বন্ধুদের সাথে কলেজ জীবনের স্মৃতিময় গল্প//পর্ব-২ (শেষ পর্ব)
স্কুল জীবনের স্মৃতি গুলো কখনোই ভুলা যায় না। আর স্কুল জীবনের স্মৃতি গুলো অনেক আনন্দের এবং মজার ছিল। আমাদের স্কুল জীবনের সেই মুহূর্তগুলো সত্যিই আমার খুবই ভালো লেগেছে। সবচাইতে বেশি আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করেছি স্কুল জীবনে। স্কুলজীবনের আমার বন্ধুদের সাথে একটি স্মৃতিময় গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। আজকে বাকি অংশটুকু আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। আসলে স্কুলজীবনের আমাদের মধ্যে অনেক গল্প রয়েছে, আর এই গল্পগুলো যেন স্মৃতির পাতায় এখন জমা রয়েছে। সেই দিনগুলোর কথা মনে করতে পেরে খুবই ভালো লাগে। যেন মনে হয় যদি আবার ফিরে পেতাম স্কুল জীবনের সেই দিনগুলো। কতইনা ভাল হত।
প্রথম পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম রাসেল এবং রাকিবের মারামারির ঘটনা। আসলে এই মারামারি শুরু হয়েছিল আমাদের ক্লাসমেট সাবিহাকে নিয়ে,সাবিহা ওদের দুজনের সাথে খুব ভালোভাবে কথা বলতে এবং ফ্রি ভাবে মিশতো,তাই ওরা দুইজনই মনে করেছেন সাবিয়া হয়তো ওদের পছন্দ করে। তাই রাসেল রাকিবকে বলেছিল তুই যেন সাবিহাকে প্রপোজ করোস না, কিন্তু রাকিব সাবিহাকে একটি ফুল দিয়েছে, এই ফুলটি সাবিহা নিয়ে ছিলো,রাসেল এই ঘটনা দেখতে পেয়েছিল আর এই কথা কাটাকাটি তাদের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। আমিও আদিত্য ওদের কাছে গেলাম গিয়ে সকল ঘটনা শুনলাম এবং বললাম যে তোমাদের কে যে সাবিহাও ভালবাসে এটার কোন প্রমাণ আছে। ওরা বলল না তো আমরা তো এইভাবে বলিও নাই।আমি বললাম সাবিহার সম্পর্কে আমি ভালো জানি, কারণ সাবিহা আমার ভালো বন্ধু।
তখন রাসেল এবং রাকিবকে নিয়ে আমি আর আদিত্য আমাদের স্কুল মাঠের পাশে আসলাম। স্কুল মাঠের পাশে বসে সুন্দরভাবে আমরা কথা বলতে লাগলাম। আর কথা ছিল আদিত্য বলল যে সাবিহারকে নিয়ে এত মারামারি করছে। বন্ধুত্বের মধ্যে সাবিহা নিয়ে ঝগড়া করছো।সাবিহা সম্পর্কে তো তেমন কিছুই যানো না।আসলে সাবিহা তোমাদের কাউকে ভালোবাসে না। তোমাদের কি সাবিহা ভালোবাসার কোন কথা দিয়েছে, ওরা বলল না, তখন আমি বললাম সাবিহা আমাদের খুবই ভালো বন্ধু। আমি ওর খবর জানি। ও খুবই ফ্রী মনের মানুষ। সবাইকে খুব সহজেই আপন ভেবে নেয়, এবং বন্ধুর মতো মিশে। তাই তোমাদের সাথে এভাবে মিশেছে, কিন্তু সাবিহার ওর খালাতো ভাইকে খুব বেশি ভালোবাসে। দুই বছর আগে থেকে। ওদের মধ্যে খুব ভালো রিলেশন এবং ওদের পরিবার জানে। আর পরিবার থেকেই ওদের বিয়ের ব্যবস্থা করবে। ওরা অপরকে অনেক বেশি ভালোবাসে।
তখন আমি বললাম কারো সম্পর্কে ভালোভাবে না জেনে এভাবে বন্ধুত্বের মধ্যে মারামারি ঝগড়া করা কখনই ঠিক না। আসলে বন্ধুদের সম্পর্কে অনেক বড় আর বন্ধুদের জন্য অনেক কিছু ত্যাগ করা যায়। একটা মেয়ের জন্য নিজেদের মধ্যে এভাবে মারামারি করবা, তখন রাকিব বললো ঠিক আছে আমার ভুল হয়েছে। আমি জানি না, আর এরকম করবো না। কিন্তু রাসেল একটু তেরা টাইপের ছিল ও বলল যে আমি মানি না। তোমাদের মিথ্যা কথা বলছো।