স্মৃতিচারণঃবন্ধুদের সাথে পিকনিক করার স্মৃতিময় গল্প -পর্ব-১

in আমার বাংলা ব্লগ6 months ago

আসসালামু-আলাইকুম/আদাব।

হ্যালো বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।হ্যাঁ, আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @mohamad786 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের সিরাজগঞ্জ জেলায় বাস করি।আমির সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজে অধ্যায়নরত আছি।

বন্ধুত্বের সাথে আমাদের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। এই স্মৃতিময় দিনগুলোর কথা মনে করতে পেরে যেন আবারও সেই দিনই ফিরে যেতে ইচ্ছা করে। আসলে বন্ধুদের সাথে ঘটে যাওয়া সেই দিনগুলো কখনোই আর আমরা ফেরত পাব না। তবে সেই দিনগুলোর কথা এখনো ভাবতে যেন ভালো লাগে। আমাদের সমাজে সেই ছোটবেলার বন্ধুদের সাথে কাটানো দৃশ্যগুলো যখন আমরা ছোটদের মধ্যে দেখতে পাই। তখনই যেন আমাদের সেই ছোটবেলার বন্ধুদের সাথে কাটানোর দিনের কথা মনে পরে যায়। আজকে তাই আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি বন্ধুদের সাথে নিয়ে পিকনিক করার একটি স্মৃতিময় গল্প। ছোটবেলার এই পিকনিক করার মুহূর্তগুলো অসাধারণ ছিল। আশা করছি গল্পটি পড়ে ভালো লাগবে।


hands-2847508_1280.jpg

Source

আমি তখন ক্লাস সিক্সে পড়াশোনা করি। ফাইভে পরীক্ষা দিয়েই সিক্সে উঠেছি, জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি মাস ছিল। এই শীতের সময় আর শীতের সময় বন্ধুদের সাথে নিয়ে আমরা আনন্দময় অনেক মুহূর্ত উপভোগ করেছি। তবে আমাদের বাড়ির পাশে কিছু বন্ধু রয়েছিল, যাদের সাথে আমি ছোটবেলার দিনগুলো পার করেছি। সেই সব বন্ধুরা একদিন বলল যে আমরা পিকনিক করব। আসলে গ্রাম অঞ্চলে আমরা যারা বসবাস করি তারা মাঝেমধ্যে কয়েকজন মিলে ডিম দিয়েই এই পিকনিক করা হতো। পিকনিক নিজেরাই রান্না করা হতো। আর মাঠির তৈরি চুলা বানানো হতো।আর সেই চুলাতেই যেন সারাদিন আনন্দের সাথে পিকনিকের রান্না করা হতো। আমাদের মধ্যে যে বড় থাকে তাকে দিয়ে রান্না করা হতো।আমরা এই রান্নার সাহায্য করতাম।তাই আমরা একদিন ঠিক করলাম শুক্রবারে সকালবেলা এই পিকনিকের আয়োজন করব। যার কারণে সবাই বাড়ি থেকে একটি করে ডিম চাউল ও আলু নিয়ে এসে এক জায়গায় করলাম এবং আমাদের বাড়ির পাশেই বড় একটি আপু ছিল। সেই আপু রান্নার সকল দায়িত্ব নিলো।আর আমরা সকলে কাজে সাহায্য করতে ছিলাম।আমরা পাঁচ ছয় জন ছিলাম।


এই পিকনিকের রান্না করার জন্য আমরা সবাই মিলে একটি মাটির তৈরীর চুলা বানিয়ে নিলাম মআর এই চুলাতে রান্না করার জন্য যত খর কুঠ আমরা র হয়েছে আমরা সবাই বাড়ি বাড়ি থেকে শোলা নিয়ে আসলাম। আর সেই আপু এই রান্না করার জন্য সকল ব্যবস্থার জোগাড় করে। সে রান্না উঠিয়ে দিল এবং রান্না শুরু হয়ে গেল। আমরা যেন তার পাশে বসে থাকলাম।


bonfire-1867275_1280.jpg

Source

প্রথমে ভাত রান্না করা হলো, আসলে মাটির তৈরির চুলাতে প্রথম প্রথম রান্না করা খুবই কঠিন কারণ প্রথম প্রথম শুধু ধোয়া হয়। ভালোভাবে আগুন জ্বালে না। যার কারণে অনেকটাই প্রথমবার কষ্ট হয়ে যায়। তারপরেও আমরা সবাই আনন্দের সাথে সেই মুহূর্তটুকু ভোগ করতে ছিলাম। ভাত যখন রান্না হয়ে গেল তখন আপু বলল যে এখন ডিম ও আলু সিদ্ধ দিবো। যখন হয়ে গেল তখন আমরা সবাই মিলে ডিম ও আলুর ছিলতে যেন ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। সেই মুহূর্তটা অনেক আনন্দ ছিল।


