একটি মানবতার গল্প🌹পর্ব-২ [10%@shy-fox]
আমাদের চোখের সামনে অনেক অসহায় মানুষ রয়েছে, আর এই অসহায় মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ানোর মতো কেউ নেই। আমরা যদি সেই মানবতা থেকে তাদের পাশে এসে যতটুকু সাহায্য করি তাহলে আমাদের সমাজে আর এরকম কষ্টের মানুষ থাকবে না। তাই আমাদের প্রত্যেককেই সচেতন হতে হবে। আমাদের সমাজ থেকে এই গরিব-দুঃখীদের দূর করতে এবং তাদের মুখে হাসি ফোঁটাতে হলে আমাদের মানবতার ধর্মকে বেছে নিতে হবে। তো বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে আসলাম মানবতার গল্পের দ্বিতীয় পর্ব। প্রথম পর্বে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। কিভাবে আমরা একজনের পাশ মানবতা হাত বাড়িয়ে দিয়ে ছিলো আমরা বন্ধুরা মিলে।আজকে আপনাদের মাঝে ২য় পর্ব শেয়ার করবো।। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
তো আমরা বন্ধুরা মিলে যখন নদীর পাড় থেকে সকলের সহযোগিতায় ১৭২০ টাকা তুলেছিলাম। তার উপরে আমরা বন্ধুরা মিলে ২০০০ হাজার টাকা পূরণ করলাম। ২০০০ হাজার টাকা পূরণ করে আমরা সেই বাচ্চাটির মায়ের কাছে আসলাম।বাচ্চার মায়ের কাছে এসে দেখতে পেলাম বাচ্চাটির মা আসলেই চোখে দেখে না। আমি তাকে এভাবে দেখতে পেয়ে যেন খুবই কষ্ট পেলাম। তার পোষাক ছিল নোংরা। খেতে পায়না কয়দিন হলো। তার সাথে কথা বললাম। সে বলল যে আমি আগেও চোখে দেখতাম। কিছুদিন আগে থেকে এরকম চোখে দেখি না। চোখের চিকিৎসা করালে ঠিক হয়ে তেতো।কিন্তু আমার কেউ নাই,কে আমাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবে।আমার এই ছোট ছেলে ছাড়া আর কেউ নাই।তার কথা শুনে খুবি খারাপ লাগতে ছিলো।
তখন মাসুদ বলল আমার চাচা সিরাজগঞ্জ সদর হসপিটাল এর সিনিয়র কমকর্তা। চাচাকে বললে সাহায্য পেতেপারি।আমি বল তাহলে এখুনি কথা বলে দেখ কি বলে।তোর চাচার সাথে কথা বলে সিরাজগঞ্জ সদর হসপিটাল থেকে এর চোখের অপারেশন করা যাবে কিনা।সদর হসপিটাল চক্ষু বিভাগ রয়েছে। আর এই বিভাগে অনেক অসহায় মানুষ বিনা টাকায় চিকিৎসা পাচ্ছে।আসলে সদর হসপিটাল গরীব অসহায় মানুষদের জন্যই। যাদের টাকা-পয়সা নেই সরকার থেকে এদের চিকিৎসা করা হয়। তাই সদর হসপিটাল এর মাধ্যমে আমরা চিকিৎসার কথা চিন্তা করলাম। আসলে সদর হসপিটালে যদি পরিচিত লোক থাকে তাহলে চিকিৎসা খুবই ভালো হয়। পরিচিত মানুষ না থাকলে, অনেক হয়রানির শিকার হতে হয়। তাই আমরা মাসুদের মামার সাথে কথা বললাম। কথাটা আমি বললাম, আমি বললাম আংকেল আপনি কেমন আছেন। সে বললো খুবই ভালো আছি, তারপর আমরা যে নদীর পারে এরকম একজন অসহায় মানুষকে পেয়েছি। সেই কথা ভালো করে তাকে বললাম।তার কেউ নেই, চোখের অপারেশন করাতে পারলে খুবই ভালো হবে। মাসুদ এর চাচার খুবই ভালো মানুষ এবং ধার্মিক মানুষ ছিল। যার কারণে সে বলল কোন সমস্যা নেই। তোমরা আগে সেই মহিলাটাকে রিকশায় করে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসো। আমি দেখি কি করা যায়। তাই আমরা আর দেরি না করে তাদেরকে একটি রিক্সায় তুলে দিয়ে এবং আমরা সাথে সাথে আমরা সদর হসপিটালের দিকে আসলাম।
