স্মৃতিচারণঃবন্ধুদের সাথে পিকনিক করার স্মৃতিময় গল্প -পর্ব-২

in আমার বাংলা ব্লগ6 months ago

আসসালামু-আলাইকুম/আদাব।

হ্যালো বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।হ্যাঁ, আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @mohamad786 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের সিরাজগঞ্জ জেলায় বাস করি।আমির সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজে অধ্যায়নরত আছি।

বন্ধুদের সাথে আমাদের হাজারো গল্প রয়েছে। সেই গল্পগুলো মনে করতে পেরে খুবই ভালো লাগে, বিশেষ করে ছোটবেলা আমাদের বাড়ির পাশে বেড়ে ওঠা বন্ধু গুলোর সাথে যেন বেশি স্মৃতি জড়িয়ে থাকে। আর এই বন্ধুদের সাথে নিয়ে আমরা ছোট একটি পিকনিকের আয়োজন করেছিলাম। আসলে বন্ধুরা মিলে সকলেই একসাথে ছোটবেলা আমরা অনেক পিকনিক করতাম। মাটির চুলা বানিয়ে সেখানে আমরা নিজেরাই ভাত এবং অন্য কিছুর রান্না করে আয়োজন করতাম। এটা ছোট একটা পিকনিক বলা হয়। তো বন্ধুরা আজকে আপনাদের মাঝে সেই ছোটবেলার বন্ধুদের সাথে নিয়ে পিকনিক করার মুহূর্তের গল্পের দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে এসেছি। আশা করছি এই গল্পটির পড়ে ভালো লাগবে।


hands-2847508_1280.jpg

Source

আমাদের বাড়ির পাশে বড় আপু রান্না করার জন্য আমাদের সাহায্য করতে ছিল। সেই সকল রান্নাবান্না করতে ছিল। আমরা বন্ধুরা মিলে গিয়ে খড়কুট জোগাড় করতেছিলাম। আসলে এই রান্নার আমরা যে মাটির চুলাতে করছিলাম যার কারণে আমরা একটি গাছে উঠেছিলাম। সেই গাছের মরাডাল পারার জন্য আর আমার বন্ধু সুজন যখনই সেই মরা ডালটি পারতে নিয়েছিল তখনই পড়ে গিয়েছিলো তারপরে কথা বলতেছিল না। তখন আমরা খুবই ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। গাছ থেকে পড়ে হয়তোবা বড় ধরনের কিছু হল কিনা, এটা নিয়ে অনেক বিপদের মধ্যে ছিলাম। তখন আমাদের বাড়ির পাশেই এক বড় ভাই এসে সুজনকে কলে নিলো,বললো ডাক্তার কাছে নিয়ে যেতে হবে।


তখন আমরা যে পিকনিক করছিলাম সকলেই দৌড়ে সুজনের কাছে চলে আসলো এবং সবাই ভাবতেছিল আজকে পিকনিক তো হবে না, আরো বড় ধরনের বিপদ হবে মা-বাবা জানলে আমাদের ধরে মারবে। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যে অন্য এক ঘটনা ঘটে গেল সুজন চোখ খুলে বলল আমার কিছুই হয়নি। আমি তোমাদের সাথে মজা করলাম। দুজনের এই মজা করার কথাটা শুনতে পেয়ে বড় ভাই সুজনকে কষে একটা থাপ্পর মারলো। এক থাপ্পড়ের সুজন কান্না শুরু করে দিল। আসলে সুজন গাছ থেকে পড়ে ওর কিছু হয়েছিল না, আমাদের ভয় দেখানোর জন্য চুপ করে শুয়ে ছিল।


bonfire-1867275_1280.jpg

Source

তারপরে এক চাচা সে বলল পোলাপান মানুষের বন্ধুদের সাথে মজা করেছে এই নিয়ে ওকে তুমি বকা দিয়ো না। যদি বড় কিছু হয়ে যেত তাহলে তো আরো বিপদ হতো। তার চেয়ে মজা করেছে এটাই ভালো হয়েছে। বড় কিছু হয়নি, তবে সুজনকে তখন সেই চাচা বুঝিয়ে বলল এভাবে মজা করা যাবে না। তুমি হয়তো মজা করছ কিন্তু বাকিরা অনেক চিন্তা করছে। তোমার এই বিষয়টি নিয়ে, তাই যখনই মজা করবে তখন অন্যদের কথা ভাববে। যে এই মজা করলে অন্যরা কতটা কষ্ট পাবে, কোনদিন যেন এরকম মজা না করো। তখন বলল ঠিক আছে আমি আর কোনদিন এরকম মজা করবো না।


