বাবার সাথে নৌকা করে হাঁটে যাওয়া স্মৃতিময় গল্প // পর্ব-১
ছোটবেলা বাবার সাথে অনেক আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করতাম। আসলে ছোটবেলার সেই দিনগুলোর কথা আজ খুবই মনে পড়ছে। বিশেষ করে বাবার সাথে কত আনন্দ কত মজা করেছি। আমাদের গ্রাম পাশের গ্রামেই হাট বসে। আর এই হাটের দিন আসলে যেন বাবার সাথে হাটে যাওয়ার একটা অন্যরকম অনুভূতি কাজ করতো। বাবা হাটে নিয়ে যেতে চাইত না, এত মানুষের ভিড়ে আসলে ছোট বাচ্চাদের নেওয়া খুবই কষ্টকর। তারপরেও আমি বায়না করতাম ছাড়তাম না। তাই বাবার সাথে আমি হাঁটে যেতাম, তো বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের মাঝে সেই হাটে যাওয়ার স্মৃতিময় গল্প শেয়ার করতে আসলাম, আশা করছি ভাল লাগবে।
তো বন্ধুরা সময়টা ছিল বর্ষাকাল, আর বর্ষাকালে চারপাশে যেন পানি আর পানি। এই পানি ভিতর দিয়ে হাটে যাওয়ার অনুভূতি অন্যরকম ছিলো।কারণ তখন নৌকায় করে হাঁটে যাওয়া হতো, আর গ্রামের সবাই মিলে একটি নৌকায় উঠটাম। নৌকাটা যখন পুরোপুরি হয়ে যেত তখন সেই নৌকাটি হাটের দিকে রওনা দিত। আর হাটে যাওয়া সেই মুহূর্ত আমার খুবই ভালো লাগতো, কারণ নৌকায় করে হাটে যাওয়ার একটা অন্যরকম অনুভূতি ছিলো, আমাদের গ্রামে অনেকেই একসাথে নৌকায় করে হাটে যেতাম। বিশেষ করে ছোট ছোট বাচ্চারা মানে আমার বন্ধুরা ছিল, তারা একসাথে হাটে যেত তাদের সাথে আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করতাম। তো একদিন হাটে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম বাবার সাথে এবং নৌকায় উঠলাম উঠে দেখি অনেক মানুষ উঠেছে, তাদের সাথে যেন অন্যরকম মুহূর্ত উপভোগ করতেছিলাম।
আমরা যে নৌকায় করে হাটে যাব সেই নৌকাটিতে অনেক মানুষ উঠেছে। এখন নৌকাটি ছাড়বে, এর মধ্যে আমাদের গ্রামের মুকুল ভাই নামে এক ভাই রয়েছে, সে একটি গরু নিয়ে এসেছে। সে এই গরুটি হাটে বিক্রি করবে। তাই সে গরু নিয়ে হাটে উঠেছে, নৌকায় উঠেছে আর এই নৌকা যখন উঠল তখন নৌকার মানুষ অনেক বেশি ছিল। আর গরুটিও খুব একটা ভালো ছিল না, কারণ গরুটি যেন সবাইকে দেখে গুটা দিতে লাগতে ছিলো। তাই যেন আমার অনেক ভয় করতেছিল। অনেকে বলল যে এই গরু নৌকায় তুলনা অনেক সমস্যা হবে। তারপরেও বকুল ভাই শুনলো না সেই নৌকায় উঠলো এবং গরুকে ভালোভাবে ধরে রাখল, আমি তো ভয়ে গরুর পাশ থেকে অনেক দূরে গিয়ে বসলাম। আর বাবার সাথে আমি নৌকায় বসে সেই নদীর সৌন্দর্যময় প্রকৃতির দৃশ্যগুলো উপভোগ করতেছিলাম।
নৌকা যখন হাটের উদ্দেশ্যে রওনা দিল, তখন খুবই ভালো লাগতেছিল। কারণ নদীর চারপাশে প্রকৃতির দৃশ্যগুলো উপভোগ করেছিলাম, বর্ষাকালে চারদিকে পানি আর এই পানির মধ্যে দিয়ে নৌকায় করে হাটে যাওয়ার মুহূর্ত আনন্দের সাথে উপভোগ করতেছিলাম। সত্যি আমার খুবই ভালো লাগতেছিল, আর এই গরুর পাশ দিয়ে নৌকার মাঝি পার হতে ছিল এবং তার গলায় ছিল লাল গামছা, আর গরুটি তাকে দেখেই যেন অন্যরকম একটা অনুভূতি কাজ করলে। এবং তাকে দেখে একটা গুতা মেরে দিল। আর সেই নৌকার মাঝি নদীতে পড়ে গেল, সকলেই যেন নৌকা থামানোর জন্য চেষ্টা করতেছিল। তার নোকা থামাতে থামাতে অনেক দূরে চলে গেলো।
আজ এখানেই শেষ করছি। আবারো অন্য কোনদিন ভিন্ন কোনো কন্টেট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। ততক্ষন পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, এই দোয়া রইল। আল্লাহ হাফেজ।🙏🤲🙏
আমার নাম মোঃ ফয়সাল আহমেদ ।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবসি ।আমি সর্বদাই গরীব-দুঃখীদের সেবায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং নতুন সৃজনশীলতার মাধ্যমে কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে।
👉বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺
আসলে ভাই বাবার হাত ধরে কোথায় যাওয়ার অনুভূতি খুব দুর্দান্ত। আপনার পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। বাবার সাথে নৌকা করে হাঁটে যাওয়া অনুভূতি আমাদের মাঝে খুব সুন্দর করে শেয়ার করেছেন। আসলে এই ধরনের অনুভূতি কখনো ভুলা যায় না। ধন্যবাদ ভাই পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এতো সুন্দর মতামতের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
বাবার সাথে নৌকায় করে হাটে যাওয়ার মুহূর্ত সত্যিই অসাধারণ ছিল। আপনার গল্পটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আর গরুর মানুষটিকে গুতা দিয়ে ফেলে দিয়েছে, সেটি জানতে পেরে খারাপ লাগলো। দেখি আগামী পর্বে কি হয়।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই