বন্ধুদের সাথে কলেজ জীবনের স্মৃতিময় গল্প//পর্ব-১
বন্ধুদের সাথে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। সেই স্মৃতির পাতা থেকে আজকে আমি একটি গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করতে আসলাম। এই স্মৃতিময় গল্পটি হল কলেজ জীবনের গল্প। আসলে কলেজ জীবনে বন্ধুদের সাথে অনেক স্মৃতি আছে আমার। কলেজ জীবেন বন্ধুদের সাথে আমি অনেক জায়গায় ভ্রমণ করতে যেতাম। আসলেই স্কুল জীবন পার হয়ে যখন কলেজ জীবনে আসলাম। তখন অন্যরকম অনুভূতি ছিলো।কলেজ জীবনের মুহূর্তগুলো অনেক আনন্দের ছিল। বন্ধুদের সাথে নিয়ে অনেক জায়গায় ভ্রমণ করেছি। সেই গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করছি, আশা করছি গল্পটি পড়ে ভাল লাগবে।
কলেজ জীবনে আমার চারজন বন্ধু সবচাইতে প্রিয় ছিল।এই চার বন্ধুর মধ্যে আদিত্য ছিলো আমার স্কুল জীরনের বন্ধু।আর রাসেল ও রাকিবের সাথে কলেজে গিয়ে পরিচিত হয়।আসলে রাসেল ও রাকিবের সাথে আমাদের বন্ধু সম্পর্ক হয়, এটি ছিলো অন্যরকম গল্প। আসলে আমি আদিত্য আগে থেকে বন্ধুত্ব ছিলাম। আমরা একদিন কলেজের মাঠে বসে আছি। এমন সময় দেখতে পেলাম আমাদের ক্লাসমেট রাসেল এবং রাকিব কলেজে মাঠের পাশে ঝোগড়া করছে।আর একটু পরেই মারামারি শুরু হয়ে গেলো। ওদের মারামারি দেখে সত্যিই আমরা অবাক হয়ে গেলাম, কারণ ওরা আমাদের ক্লাসমেট ছিল, তাই আমি আদিত্য ওদের কাছে ছুটে আসলাম।
আমি আর আদিত্য রাসেলের এবং রাকিব এর কাছে আসলাম। এসে দেখলাম ওদের মারামারি হচ্ছে। তারপরে আমরা দুজন মিলে ওদের মারামারি থামিয়ে দিলাম। বললাম বন্ধু তোমাদের কি নিয়ে মারামারি হচ্ছে। আমাদের বল আমরা সমাধান করে দেবো। বন্ধুত্বের মধ্যে কি আর এভাবে মারামারি করলে হবে। আমরা একই ক্লাসে পড়ি আমাদের মিলেমিশে থাকতে হবে। এভাবে মারামারি করলে একজন আরেকজনের শত্রু হবো। এবং এটা থেকে অনেক বড় বিপদ হয়ে যাবে। এভাবে শত্রুতা করলে ধীরে ধীরে বড় মারামারি হবে এবং ফ্যামিলি পর্যন্ত জেনে যাবে এটি আরও অনেক বড় কিছু হতে হতে পারে। তোমরা মারামারি কর না কি হয়েছে আমাদের বল আমরা সব বন্ধুরা মিলে বসে সমাধান করবো এবং আমরা মিলেমিশে থাকার চেষ্টা করব। ওদের মধ্যে রাসেল খুবই ভালো ছিল। যার কারণে আমাদের কথাটা মেনে নিলো বলো ঠিক আছে তোমরা শোনো আমাদের অপরাধটা কি। তারপরে আমরা মাঠের ভিতরে বসে চার বন্ধু মিলে সমস্যাটা সমাধানের জন্য ঘটনাটা শুনতে লাগলাম।
ওদের মারামারি ঘটনাটা শুনে সত্যি আমি অবাক হয়ে গেলাম। একটা মেয়েকে নিয়ে বন্ধুদের মধ্যে এভাবে মারামারি করবে এটা আমি স্বপ্নেও ভাবিনি। ঘটনাটি ছিল একটি মেয়েকে নিয়ে,মেয়েটি আমাদের ক্লাসের ছিলো,ওর নাম ছিল সাবিহা।আর এই সাবিহা আমার স্কুলজীবনে বান্ধবী। আমরা একি সাথে পড়াশোনা করেছি। আমার ও আদিত্যের সাথে সাবিহার খুবই ভালো সম্পর্ক ছিলো বন্ধুর মতো মিশে থাকতাম আমরা।তারপর রাসেল ও রাকিবকে বললাম কি হয়েছে সাবিহাকে নিয়ে বলতো। তখন রাসেল বলল যে আমি সাবিহাকে খুবই পছন্দ করি। রাসেল গিয়ে কালকেও ফুল দিয়েছে। আর এই ভুল সাবিহা নিয়েছে।আমি কলেজের প্রথম দিন থেকেই সাবিহাকে পছন্দ করি। আমি রাসেলকে বলেছি যে সাবিহাকে আমি পছন্দ করি তারপর ও রাসেল কাল ফুল দিয়েছে। এই ফুল দেওয়ার কথা নিয়ে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে আমাদের মারামারিও শুরু হয়। তখন আমি বললাম বন্ধু তোমরা কাকে নিয়ে কি ঝগড়া করো, আমার বন্ধবী সাবিহা আর সাবিহা কাকে পছন্দ করে না করে এটা তো আমি ভালো জানি, আমাকে আগে বলবা না।এমনি বন্ধুদের মধ্যে মারামারি করো।
