স্মৃতিচারণঃছোট বেলা বড়শি দিয়ে মাছ ধরার গল্প//পর্ব-১

in আমার বাংলা ব্লগ7 months ago

আসসালামু-আলাইকুম/আদাব।

হ্যালো বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।হ্যাঁ, আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @mohamad786 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের সিরাজগঞ্জ জেলায় বাস করি।আমির সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজে অধ্যায়নরত আছি।

ছোট বেলার স্মৃতিময়ী অনেক গল্প আমাদের জীবনে রয়েছে। সেই স্মৃতিময় গল্পগুলোর কথা মনে করতে পেরে খুবই ভালো লাগে। আজকে তাই ছোটবেলার একটি গল্প আপনাদের সাথে নিয়ে হাজির হলাম। আসলে এই গল্পটি হলেও ছোটবেলা আমি বন্ধুদের সাথে আমাদের পুকুরে বড়শি দিয়ে মাছ ধরেছিলাম। সেই মুহূর্তগুলো অসাধারণ ছিল। আসলে বড়শি দিয়ে মাছ ধরতেছিল বাড়ির বড়রা। সেই মাছ ধরার দৃশ্য গুলো দেখে আমারও খুব ইচ্ছা করতেছিল।তো সেই দিনের গল্প আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে আসলাম। আশা করছি আজকের এই গল্পটি পড়ে আপনাদের ভালে লাগবে।


আমাদের বাড়ির পেছনে অনেক বড় একটি পুকুর রয়েছে। আর এই পুকুরে প্রতিবছরই মাছ চাষ করা হয়। এখানে অনেক রকমের মাছ চাষাবাদ করা হয়। আর এই পুকুরটি অনেক বড় হওয়াতে পুকুরে মাছ ধরার মুহূর্ত অসাধারণ ছিলো। ঈদের ছুটিতে যখন গ্রামের সবাই আসে। তখন সবাই মিলে এই পুকুরে মাছ ধরে।সেটা অন্যরকম অনুভূতি। আর এই মাছ ধরার মুহূর্তগুলো হয় বড়শি দিয়ে। আসলে পুকুর পাড়ে বসে বড়শি দিয়ে মাছ ধরার দৃশ্য গুলো দেখলে খুবই ভালো লাগে। তখন আমি অনেক ছোট যার কারণে এর আগে কখনো মাছ আমি ধরি নাই। তখন আমি ক্লাস থ্রিতে পড়াশোনা করি। আর আমাদের এই পুকুর থেকে আমার চাচাতো ভাই এবং মামারা এসে মাছ ধরতে ছিল। সেই দৃশ্য আমি দেখতেছিলাম, তাদের মাছ ধরার মুহুর্তটা অসাধারণ ছিল। বিশেষ করে যখন বড়শিতে মাছ ধরে তখন অনেক আনন্দের সাথে সবাই চিৎকার দিয়ে উঠে। সেই মুহূর্তগুলো দেখতে ছিলাম আর এই মাছ ধরার মুহূর্তগুলো উপভোগ করতেছিলাম।

boy-909552_1280.jpg

Source

তারপরে আমার মামার বড়শিতে একটি বড় মাছ যখন ধরা পড়েছিল তখন মামা অনেক আনন্দের সাথে সেই মাছটি ধরতে ছিল। আসলে মামা যখন মাছটি ধরবে সেই মুহূর্তে মাছটপ কামড় দিয়ে সুতা কেটে নিয়ে চলে যায়। আসলে সকলে যেন মাছ ধরার মুহূর্তগুলো উপভোগ করতে ছিল। আর এই মাছগুলো যখন উপরে তুলতে পারে তখনই আনন্দ হয়। কিন্তু উপরে তুলতে না পারার মুহূর্তটা অনেক কষ্টের। তাই মামা তখন খুবই কষ্ট পেল এবংআরও মাছটি ধরার জন্য সেই দোকানে গিয়ে আরও বড়শি কিনে নিয়ে আসলো এবং আমারও ইচ্ছা করলো একটি বড়শি দিয়ে মাছ ধরার জন্য।তাই মামা আমার জন্য বড়শি কিনলো।

বড়শি কিনে নিয়ে আসার পরে মামার সাথে আমি এই বড়শি সুন্দর ভাবে সিপ বানিয়ে নিলাম এবং মামা যেখানে রাখতে বলো আমব সেখানে পেতে বসে থাকলাম। যখনি মাছ ধরবে তখনই এটা টান দিয়ে তুলতে হবে।আমি শক্ত করে ধরে ছিলাম। মামা বললো মাছ খাবার খেতে আসলে আমাকে ডাক দিবে।আমি বললাম ঠিক আছে। তারপরে আমি বড়শি দিয়ে প্রথম মাছ ধরতেছিলাম। সেই মুহূর্তটা অনেক আনন্দ ছিল।

boy-1807518_1280.jpg

Source


আসলে বড়শি দিয়ে মাছ ধরাটা অনেক আনন্দের। যখন বড়শির খাবার খেয়ে যায়,তখন মনে হয় একটুর জন্য মাছ ধরতে পারলাম না।আমি এই বড়শি তুলতে নেই তখন মাছ চলে যাই। আসলে খুব আফসোস লাগে। যখন মাছ তুলতে না পারি। তাই আমি বারবার চেষ্টা করতে ছিলাম। আর তখনই মাছ যেন খাবার খেয়ে যাচ্ছিল। আমি মাছ তুলতে পারছিলাম না। তখন খুবই খারাপ লাগতেছিল। ভাবছিলাম কখন একটা মাছ ধরবো সেই মুহূর্তটা জন্য অপেক্ষা করতেছিলাম। অনেকবার আমার বড়শির খাবার খেয়ে গেছে কিন্তু আমি মাছ উপরে তুলতে পারিনি।