তখন আদিত্য বলল কিসের মিথ্যা, সাবিহাকে ডাকবো তম তুমি নিজের মুখেই শুনে নিয়ো। তখন রাসেল বললো ঠিক আছে ডেকে নিয়ে আসলো। রাসেলের কথা শুনিয়া আদিত্য রেগে গেল। বলল ঠিক আছে, তোমরা এখানে বস আমি এখনই সাবিহাকে ডেকে নিয়ে আসছি।তাই ক্লাস রুমে গিয়ে সাবিহাকে ডেকে ডেকে নিয়ে আসলো।আর বলল সাবিহা তুই রাসেলকে বল যে তুই কাকে ভালোবাসিস। তখন সাবিহা সকল সত্যি ঘটনা বলল এবং রাসেল তখন বিশ্বাস করতে চায় না, রাগারাগি করে আমাদের কাছে থেকে চলে গেল।
আজ এখানেই শেষ করছি। আবারো অন্য কোনদিন ভিন্ন কোনো কন্টেট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। ততক্ষন পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, এই দোয়া রইল। আল্লাহ হাফেজ।🙏🤲🙏
আমার নাম মোঃ ফয়সাল আহমেদ ।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবসি ।আমি সর্বদাই গরীব-দুঃখীদের সেবায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং নতুন সৃজনশীলতার মাধ্যমে কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে।
👉বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺





অনেক সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করেছেন আমাদের মাঝে। আসলে স্কুল বা কলেজ কোন লাইফ কিন্তু জীবন থেকে দূরে ঠেলে দেওয়া যায় না। আর যায় না জীবনের সেই সময়ের বন্ধুদের কে ভুলে যাওয়া। তবে বন্ধত্বের মাঝে ভুল বুঝাবুঝি থাকবেই। সেই ভুলগুলো কে শুধরে যে বন্ধুত্ব এগিয়ে যেতে পারবে সেটাই প্রকৃত বন্ধত্ব। বেচেঁ থাকুক আপনাদের বন্ধুত্ব ভালবাসায়।
আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ আপু
আসলে বন্ধুত্বের জন্য অনেক কিছুই ত্যাগ করা যায়। বন্ধুরা এভাবে একটা মেয়ের জন্য ঝগড়া করলে কি রকম দেখায়। রাসেল এবং রাকিব সাবিহার জন্য অনেক মারামারি এবং ঝগড়া করেছিল। কিন্তু তারা দুজনে পরে তাদের ভুল বুঝতে পেরেছিল। আসলে সাবিহা তো তার খালাতো ভাইকে ভালোবাসে। এরপর আপনারা চার বন্ধু একসাথে হয়ে গিয়েছিলেন একেবারে ক্লোজ এটা জেনে খুবই খুশি হলাম। আপনাদের বন্ধুত্বের এরকম একটা পোস্ট পড়ে ভালোই লেগেছে আমার কাছে।
আপনার মতামতের পেয়ে খুবি ভালো লেগেছে
কারো বিষয়ে খুব ভালোভাবে না জেনে ভালোবাসা মনের মধ্যে পোষন করা একদমই উচিত নয়। আর তাইতো রাসেল ও রাকিব দুই বন্ধু ভালবাসার দ্বন্দ্বে পড়ে গিয়েছিল। এদিকে আবার সাবিহা তার খালাতো ভাইকে দুই বছর ধরে ভালোবাসে। অথচ এই ভালবাসার কথা না জেনে রাকিব ও রাসেল মারামারিতে লিপ্ত হয়েছিল। যাক অবশেষে তারা তাদের ভুল বুঝতে পেরেছে এবং নতুন করে বন্ধুত্বের শুভ সূচনা করেছে জেনে খুব ভালো লাগলো। ভাই,আপনার কলেজ জীবনের স্মৃতি টুকু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনার সুন্দর মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ
ভাইয়া আপনার গল্পটি পড়ে অনেক ভাল লাগলো। স্কুল কলেজ লাইফে এমন সাবিহাকে নিয়ে হাজারো ঘটনা ঘটেছে। মেয়েরা একটু হাসি দিয়ে কথা বললে বা মিশলেই আমরা মনে করি সে আমাকে পছন্দ করে,হা হা হা। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