আমরা সবাই মিলে তাড়াতাড়ি করে সহযোগিতার সাথে সেই আলু ও ডিম সবগুলো ছিলে দিলাম। আপু সেই ডিমগুলো নিয়ে ভালো করে ভেজে আবারো রান্না শুরু করে দিল। সেই মুহূর্তটা অনেক আনন্দের ছিল। আমাদের খুবই ভালো লাগতেছিল। যার কারণে আমরা আবারও ঘরকুটো যোগাড় করতে গেলাম। আমরা একটি গাছে উঠেছিলাম। আর আম গাছে একটি মরা ডাল ছিল। ভেবেছিলাম এই মরা ডালটি নিয়ে আসলে পরে রান্নার কাজে অনেকটাই সাহায্য হবে। যার কারণে আমার বন্ধু সুজনকে উঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল।


আর সুজন গাছে উঠলো একটি মরা ডাল পালার জন্য। গাছের মরা ডালের মাথার দিকে যাচ্ছিল, আমরা বারবার বলতেছিলাম সুজন সাবধানে যা পড়ে যাবি কিন্তু, সুজন বলেছে না কিছুই হবে না। ও একটি ডাল ধরে যে ডালটি মরা ছিল, সেই ডালটিকে পা দিয়ে লাথি মেরেছে। এবং সেই ডালটি ভেঙে মাটিতে পড়ে গেলো,আর সাথেসাথে সুজনও নিচে পড়ে যায়। আর এই নিচে পুড়ে যাওয়াতে সুজন যেন একদম শুয়ে পরে।আর কোন কথা বলে না। এটা দেখতে পেয়ে সত্যি আমরা অনেক অবাক এবং খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। তো বন্ধুরা সিজনের কি হয়ে ছিলো শেষমেষ, আশা করছি আগামী পর্বে আপনাদের সাথে বাকি অংশটুকু শেয়ার করব এবং আপনারা সবাই পর্বটি পড়ার জন্য অপেক্ষা করবেন।

আজ এখানেই শেষ করছি। অন্য কোন একদিন ভিন্ন ধরনের কনটেন্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। ততক্ষন পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।

standard_Discord_Zip.gif

আমার পরিচয়

IMG_20230821_180423.jpg

আমার নাম মোঃ ফয়সাল আহমেদ ।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবসি ।আমি সর্বদাই গরীব-দুঃখীদের সেবায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং নতুন সৃজনশীলতার মাধ্যমে কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে।

Amar_Bangla_Blog_logo_png.png

👉বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺

Sort:  
 6 months ago 

আসলে ছোট্ট বেলার জীবনের অনেক গল্প থাকে। এইরকম পিক নিক আমরা অনেক করেছি। বন্ধুদের সাথে তার পাশাপাশি সিনিয়র আপুরা যারা রান্নার কাজে সহায়তা করত দারুন মজা লাগতো। সবাই সম্মিলিতভাবে এই ধরনের পিকনিক করা আপনার বন্ধু সুজন গাছে উঠে যে রিস্ক নিয়েছিল। এরকম সাহসিকতা সেই বয়সে সবাই দেখানোর চেষ্টা করত। যেটা ঠিক নয় পরবর্তী পর্বের আশায় রইলাম।

Posted using SteemPro Mobile

 6 months ago 

ভাই আপনি ছোটবেলায় বন্ধুদের সাথে পিকনিকের বেশ দারুন স্মৃতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে নিজ হাতে বন্ধুদের সাথে একত্রে মাটির চুলায় রান্না করে খেতে যেয়ে কি মজা লাগে বলে বোঝানো যাবে না। আমিও মাঝে মাঝে বন্ধুদের সাথে এমন পিকনিকে মেতে উঠে। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 6 months ago 

ছোটবেলার দিনগুলো ভীষণ আনন্দময় ছিলো ৷ বিশেষ করে ছোটবেলায় বন্ধু কিংবা এলাকার সহপাঠীদের সাথে পিকনিকের সময়টা ভীষণ মজাদায়ক ছিলো ৷ সেসব স্মৃতি মনে পড়লে আসলেই ভীষণ ভালো লাগে ৷ আপনার ছোটবেলায় বন্ধুদের সাথে পিকনিকে স্মৃতিময় গল্প পড়ে অনেক ভালো লাগলো ৷ শেষমেশ আপনার বন্ধু সুজনের কি হলো জানার অপেক্ষায় রইল ৷ আশা করি পরের পর্ব খুব খুব শীঘ্রই শেয়ার করবেন ৷ ধন্যবাদ

Posted using SteemPro Mobile

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.13
JST 0.027
BTC 60589.35
ETH 2628.62
USDT 1.00
SBD 2.53