মাঘের শীতে বাঘ পালায়!!

in আমার বাংলা ব্লগ6 months ago

আজ- ২রা মাঘ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, শীতকাল


আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।




nature-6895756_1280.jpg
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।

কেমন আছেন সকলে? আশা করছি ভালো আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। ইদানিং ঠান্ডার পরিমাণটা অনেকটাই বাড়ছে। এ কনকনে ঠান্ডার গা ঢাকা দিয়ে থাকতে হচ্ছে সারাক্ষণই। আবহাওয়া দপ্তর গুলো এখনো পর্যন্ত তেমন কোন সুসংবাদ দিতে পারছে না। তারা আশা করছে সামনের দিনগুলোতে কঠিন শৈত্যপ্রবাহ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদি ও এখনো পর্যন্ত কিছু কিছু অঞ্চলের শৈত্যপ্রবাহ চলছে এবং সেখানে সূর্যের দেখা মিলছে না কয়েকদিন ধরে।

আসলে ওয়েদারের এমন অবস্থা এটা হওয়ারই ছিল কারণ এখন পৌষ মাস শেষে মাঘ মাসে প্রবেশ করলো। লোক মুখে শুনেছি মাঘের শীতে নাকি বাঘ পালায়। আমি চিন্তায় আছি আমাদের দেশে কি আর বাঘ আছে? কারণ দিন দিন যেভাবে সুন্দরবনের ভূমি দস্যুরা বাঘের শিকার করছে, আর বাঘ থাকলেও তারা কোথায় গিয়ে পালাবে। তাদেরকে তো আর আমাদের মত কাঁথা-কম্বল নেই যে সেখানে গিয়ে ঢুকে থাকবে, হি হি।

যাইহোক, আশা করছি পরিস্থিতি অনুকূলে চলে আসবে কিছুদিনের মধ্যেই। তবে সবাই একটু চেষ্টা করবেন নিজেকে সাবধানে রাখার। কারণ কলেরা ডায়রিয়া, জ্বর, সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়ার মত এই অসুস্থতা গুলো চারদিকে ব্যাপকভাবে ঘটছে। তাবে অবশ্যই প্রয়োজন নিজেকে এবং নিজের পরিবারের মানুষগুলোকে নিয়ে কিছুটা সাবধানতা অবলম্বন করার যাতে এ ধরনের রোগ বালাইগুলো থেকে দূরে থাকা যায়। কারণ চারপাশের পরিচিতি খুবই খারাপ।

আসলে আমরা যখন সুস্থ থাকি তখন অসুস্থতার কথাটা আমাদের মাথায় থাকেই না। তখন সুস্থ থাকার সে মর্ম টুকু আমরা বুঝতে পারি না , কিন্তু যখন আমার অসুস্থ হয়ে পড়ি তখন সুস্থ থাকার গুরুত্বটাকে আমরা বুঝতে পারি। হাসপাতালগুলোতে গেলেই দেখা যায় যে কি অবস্থা সেখানের। চারদিকে মানুষ খুবই অসুস্থ এই ঠান্ডা বাহিত রোগগুলোর কারণে। তাই একটু সাবধানতা অবলম্বন করে যদি ভালো থাকা যায় তাহলে তাতে মন্দ কি।

যাইহোক, আমার এই গভীর শীতে নিজেকে উষ্ণ রাখার চেষ্টা চলছে সারাক্ষণই। সারাদিনটা কোনভাবে কাটানো গেল ও সকাল এবং রাতের দিকে সব থেকে বেশি ঠান্ডা পড়ে। তবে এই ঠান্ডা নিয়ে আমার তেমন কোন অভিযোগ নেই কারণ শহরাঞ্চলে শীত গুলো খুবই স্বল্প সময়ের জন্য দেখা যাবে এরপর কিছুদিন পরেই এই ঠান্ডাটা উধাও । এখন যে ঠান্ডাটা পড়ছে এটাই সর্বোচ্চ এই শহর অঞ্চলের জন্য। এরপরে স্বাভাবিক হয়ে যায় সবকিছু। কিন্তু গ্রামের দিকে দেখা যায় শীতের সেই শুরু থেকে ঠান্ডা এবং শেষ অব্দি ঠান্ডা থেকেই যায়। আর আমাদের শহরাঞ্চলের শীতের কথা বলতে গেলে মোটামুটি এই একটা মাস ঠান্ডাটা যা একটু পরে এরপর আর তেমন একটা শীত অনুভব হবে না।

আজ তাহলে এই পর্যন্তই। সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী দিনে আবার ও ভিন্ন কোন আলোচনা নিয়ে। আল্লাহ হাফেজ।

সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 6 months ago 

ঠিক বলেছেন ভাইয়া বাঘ থাকলে তারা কোথায় পালাবে এটা বড় কথা, সেই কারণে এখন আর বাঘ থাকে না।আসলে ভাইয়া ভালো মন্দ মিলেই আমাদের জীবন। তবে কোন কিছু স্হায়ী নয়। আর শীতের দিনে শীত না পড়লে সবাই পিঠা খাবে কিভাবে। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে অনেক ভালো লাগলো।

 6 months ago 

এটা কিন্তু ঠিক বলেছেন, বাঘের এত পালানোর জন্য কাঁথা-কম্বল ও পাবে না। সত্যিই আজকে কয়দিন প্রচন্ড বেশি ঠান্ডা পড়ছে। রোদের আভাস তো দেখাই যাচ্ছে না। তাছাড়া শীতের
কারণে মানুষ অতিরিক্ত অসুস্থ হয়ে পড়ছে। আমারও মনে হয় এই মাসের শেষের দিকে কিছুটা কমে যাবে।

 6 months ago 

আসলেই এখন অবস্থাটা এমনই হয়ে গিয়েছে শীতের পরিমাণটা এতটাই বেশি যা দেখে বোঝাই যাচ্ছে যে মাঘ মাসে বাঘ পালায়। আর শীত বৃদ্ধি পাবার সাথে সাথে ছোটদের সহ বড়দের বিভিন্ন ধরনের অসুখের পরিমাণ অনেক বৃদ্ধি পেয়ে গিয়েছে।

 6 months ago 

গ্রামে ভাই সেই লেভেলের ঠান্ডা! মাঘের শীতে সব পালাচ্ছে! এই শীত যদি আরও কয়েকদিন থাকে তাহলে তো সবাই পালাবে। যাক, এ কনকনে শীতে যেহেতু রোগবালাইপ বেশি ছড়াচ্ছে তাই সাবধানে থাকাই শ্রেয়।

 6 months ago 

ভাই সত্যি বলতে আমি এবারের শীতটা বেশ উপভোগ করছি। কারণ শীতকালে একটু ঠান্ডা না পরলে ভালো লাগে না। যদিও গ্রামের দিকে ঠান্ডা অনেক বেশি। মাঘ মাসে সবচেয়ে বেশি শীত পড়ে। এই শীতে সবচেয়ে বেশি কষ্ট করছে দিনমজুরেরা এবং গৃহহীন মানুষেরা। আমাদের উচিত এই তীব্র শীতে সামর্থ্য অনুযায়ী সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের পাশে দাঁড়ানো। চারিদিকে অসুস্থতার হার ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাই সবার উচিত সাবধানতা অবলম্বন করা। যাইহোক এতো চমৎকার একটি টপিক নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

Posted using SteemPro Mobile

 6 months ago 

আর বাঘ থাকলেও তারা কোথায় গিয়ে পালাবে

দাদা, আপনাদের দেশের ঠান্ডায় বাঘ পালিয়ে আমাদের দেশে চলে আসবে! হিহি.. আমাদের দেশের কিছু কিছু জায়গায় এখনো গরম রয়েছে। 🤭🤭 বিগত কয়েকদিন হাড় কাঁপানো ঠান্ডা ছিল দাদা সব জায়গায়ই, আজও অনেক ঠান্ডা পড়েছে। এই সময় বিভিন্ন ধরনের রোগ হতে দেখা যায়। তাই এখন পরিবারের সবাইকে নিয়ে একটু সাবধান থাকা উচিত। সুস্থতার গুরুত্ব অসুস্থতার পরে দিয়ে তো কোন লাভ নেই। তাই পূর্বে থেকেই আমাদের এই বিষয়ে সাবধানতা অবলম্বন করা ভালো। শহরের তুলনামূলক ঠান্ডা একটু কম, এটা ঠিক । তবে গ্রামের দিকে অনেক বেশি ঠান্ডা পড়ছে।

 6 months ago 

জী ভাইয়া মাঘের শীতে বাঘ পালায় সেটা আমার আগে বিশ্বাস হতো না। এই বছরের শীতের দাপটে বিশ্বাস হচ্ছে। গত দশ পনের দিনে পানিতে হাতই দেওয়া যাচ্ছে না। আশা করি কিছুদিনের মধ্যে শীত কমে আসবে। ধন্যবাদ।

 6 months ago 

সত্যিই ভাইয়া, এই প্রবাদ মনে হয় এইবছর সত্যি হয়ে ছাড়ছে।কারন আমাদের এখানে রীতিমতো বৃষ্টি হচ্ছে, সূর্যমামারও দেখা মিলছে না।এমন আবহাওয়া কাটিয়ে ওঠা আসলেই কঠিন বাচ্চা ও বৃদ্ধ বয়সের জন্য।তাই সকলের সচেতন থাকা খুবই জরুরি।সুন্দর বিষয় নিয়ে পোষ্ট করেছেন,ধন্যবাদ আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.14
JST 0.029
BTC 57893.29
ETH 3130.56
USDT 1.00
SBD 2.44