ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ দেখতে যাওয়ার স্মৃতিময় গল্প// পর্ব-১
বর্তমানে নৌকাবাইচ আর আগের মতো দেখতে পাওয়া যায় না। তবে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই নৌকা বাইচ ছিল গ্রামের মানুষের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং অনেক আনন্দময় ও উৎসবের মতো। গ্রামের সবাই এই নৌকা বাইচ দেখার জন্য পাগলের মতো ছুটে যেত। আসলে আগের দিনগুলোর কথা খুবই মনে পড়ছে। তাই স্মৃতির পাতায় থেকে আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে আসলাম,আর ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ দেখতে যাবার সেই গল্পটি। আশা করছি আমার আজকের এই গল্পটি আপনাদের পড়ে অনেক ভালো লাগবে। তো বন্ধুরা স্মৃতির পাতা থেকে আপনাদের মাঝে সেই গল্পটি লেখা শুরু করছি।
সময়টা ছিল ২০১৫ সাল। আমি তখন হাই স্কুলে পড়াশোনা করি। আর এক দিন আমার বন্ধুদের সাথে অনেক গল্প শেয়ার করতে ছিলাম।তখন আমার বন্ধু বলল আমাদের পাশের গ্রামে ফুলজোর নদীতে এক সপ্তাহ ধরে নৌকা বাইচের আয়োজন করা হয়েছে। আর এই নৌকা বাইচ দেখার জন্য অনেক দূর দূরান্ত থেকে মানুষ আসে। আসলে গ্রামবাংলার তখন নৌকা বাইচ দেখার জন্য সবাই ছুটে যেতো।নৌকা বাইচ দেখার অনুভূতি ছিল অন্যরকম। তাই বন্ধু বলল আগামীকাল শুক্রবার সেই নৌকা বাইচের ফাইনাল খেলা হবে। আর এই ফাইনাল খেলা দেখার জন্য অনেক দূর দূরান্ত থেকে মানুষ আসবে। আমরাও যাব, তখন আমি বললাম বন্ধু তাহলে আমাকেও সাথে নিয়ে যাস। আমি নৌকা বাইচ দেখার জন্য যাব। আমার খুব ইচ্ছা করছে। তাই বন্ধু বলল ঠিক আছে তাহলে আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে একসাথে ফুলজোর নদীতে নৌকাবাইচ দেখতে যাব এবং আমরা একটি নৌকা ভাড়া করবো, এই নৌকা ভাড়া করে ভালোভাবে আমরা নৌকা বাইচ দেখব।
বন্ধুদের সাথে নৌকা বাইচ দেখার পরিকল্পনাটি করলাম এবং শুক্রবারে জুমার নামাজ পড়ে আমরা খাবার খেলাম নৌকা বাইচ দেখার জন্য যাত্রা শুরু করলাম।বিকেল চারটা থেকে নৌকা বাইচ শুরু হবে। তাই আমরা ৩ টার দিকে রওনা দিলাম। আমরা ৩ টার সময় সেই নদীতে নৌকাবাইচ দেখার জন্য আসলাম। আমরা আগেই এসেছি। কারণ অনেক মানুষ আসবে, আর নৌকা বাইচ দেখার জন্য যেন মানুষের ভিড় লেগে থাকে। আমরা সেখানে পৌোছালাম নদীর পাশ দিয়ে দেখতে পেলাম এ যেন একটা বিশাল মেলার আয়োজন। সেখানে হাজার হাজার মানুষ এসেছে এবং নদীর কিনারা দিয়ে যেন মেলা বসেছে। মুহূর্তটা আনন্দ উপভোগ করেছি। এটা যেন একদম বড় একটি উৎসব মুখর পরিবেশ ছিল। সেই দিনের কথা চোখের সামনে ভাসে এখুন।
নৌকা বাইচ দেখার জন্য অনেক দূর দূরান্ত থেকে মানুষ এসেছে। তারা নৌকা ভাড়া করে নিয়ে এসেছে। অনেকেই আছে দূর-দূরান্ত থেকে বড় বড় নৌকা ভাড়া করে এসেছে। আমরা এটা দেখে যেন অবাক হয়ে গেলাম মনদীর কিনারা থেকে আমরা ভালভাবে দেখতে পাচ্ছিলাম না। তাই আমার বন্ধু হাসানের চাচার একটি নৌকা ছিল। সেই নৌকায় করে আমরা পাঁচ বন্ধু নৌকা বাইচ দেখার জন্য উঠলাম। আর হাসানের চাচা বলল যে এ নৌকা আমরা একদম নৌকাবাইচের কাছে নিয়ে যাবো। তোমরা খুবই ভালভাবে নৌকাবাইচ দেখতে পাবা। এই কথাটা শুনতে পেয়ে সত্যিই অনেক আনন্দ হচ্ছিল। কারণ আজকে আমরা খুবই ভালভাবে নৌকাবাইচ দেখতে পাবো। আর নদীর পাশ দিয়ে যেন মানুষের ভিড় আর ভিড় এবং অনেকেই নৌকা ভাড়া করে নিয়ে এসেছে। এ নৌকা বাইচ দেখার জন্য। সত্যিই গ্রাম বাংলার মানুষ যেন এই নৌকা বাইচ অনেক আনন্দ উৎসবের সাথে গ্রহণ করে নিয়েছিল।