অবশেষে আমার বড়শিতে অনেক বড় মাছ ধরা পড়েছে। আর এই মাছটি আমি উপরে তুলতে পারছি না। কারণ বড়শির মাছ যেন অন্যদিকে ছুটে চলছে। আমি এটাকে ধরে রাখতে পারছিলাম। আমি তাড়াতাড়ি করে মামাকে ডাক দিলাম। মামা দৌড়ে ছুটে এলো, মামা বললো মার আর ছুটতে পারবে না কারণ এবার বড়শিতে ঠিক ভাবে আটকে গেছে। এবার এই মাছ তুলবো, তো বন্ধুরা আপনাদের সাথে পরবর্তী পর্বে শেয়ার করব সেই বাকি অংশটুকু।আমি কি মাছ ধরে পেরেছিলাম আশা করছি সেই পর্বের জন্য অপেক্ষা করবেন।

আজ এখানেই শেষ করছি। অন্য কোন একদিন ভিন্ন ধরনের কনটেন্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। ততক্ষন পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।

standard_Discord_Zip.gif

আমার পরিচয়

IMG_20230821_180423.jpg

আমার নাম মোঃ ফয়সাল আহমেদ ।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবসি ।আমি সর্বদাই গরীব-দুঃখীদের সেবায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং নতুন সৃজনশীলতার মাধ্যমে কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে।

Amar_Bangla_Blog_logo_png.png

👉বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺

Sort:  

You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!

 7 months ago 

আসলেই ভাইয়া পড়শিতে মাছ ধরার মজাটাই অন্যরকম। আমাদের বাড়িতেও বড় পুকুর আছে সেখানে ছোটবেলায় বেশ মাছ ধরেছে এখন আর ওই ভাবে মাছ ধরা হয় না। মাছ ধরতে গিয়ে মাছ না পেলে বেশ কষ্ট লাগে। আপনার মামার বড়শি কেটে নিয়ে চলে গিয়েছে বেশ কষ্টের ব্যাপার ছোটবেলায় আমরা এরকম প্রচুর দেখেছি। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ

Posted using SteemPro Mobile

 7 months ago 

আপনার ছোট বেলায় বড়শি দিয়ে মাছ ধরার গল্পটা পড়ে বেশ ভালো লাগলো ৷ আসলেই বড়শি দিয়ে মাছ ধরার অনুভূতিটা ভীষণ আনন্দের ৷ যখন কোনো মাছ বড়শিতে আটকে যায় তখন বেশ ভালো লাগে ৷ তবে আপনার মামা মতো আমার সাথে এমন কয়েক বার হয়েছে ৷ বড়শি দিয়ে মাছ তোলার সময় শুতো কেটে মাছ পালিয়ে গেছে ৷ তখনকার সেই মুহূর্তটা আসলেই ভীষণ খারাপ লাগার ৷ যাই হোক , আপনার প্রথম পর্ব পড়ে বেশ ভালো লাগলো ৷ পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ৷

Posted using SteemPro Mobile

 7 months ago 

আপনার ছোট বেলার বড়শি দিয়ে মাছ ধরার গল্প পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আমিও এইরকম ছোট বেলায় বড়শি দিয়ে মাছ ধরতাম।তবে আগের মত এখন আর হয় না। আপনি ঠিকই বলেছেন যখন বড়শির খাবার খেয়ে ফেলে আর মাছ ধরতে পারি না তখন খুবই আফসোস হয়।তার পরেও আমরা অনেক চেষ্টা চালিয়ে যায়। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।

 7 months ago 

বড়শি দিয়ে মাছ ধরার মজাই আলাদা। আমিও একটা সময় অনেক ধরতাম তবে এখন তেমন একটা ধরা হয় না। কিন্তু এখনো আমাদের পুকুরে মহিলারা মাছ ধরে। তবে কিছুদিন আগে আমি নিজেও একটি মাছ ধরেছিলাম তাদের সাথে মজা করতে করতে। যাই হোক অবশেষে অনেক সাধনার পর আপনি যে একটা বড় মাছ পেয়েছেন, এটা অনেক সার্থকতা। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 7 months ago 

আসলেই তাই বরশি দিয়ে মাছ ধরার মজাই আলাদা। আপনার চাচাতো ভাই আর মামা মিলে মাছ ধরেছে বরশি দিয়ে আর আপনি তা খুব আনন্দের সাথে উপভোগ করেছেন। বড়ো মাছের কাজেই এটা বরশি কেটে নিয়ে চলে যাওয়া। আপনাকে বরশী দিয়ে বসিয়ে রেখে গেছে আর আপনি মাছ ধরতে পেরে আনন্দেআত্নহারা হয়ে গেছিলেন। সব মিলিয়ে অসাধারণ সুন্দর সব। ধন্যবাদ সুন্দর মূহুর্তের অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.14
JST 0.029
BTC 58068.07
ETH 3133.85
USDT 1.00
SBD 2.44