষ্টা করছিল। এমন সময় বন্ধু বলল তুই এখানে থাক আমি একটু নদীর ঐ পাশে থেকে আসছি।তো বন্ধু মানিককে বললাম ঠিক আছে আমি তাহলে এখানে বসে মাছ ধরে। তুই তাহলে ওই দিক থেকে একটু ঘুরে আয়, আর যদি ওখানে মাছ ধরে তাহলে আমাকে ডাকবি। আমি ওখানে আবার যাবো, তো বন্ধু বললো ঠিক আছে, এই বলে মানিক ঐ দিকে চলে গেলো।
আমি সেই নৌকার উপর বসে থেকে আরো অনেক পুঁটি মাছ ধরতে ছিলাম। আর আমার খুবই ভালো লাগতেছিল।কিছু সময় পর হয়ে গেলো তা দেখি বন্ধু আসছে না। আমি ভাবলাম কি হয়েছে ওর। তার পরে ভাবলাম হয়তো ওখানে মাছ পেয়েছে তাই ওখানে ধরছে, তো একটু পরে দেখি মানিক দৌড়ে এসেছে আমার কাছে হাতে বড় একটি বোয়াল মাছ,আমাকে বলল চল আজকে আর মাছ ধরবো না।মানিকের হাতে এত বড় বোয়াল মাছ দেখে আমি আশ্চর্য হয়ে গেলাম। তারপর বলতে লাগলাম এতো বড় বোয়াল মাছ কিভাবে ধরলি।মানিক আমাকে বললো তোকে সব বলব এখন তাড়াতাড়ি বাড়ি চল। আমি বারবার জানতে চাইলাম, কিন্তু তখন মানিক কিছুই বলল না। বলল চল আগে বাড়ি যাই। বাড়ি গিয়ে তার পরে তোকে বলবো, তো আমরা দুই বন্ধু তখনি বাড়ির দিকে রওনা দিলাম,,,,।
আমার নাম মোঃ ফয়সাল আহমেদ ।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবসি ।আমি সর্বদাই গরীব-দুঃখীদের সেবায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং নতুন সৃজনশীলতার মাধ্যমে কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে।
👉বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺
story steemexclusive bangladesh amarbanglablog krsuccess friend fish
ঠিকই বলেছেন আপনি বন্ধুত্বের স্মৃতি কখনো ভোলার নয় সব সময়ই স্মৃতি হয়ে থেকে যায় মনের মনে কোথায়।।
আর জীবনে এমন কিছু বন্ধু থেকে যায় যাদেরকে জীবনে চলার পথে প্রতিটা পর্যায়ে মনে পড়ে।।
আপনার মত আমরাও মাছ ধরেছি বন্ধুদের সাথে তবে নদীতে
।।
বর্ষার সময় যখন নদী পানিতে ভরে যেত তখন মাঝে মাঝেই আমরা বিকেল বেলা বন্ধুরা মিলে বড়শি নিয়ে নদীর পাড়ে বসে আড্ডা দিতাম এবং মাছ ধরতাম কতই না ভালো ছিল সেই দিনগুলো।।
আপনার গল্পের প্রথম পর্ব পড়ে খুবই ভালো লেগেছে অবশ্যই দ্বিতীয় পর্ব এর থেকে আরও আকর্ষণীয় হবে আশায় রইলাম দ্বিতীয় পর্ব পড়ার।।
আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ ভাই
বন্ধু মানে জীবনের এক অধ্যায়। বন্ধু ছাড়া মনে হয় জীবন অপূর্ণ থেকে যায়। যাই হোক আপনার আর মানিক ভাইয়ের মাছ ধরার গল্প পড়ছিলাম আর ভাবছিলাম মানিক ভাই যেহেতু অন্য পাশে গিয়েছে তাহলে মাছ ধরে নিয়ে আসবে। মাছ ত ধরেছে ঠিকই কিন্তু মনে হচ্ছে বড় কোন রহস্য রয়েছে সেই বোয়াল মাছের পিছনে। পরের পর্বের আশায় রইলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া।
জি ভাইয়া এই বোয়াল মাছের পিছনের রহস্য আছে। রহস্যটা আগামী পর্ব আপনাদের জানাবো।
ভাইয়া আপনি ঠিকই বলেছেন বন্ধুর সঙ্গে কাটানো স্মৃতিময় দিনগুলির কথা যখনই মনে পড়ে তখনই বেশ ভালো লাগে । আসলে বন্ধুর সঙ্গে কাটানো দিনগুলি সহজে ভোলা যায় না । আপনি আর আপনার বন্ধু মানিক দুজন মিলে নৌকার উপর বসে মাছ ধরছিলেন সত্যি বেশ আনন্দের সময় ছিল । আর আপনি পুঁটি ও টেংরা মাছ ধরেছিলেন জেনে বেশ ভালো লাগলো । তবুও তো কিছু একটা মাছ পেয়েছিলেন । আপনার বন্ধু শেষমেষ বড় একটি বোয়াল মাছ পেয়েছিল জেনে ভীষণ ভালো লাগলো । কিন্তু কিভাবে বোয়াল মাছটি ধরেছিল তা জানতে পারলাম না । পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম । ধন্যবাদ ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি সুন্দরভাবে পড়ার জন্য এবং পরবর্তী পর্বে কিভাবে আমার বন্ধু বোয়াল মাছ পেয়েছিল সেই বিষয়টি জানাবো আপনাদের।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন। ছোটবেলা বন্ধুর সাথে হাজারো স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে আমাদের সকলের জীবনে। আর এই স্মৃতিময় দিনগুলো যখন আমরা মনে করি তখন খুবই ভালো লাগে।
মানিক যেভাবে দৌড়ে এসে আপনাকে বললো,,চল আজ আর মাছ ধরবো না।আপনি তো ওর হাতে এত বড় বোয়াল মাছ দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন।যাইহোক কিভাবে এত বড় বোয়াল মাছ উনি তুললেন সে গল্পটা আগামী পর্বে শুনবো। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর গল্প শেয়ার করার জন্য♥♥
আমার পোস্টটি খুবই সুন্দর ভাবে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু, এবং আগামী পর্বে আমি কিভাবে মানিক বড় বোয়াল মাছ পেয়েছে সে বিষয়ে আলোচনা করব।
ভাইয়া ছোটবেলার বন্ধুত্বের স্মৃতি কখনো ভুলার নয়। আমিও ছোটবেলায় বাড়ির সামনে পুকুর থেকে বড়শি দিয়ে মাছ ধরেছি। আপনার বন্ধু এত বড় বোয়াল মাছ কোথা থেকে পেয়েছে তা জানার অপেক্ষায় রইলাম। আপনার এই সুন্দর গল্প পড়ে অনেক ভালো। ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।