আজ এখানেই শেষ করছি। আবারো অন্য কোনদিন ভিন্ন কোনো কন্টেট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। ততক্ষন পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, এই দোয়া রইল। আল্লাহ হাফেজ।🙏🤲🙏
আমার নাম মোঃ ফয়সাল আহমেদ ।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবসি ।আমি সর্বদাই গরীব-দুঃখীদের সেবায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং নতুন সৃজনশীলতার মাধ্যমে কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে।
👉বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺
বন্ধুদের সাথে নৌকা বাইচ দেখার মজাই আলাদা। যদিও জীবনে খুব কম বারই নৌকা বাইচ খেলা দেখার ভাগ্য হয়েছে। তবে আপনার নৌকাবাইজ দেখার স্মৃতিময় গল্পের প্রথম পর্ব পড়ে বেশ ভালো লাগলো। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ
আমাদের বাড়ির পাশ দিয়ে পদ্মা নদী আর এখানে প্রতিবছরই অনেক জাকজমকপূর্ণ এবং বড় ধরনের নৌকা বাইচ এর মেলার আয়োজন করা হয়।।
আমি দেখেছি এখানে মেলা দেখতে শহর গ্রাম ভুলে সবাই প্রাণপণে ছুটে আসে।।
এত পরিমান লোক হয় যে নদীর পাড় দিয়ে এবং নদীর ভিতর নৌকায় জায়গা হয় না।।
২০১৫ সালে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা দেখার আপনার অনুভূতিটি জানতে পেরে খুবই ভালো লাগবে।।
মূল্যবান মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
ছোটবেলায় দেখেছি অনেক নৌকা বাইচ খেলা। যদিও নৌকা বাইচ খেলা পরিচালনা হয় উপজেলা চেয়ারম্যানের মাধ্যমে।ছোটবেলায় প্রতিবছরই দেখতাম নদীতে নৌকা বাইচ খেলা হতো বড়দের সঙ্গে অনেক আনন্দ করে খেলা উপভোগ করতাম।নৌকা বাইচ খেলা দেখার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
আসলে ভাইয়া নৌকায় চড়ে নৌকা বাইচ দেখার মধ্যে রয়েছে অনাবিল আনন্দ।ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ দেখতে যাওয়ার স্মৃতিময় গল্পের প্রথম পর্বটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আপনার বন্ধুর চাচার নৌকায় চড়ে নৌকা বাইচ দেখার পরবর্তী পর্বটি পড়ার অপেক্ষায় রইলাম
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
নৌকা বাইচ খেলা সামনাসামনি কখনও দেখা হয়নি টিভিতে দেখেছি।তবে বন্ধুদের সাথে দেখার হয়তো আলাদাই মজা,যেটা আপনার পোস্টে আপনি বিশ্লেষন করেছেন।খুবই ভালো লেগেছে আপনার পোস্টটি ভাইয়া।ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে,
ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা দেখতে যাওয়ার খুব সুন্দর স্মৃতিময়ী গল্প শেয়ার করলেন, সম্পূর্ণ টা পড়ার সময় বেশ ভালোই উপভোগ করলাম। আপনার বন্ধু বলেছিল তারা ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা দেখতে যাবে। তখন আপনি তাদেরকে বলেছিলেন, আপনিও যাবেন তাদের সাথে। এরকম প্রতিযোগিতা গুলো আগে অনেক বেশি দেখা যেত। এখন যদিও এরকম কিছুই দেখা যায় না। অনেক মানুষ আসতো দূর-দূরান্ত থেকে এরকম প্রতিযোগিতা গুলো দেখার জন্য। খুব সুন্দরভাবে সম্পূর্ণটা উপস্থাপন করলেন, দেখেই ভালো লাগলো আমার কাছে।
মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
আমার জীবনে কিন্তু এমন সৌভাগ্য আজ পর্যন্ত হয়নি ভাই। আমি নৌকা প্রতিযোগিতার এই নাম অনেক আগে থেকেই শুনে আসছি কিন্তু আমাদের এলাকায় তেমন নদী না থাকায় এই খেলাগুলো দেখা হয় না। অবশ্যই এ জাতীয় খেলা গুলো খুবই আনন্দদায়ক হয়ে থাকে যেখানে অনেক মানুষের ঢল থাকে। এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