সুজনের মজার কথা শুনে সত্যি আমাদের খুবই ভালো লাগলো। তখন আমরা আবারও পিকনিক করার যে আনন্দ ফিরে পেলাম। আসলে সুজন এভাবে গাছ থেকে পড়ে গিয়েছিল, এই দৃশ্যটি আমি চোখের সামনে দেখেছিলাম। দেখে আমার খুবই ভয় লেগেছে, কারণ অনেক উঁচু ছিল, যার কারণে সেখান থেকে পড়ে গিয়ে হাত-পা ভেঙে যাওয়ার কথা ছিল। অনেক বড় একটি দুর্ঘটনা থেকে আমরা রক্ষা পেয়েছি। যদি সুজনের বড় কিছু হয়ে যেত তাহলে পিকনিক তো হতোই না বরং আমাদের জন্যই সুজন গাছে থেকে উঠে পড়ে গিয়েছিল, এটা নিয়ে সুজনের বাবা আরো আমাদের সাথে অনেক বড় কিছু করতে পারতো। কারণ বাবা ছিল খুবই করার মেজাজের মানুষ।


তারপরে আবারও আমরা বন্ধুরা মিলে সেই রান্নার কাছে আসলাম। আসলে পিকনিকের রান্না হচ্ছে আমরা সবাই সেখানে বসে গল্প করতেছিলাম। আসলে পিকনিকের আনন্দময় মুহূর্ত হলেও রান্নার মুহূর্তগুলো। এই মুহূর্তটা খুবই ভালো লাগে। সবাই মিলে আনন্দের সাথে সেই মুহূর্তটা উপভোগ করা যায়। তাই বন্ধুরা সবাই মিলে আমরা রান্নার সেই দৃশ্য দেখতে ছিলাম আর আমরা কাজে সাহায্য করতে ছিলাম। তো বন্ধুরা আজকে এ পর্যন্তই, বাকি অংশটুকু আপনাদের সাথে পরবর্তী পর্বে শেয়ার করব ইনশাআল্লাহ।

আজ এখানেই শেষ করছি। অন্য কোন একদিন ভিন্ন ধরনের কনটেন্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। ততক্ষন পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।

standard_Discord_Zip.gif

আমার পরিচয়

IMG_20230821_180423.jpg

আমার নাম মোঃ ফয়সাল আহমেদ ।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবসি ।আমি সর্বদাই গরীব-দুঃখীদের সেবায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং নতুন সৃজনশীলতার মাধ্যমে কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে।

Amar_Bangla_Blog_logo_png.png

👉বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺

Sort:  
 6 months ago 

আসলে ছোটবেলা বন্ধুদের সাথে এভাবে পিকনিক খাওয়ার মুহূর্তটা সত্যিই অসাধারণ। তবে এটা জেনে ভালো লাগলো আপনার বন্ধু সুজন হাছ থেকে পড়ে গিয়ে তেমন কিছু হয়নি। সে মজা করার জন্যই চুপ করে ছিল। যার কারণে আপনারা ভেবেছেন বড় কিছু হয়েছে, যাক এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো সে মজা করেছে। তবে আপনাদের পিকনিকের মুহূর্ত গুলো জানতে পেরে আরো বেশি ভালো লাগবে।

Posted using SteemPro Mobile

 6 months ago 

আমরা সবাই যদি এভাবে নিজেদের ভালোলাগার কোন মুহূর্ত বা জীবনের কোন ঘটনা শেয়ার করি অবশ্যই এই থেকে একে অপরের নতুন কিছু জানার সুযোগ সৃষ্টি হয়। বেশ ভালো লাগলো আপনার এই অসাধারণ পিকনিকের ঘটনাটি জানতে পেরে। অবশ্য ওই চাচার বুদ্ধি রয়েছে তাই সুন্দর কথা বলল।

 6 months ago 

হ্যাঁ আপনি ছোট বয়সের কথা বলুন আর একটু বড় বয়সে হোক না কেন বন্ধুদের সাথে পিকনিক করার মজাই আলাদা। আর বন্ধু গ্রুপে সবসময় মজা দেওয়ার জন্য এরকম একজন থাকবেই যে মজার মজার সব হাসির কথা বলে মন ভালো করে দিবে।

Posted using SteemPro Mobile

 6 months ago 

বন্ধুদের সাথে পিকনিক করার খুব সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করেছেন। আসলে বন্ধুদের সাথে থাকলে একটি আলাদা ভালো লাগা কাজ করতে থাকে৷ বিভিন্ন ধরনের পিকনিকের আয়োজন করলে আর তো কোন কথাই নেই৷ আপনার বন্ধুদের সাথে এরকম একটি আড্ডা আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন দেখে খুব ভালো লাগলো৷ আপনার বন্ধু পড়ে গিয়ে তার কিছু হয়নি, তবুও মজা করার জন্য সে চুপ করে ছিল এবং আপনারা ভেবেছিলেন যে তার অনেক বড় কিছু হয়ে গিয়েছে শুনে অনেক ভালো লাগলো৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.13
JST 0.027
BTC 60589.35
ETH 2628.62
USDT 1.00
SBD 2.53