তারপরে আমরা সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতাল আসলাম। সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে এসে মাসুদের মামাকে ফোন দিলাম। সে আসলো এসে আমাদের ইমারজেন্সি বিভাগে নিয়ে চক্ষু ওয়ার্ডে ভর্তি করে দিলো। চক্ষু হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডে একটি বেডে ভর্তি করানো হল। মাসুদের মামা বললো আজকে কোন ডক্টর নেই।তাই কালকে সকালে রাউন্ডে যখন ডাক্তার আসবে,আমি তখন ডাক্তারের সাথে কথা বলে দেখব কি করা যায়। তোমরা এখন বাড়ি যেতে পারো। কোন সমস্যা নেই, এখানে ওরা ভর্তি থাকে। এখান থেকেই ওদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। কোন সমস্যা নেই। কথা শুনে খুবই ভালো লাগলো। আমরা তখন হসপিটাল থেকে বের হয়ে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম।
আজ এখানেই শেষ করছি। আবারো অন্য কোনদিন ভিন্ন কোনো কন্টেট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। ততক্ষন পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, এই দোয়া রইল। আল্লাহ হাফেজ।🙏🤲🙏
আমার নাম মোঃ ফয়সাল আহমেদ ।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবসি ।আমি সর্বদাই গরীব-দুঃখীদের সেবায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং নতুন সৃজনশীলতার মাধ্যমে কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে।
👉বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺
ভাইয়া আপনার পোস্টে অনেক ভুল আছে আশা করছি ঠিক করে নেবেন।
আপনারা খুবই ভালো একটি কাজ করেছেন যার জন্য আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। আসলে এরকম মানুষ তো এখন একেবারে দেখাই যায় না। আপনি এবং আপনার বন্ধুরা মিলে সেই ছেলেটি এবং তার মাকে এত বড় সাহায্য করেছেন সত্যি এটা গর্বের বিষয়। আশা করছি সেই ছেলেটির মা অবশ্যই ভালো হয়ে যাবে। পরের পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
ভাই আপনার মানবতা গল্পটা খুবই ভালো লাগলো। আপনার একটি মহৎ কাজ করেছেন। বিশেষ করে মাসুদের চাচা থাকার কারণে বেশী ভাল হয়েছে। আশা করছি অপারেশন খুব ভালোভাবে হবে,বাকি পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
ভাইয়া আপনার এই লাইনটিতে ভুল আছে। ভুল শুধরে নিলে ভালো হয়।
এখন তো সবাই মানবতার দিকে হাত বাড়ায় না। আপনারা সব বন্ধু মিলে ছোট্ট ছেলেটির মাকে হসপিটালে ভর্তি করিয়েছেন এবং তাদেরকে অনেক সাহায্য করেছেন এটা জেনেই তো ভীষণ ভালো লেগেছে আমার কাছে। এরকম মানুষ তো এখন চোখেই পড়ে না। ভালোই লাগলো পড়ে। এখন তো পরবর্তীতে কি হবে তারই অপেক্ষায় আছি।
আপনারা বন্ধুরা মিলে খুব ভালো একটা উদ্যোগ নিলেন। আপনাদের উদ্যোগটা আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো। ছোট বাচ্চাটার মায়ের চোখের চিকিৎসা করানোর জন্য বড় একটা কাজ করলেন। যাক আপনার বন্ধুর মামা ও হাসপাতালের বড় দায়িত্বে আছে। আশা করি পরের পর্বে ছেলেটির মায়ের চোখের চিকিৎসার কথা জানতে পারব। ভালো উদ্যোগের জন্য আপনাদেরকে অনেক ধন্যবাদ।