আজ এখানেই শেষ করছি। আবারো অন্য কোনদিন ভিন্ন কোনো কন্টেট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। ততক্ষন পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, এই দোয়া রইল। আল্লাহ হাফেজ।🙏🤲🙏
আমার নাম মোঃ ফয়সাল আহমেদ ।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবসি ।আমি সর্বদাই গরীব-দুঃখীদের সেবায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং নতুন সৃজনশীলতার মাধ্যমে কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে।
👉বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺
কলেজ জীবনের বন্ধু গুলো ঠিক এভাবেই বিনষ্ট হয়ে যায়৷ যে বন্ধুগুলো একসময় সুখে দুখে পাশে থাকতো প্রতিটা মুহূর্ত তাদের নিয়েই কাটতো৷ একটা সময় এসে এ বন্ধুত্বের এক বিশাল ফাটল ধরে যায় সেটা হয় কলেজ জীবনে কিংবা ভার্সিটির জীবনে ৷ এগুলো অনেক অনেক শুনেছি ভাই আর যার মূল কারণ হয়ে দাঁড়ায় একটি মেয়ে ৷
যা হোক পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা ৷
সুন্দর মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই
আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনার বন্ধুদের সাথে কলেজ জীবনের স্মৃতিময় গল্প। আপনার গল্প পড়ে সত্যি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে ভাই। কলেজ জীবনে আপনার চারজন বন্ধু সবচাইতে প্রিয় ছিল জেনে খুবই ভালো লাগলো। আসলে ভাই বন্ধুদের সাথে মারামারির কারণে বন্ধুদের মধ্যে সবথেকে বেশি ফাটল ধরে। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপনার মতামতের পেয়ে খুবি ভালো লেগেছে।
এসব প্রেমের কারণে কলেজ জীবনে এক বন্ধুর সাথে অন্য বন্ধুদের মধ্যে অনেক মারাত্মক ধরনের ঘটনা ঘটে যায়। তবে দুই বন্ধু মিলে মারামারি করতেছে দেখছেন আপনারা বন্ধুদেরকে মিলিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা করছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। তবে পুরো গল্প এখনো শেষ হয়নি পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম কি হয় শেষেরটা দেখতে হবে।
সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ
আপনি বন্ধুদের সাথে কলেজ জীবনের স্মৃতিময় কিছু গল্প পড়ে ভীষণ উপভোগ করলাম।অনেক মিস করি আমিও বন্ধুদের সাথে কাটানো দিনগুলো।আপনারা চার বন্ধু ছিলেন,আর আমরা তিনজন ছিলাম।একটি মেয়েকে নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে মারামারি হয়েছিল,যায় ফলে বন্ধুত্ত্ব টা অনেকটা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল রাকিব এবং রাসেলের ।ভালোই লিখেছেন,ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর গল্পটি শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
আসলেই স্কুল জীবনের এবং কলেজ জীবনের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে সবার মাঝে। যেমন আপনাদের স্মৃতিময়ী আজকের এই গল্পটির প্রথম পর্ব পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছে। আসলে সামিহা কাকে পছন্দ করত আমার তো এটা মাথায় আসতেছে না। সম্পূর্ণটা খুবই ভালোভাবে লিখেছেন আশা করছি পরবর্তী পর্বে জানতে পারবো সাবিহা কাকে পছন্দ করত। আপনার পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ আপু