গল্প// মনবতার হাত বাড়িয়ে দাও //পর্ব-২

in আমার বাংলা ব্লগlast year

আসসালামু-আলাইকুম/আদাব।

হ্যালো বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।হ্যাঁ, আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @mohamad786 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের সিরাজগঞ্জ জেলায় বাস করি।আমির সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজে অধ্যায়নরত আছি।

আমাদের সমাজে অনেক মানুষ বসবাস করছে। যারা একটু সহযোগিতা পেলে অনেক বড় কিছু করতে পারবে। আর এই সহযোগিতার হাত যদি আমরা বাড়িয়ে দিই, তাহলে সেই মানুষটি আর্থিকভাবে যেমন সুবিধা পাবে, তেমনি আত্মমর্যাদা নিয়ে বেঁচে থাকতে পারবে। আসলে সাহায্য করাটাই যেন বড় নয়,সাহায্য এমনভাবে করা উচিত যেন সেই মানুষটির সাহায্যে নিচ্ছে এটা যেন প্রকাশ না পায়। আসলে অনেক মানুষ রয়েছে যারা সাহায্য চাইতে পারে না এবং নিজেও কিছু করতে পারেনা অর্থের অভাবে। সেই সকল মানুষদের আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত সাহায্য করা এবং তাকে সাহায্য না করিয়েও ঋণের মাধ্যমে তাকে ভালো একটি পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া। এরকম অনেক মানুষ রয়েছে যাদের দক্ষতা রয়েছে, কর্ম করে অনেক কিছু করতে পারার শক্তি রয়েছে কিন্তু তাদের একটু সহযোগিতা দরকার, আর এরকম সহযোগিতা করলে সেও যেন সমাজের অনেক ভালো পর্যায়ে যেতে পারবে। তেমনি ঘটেছে রতন ভাইয়ের ক্ষেত্রে। তো বন্ধুরা আজকে আমি দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হলাম।

sunset-1807524_1280.jpg

source

রতন ভাই একজন ভালো মনের মানুষ। আর সে সততার সাথে ব্যবসা করে। যার কারণে গ্রামের উচ্চ পর্যায় থেকে শুরু করে নিম্ন পর্যায়ের সকল মানুষ রতন ভাইকে ভালোবাসে। এমনকি আমাদের গ্রামের চেয়ারম্যান সাহেব রতন ভাইকে খুবই বিশ্বাস করে। আসলে তার কাছে কেউ প্রতারিত হয়েছে এমন কোন ঘটনাই ঘটেনি বরং তার কাছে অনেক গরীব দুঃখীরা আমানত জমা রাখতো।এরকম একজন বিশ্বস্ত মানুষ ছিলেন রতন ভাই। রতন ভাই খুবই ভালো মনের মানুষ ছিলেন, আর এই দোকানটি চালিয়ে তার পরিবার চলতো। দোকানটি পুড়ে যাওয়াতে রতন ভাই খুবই কষ্ট পায়। আর গ্রামের মানুষ অনেক কষ্ট পায়। যার কারণে গ্রামের মানুষ ও গ্রামে চেয়ারম্যানের উদ্যোগে তাকে সাহায্য করতে চায়, কিন্তু রতন ভাই সাহায্য চাই না। সে ঝণ চেয়েছিলো, তাই ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় এবং গ্রামের সকল যুবকেরা সহযোগিতা করা শুরু করে দেয় এবং রতন ভাইয়ের দোকানটি আগে ছিল ট্রিনের, তারপরে গ্রামের মানুষ সুবিধ করে তার দোকানটি ইট দিয়ে পাঁকা করে দেয়। এবং আগের চাইতে অনেক ভালো করার পরিকল্পনা করা হয় মএই দোকানটি তৈরি করা শুরু হয়ে গেল এবং গ্রামের সকল মানুষ সাথে থেকে খুব তাড়াতাড়ি দোকানটি তৈরি করে দিল এবং দোকানে আগের চাইতে অনেক বেশি মালামাল তুলে রতন ভাই।


রতন ভাইয়ের দোকানে আগে চা বিক্রি করতো। এখনো চা জন্য আর তাকে বানাতে হয় না, কারেন্টের একটা মেশিন কেনা হয়। সেখানে সে খুব সহজেই চা আমাদের দিতে পারে এবং সাথে কপিও ব্যবস্থা করা হয়। আর তার দোকানে সুন্দর একটি টিভির ব্যবস্থা করা হয়, কারণ গ্রামের বাজারের পাশেই দোকানটি। যার কারণে গ্রামের মানুষ এই রতন ভাইয়ের দোকানে এসে আড্ডা দিতে থাকে, আর চা খেতে খাকে। দোকানটি আগের চাইতে খুব ভালোভাবে চলতে লাগলো এবং রতন ভাইয়ের মুখে তখন হাসি ফুটে উঠলো।


people-2608145_1280.jpg

source

প্রত্যেকদিন বিকেল বেলা রতন ভাইয়ের দোকানে ভিড় লেগে থাকত। আসলে রতন ভাইও ভাবিনি তার দোকানটি পুড়ে যাওয়ার পরে এত সুন্দর একটি ব্যবস্থা করা হবে। আসলে মানুষ যখন সততার সাথে জীবন গড়ে, তাখন তার বিপদে সবাই এগিয়ে আসে। আর সততাই মানুষকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যায়। যদি রতন ভাই সততার সাথে ব্যবসা না করতো, গ্রামের মানুষ তাকে না ভালোবাসতো। তাহলে তার দোকানটি পুড়ে যাওয়ার পরে সে আর এভাবে কখনোই দাঁড়াতে পারতো না। তাকে সাহায্যর হাত পাততে হতো। আর এই সাহায্য নিয়ে তাকে বেঁচে থাকতে হতো। আর সাহায্য নিয়ে সে কখনোই ভালোভাবে জীবন করতে পারত না। তাই রতন ভাইয়ের দোকানটি আগের চাইতে যখন ভালো চলতে লাগলো তখন রতন ভাইয়ের মুখে হাসি ফুটে উঠলো এবং গ্রামের মানুষকে তখন রতন ভাই আরো বেশি ভালোবাসে শুরু করলো।


এভাবেই গ্রামের সকল মানুষের সহযোগিতায় এবং গ্রামের চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় রতন ভাই নতুনভাবে তার জীবন করতে শুরু করলো। আসলে আমাদের প্রত্যেকটা সমাজে এরকম মানুষকে দরকার, আর আমরা যদি সততার সাথে জীবন গড়ি, তাহলে গ্রামের মানুষের কাছে আমরাও প্রিয় হয়ে উঠবো এবং এই প্রিয় হওয়ার কারণে আমরা যখন বিপদে পড়বো তখন আমাদের পাশে এসে দাঁড়াবে, ঠিক রতন ভাইয়ের পাশে যেমন দাঁড়িয়ে ছিল। আর রতন ভাই সাহায্য চাইনি সে এসেছিল ঋণ কারণ সাহায্য প্রত্যেক দিন মানুষ করে না। একবার দুইবার সাহায্য করলেই পরবর্তীতে মানুষ তাকে সাহায্য করতে যেন দ্বিধা বোধ করে। তাই রতন ভাই চেয়েছিল নিজে কিছু করবে, যার কারণে সে আবারো সফলতার সাথে জীবন করতে শুরু করেছে। তো বন্ধুরা আগামী পর্বের মাধ্যমে আপনাদের সাথে শেয়ার করব রতন ভাই কত দিনের মধ্যে তার এই ঋণ পরিশোধ করে দিয়ে আর সফলতা অর্জন করেছিলো।

আজ এখানেই শেষ করছি। আবারো অন্য কোনদিন ভিন্ন কোনো কন্টেট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। ততক্ষন পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, এই দোয়া রইল। আল্লাহ হাফেজ।🙏🤲🙏

banner-abbVD.png

আমার পরিচয়

IMG_20220525_014109.jpg

আমার নাম মোঃ ফয়সাল আহমেদ ।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবসি ।আমি সর্বদাই গরীব-দুঃখীদের সেবায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং নতুন সৃজনশীলতার মাধ্যমে কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে।

Amar_Bangla_Blog_logo_png.png

👉বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺

Sort:  
 last year 

রতন ভাইয়ের মানবিক গুণাবলী অনেক ভালো হওয়ার কারণে গ্রামের সকলেই তাকে ভীষণ ভালোবাসতো। আর তাই তার দোকানটি পুড়ে যাওয়ার পরে গ্রামে চেয়ারম্যানসহ সকলে তাকে আবারো সফলভাবে এগিয়ে চলার জন্য সহযোগিতা করেছিল। আসলে ভালো মানুষগুলোর সাথে সব সময় ভালই হয়। যার কারনে রতন ভাই আগের থেকেও এখনকার ব্যবসা জমজমাট করে তুলতে পেরেছে। যাইহোক ভাই রতন ভাইয়ের ঋণ কতদিনে শোধ হলো সে বিষয়ে পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ

 last year 

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ

 last year 

প্রথমত আপনার টাইটেল এ মানবতা বানানটি ভুল হয়েছে। এ ধরনের মানুষ প্রত্যেকটা সমাজে রয়েছে যারা অন্যের কাছে সাহায্য চাইতে পারে না। সমাজের মধ্যে শুধু এই ধরনের কাজ করাকে মানবতা বলে না। এর সাথে বাকি কাজগুলো ও করা উচিত। মানবতার দুনিয়া গড়ে তোলা প্রয়োজন এখন। প্রত্যেকটা মানুষকে মানবিক মানুষ বানানো প্রয়োজন।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই

 last year 

ভাইয়া কষ্ট করে টাইটেলের মানবতা বানান টি ঠিক করে নিবেন। আদৌ কি এখন মানবতা সমাজে আছে। এখন তো দেখি মানবিক মানুষগুলো সমাজে অবহেলিত। রতন ভাই কি পারবে এখন তার লোনগুলো পরিশোধ করতে?

 last year 

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.15
JST 0.028
BTC 56159.14
ETH 2370.54
USDT 1.00
SBD 2.30