প্রকৃতিই সর্বশক্তিমান।
আজ- ১৮ই বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, গ্রীষ্মকাল
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
যাইহোক, অনেকক্ষণ ঘরে কারেন্ট আসছে না দেখে নিচে গিয়ে দেখলাম যে প্রিপেড কার্ডে ব্যালেন্স টাকা শেষ হয়ে গিয়েছে। এরপর যথারীতিতে বিকাশ পেমেন্ট এর মাধ্যমে ব্যালেন্স ঢুকালাম। এরপর একটু স্বস্তি ফিরে পেলাম । সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে এই পাঁচতলা উঠা নামাতে বেশ ভালই ব্যায়াম হয়ে গেল।
দিনে কমপক্ষে ৩-৪ বার এর বেশি সময় পর্যন্ত লোডশেডিং হয়ে থাকে। অন্যান্য সিজনে লোডশেডিং মানা গেলেও এই গরমের সময় লোডশেডিং মানে আতঙ্কের বিষয়। অথচ এই গরমের সময় লোডশেডিং টা সব থেকে বেশি হয়। বিশেষ করে রাতে ঘুমানোর সময় এবং সকালের টাইমটাতে লোডশেডিং টা খুবই বিরক্তিকর লাগে আমার কাছে। কিন্তু এই বিরক্তিকর টাইমটাতে বেশি লোডশেডিং হয়ে থাকে। এই কয়েকদিন থেকে প্রতিদিন সে একই ঘটনা ঘটে চলেছে। সারাদিনটা কোনমতে ঠিকঠাক থাকলে ও রাতে ঘুমানোর সময় কারেন্টে চলে যায়।
যাইহোক আজকে ওয়েদারটা অন্যান্য দিনের তুলনায় কিছুটা শীতল। বাহিরে খুব প্রখর রোদ নেই। চারিদিকে বাতাস রয়েছে প্রচুর। যার কারনে বেশ ভালই লাগছে। টানা এ কয়েকদিনের রেকর্ড গড়া তাপমাত্রা গুলোর মধ্যে আজকের তাপমাত্রাটা কিছুটা সহনীয়। আকাশটাও হালকা মেঘাচ্ছন্ন। মনে হচ্ছে কিছুদিনের মধ্যে আবহাওয়া আমাদের জন্য সুসংবাদ নিয়ে আসবে। এই ঝলসানো উত্তাপ সরে গিয়ে মেঘলা বৃষ্টি নামবে বললে এমনটাই আশ্বাস দিচ্ছেন আবহাওয়া দপ্তর গুলো । এখন দেখা যাক কি হয়। তবে এতদিনের এই প্রচন্ড উত্তাপটা যে ভয়ংকর কিছু নিয়ে আসবে না সেটা বলা যায় না। কারণ প্রতিবারই এমনটা হয়ে এসেছে। প্রচন্ড তাপদাহের পর দেখা যায় নিম্নচাপের সৃষ্টি হয় এবং প্রচন্ড ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে সেটি আঘাত আনে।
সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে আমরা দুবাইয়ের পরিস্থিতি তো দেখতে পারছি, সেখানকার অবস্থা কতটুকু করুন। এরকম একটি বিলাসিতা শহরে আজ কতটুকুই না বেহাল দশা। আসলে আমরা যতই যাই বলি না কেন দিনশেষে প্রকৃতির সর্বশক্তিমান। প্রকৃতি চাইলে এক নিমিষেই সবকিছু ধংস করে দিতে পারে আবার প্রকৃতি চাইলে সুন্দর কিছু সৃষ্টি করতে পারে। আমরা প্রকৃতির কাছে অসহায় আবার আমার প্রকৃতির উপরেই নির্ভরশীল। আমরা যেভাবে প্রকৃতিকে রাখবো প্রকৃতি ও ঠিক সেভাবে আমাদের সহায়তা করবে।
আজ তাহলে এ পর্যন্তই। সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী দিন আবারও ভিন্ন কোন আলোচনা নিয়ে। আল্লাহ হাফেজ।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
প্রকৃতিই সর্বশক্তিমান শিরোনামে লেখাটি বর্তমান সময়ের সাথে মাননসই। সময়য়ের সঠিক চিত্র যথাযথ ভাবে ফুটে উঠেছে আপনার লেখায়। আপনি ঠিকেই বলেছেন ভাইয়া,"আমরা প্রকৃতির কাছে অসহায় আবার আমার প্রকৃতির উপরেই নির্ভরশীল"।আসলেই প্রকৃতি মূহুর্তেই সবকিছু ঠিক করে দিতে পারে। আর হ্যাঁ এই অসহ্য গরমে কারেন্ট এক বড় বিড়ম্বনা।কাগজে আছে বাস্তবে নেই। লেখাটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @moh.arif,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
এমনিতেই প্রচন্ড গরম, তার উপর যদি দিনে ৩-৪ বার লোডশেডিং হয় তাহলে তো অবস্থা খারাপ হবেই । তবে এটা ঠিক কথা, অন্যান্য দিনের তুলনায় আজকে গরমটা একটু কম পড়েছে। আসলে দাদা আমরা পুরোপুরি প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল। তাই প্রকৃতি চাইলেই আমাদের সুন্দরভাবে গড়ে দিতে পারে আবার চাইলে সবকিছু ধ্বংসও করে দিতে পারে। তাই এখন থেকে আমাদের উচিত প্রকৃতির একটু যত্ন নেওয়া। তাহলে হয়তো সুদূর ভবিষ্যতে এই সমস্যাটা আর থাকবে না।
ভাই সমস্যা যখন আসে, তখন সবদিক থেকেই আসে। এই গরমে কারেন্ট না থাকলে প্রচুর বিরক্ত লাগে। আর গরম বাড়লে লোডশেডিং ও বেড়ে যায়। যাইহোক প্রকৃতি চাইলে আমাদেরকে ধ্বংস করে দিতে পারে। তখন আমাদের হাত পা গুটিয়ে বসে থাকা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না। ইতিমধ্যেই আমরা দুবাই, সৌদি আরব এবং ওমানের ভয়াবহ অবস্থা দেখেছি। তাই আমাদের উচিত প্রকৃতিকে ভালোবাসা। তাহলে প্রকৃতিও আমাদেরকে ভালোবাসবে। নয়তো সামনের দিকে প্রকৃতি আমাদেরকে একেবারে শেষ করে দিবে। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমরা যাই করি না কেন কথাই বলে প্রকৃতির মার হচ্ছে সবচেয়ে সেরা। কারণ আমরা মানুষেরা যা করবো প্রকৃতি এক সময় তার দ্বিগুণ আমাদেরকে ফেরত দিয়ে দেবে। আমরা প্রকৃতিকে বিভিন্ন ভাবে ধ্বংস করতেছি। যার ফল স্বরূপ আমরা এমন করুন একটি আবহাওয়ার মধ্যে বসবাস করতেছি। সত্যিই সকাল টাইম এ বিদ্যুৎ চলে যাওয়াটা খুবই বিরক্তিকর অবস্থা ভাইয়া আমার মত যারা লেটে ঘুম থেকে উঠে তাদের জন্য😂😂 । আর সকালটা যদি এত আজেবাজে সময় দিয়ে শুরু হয় তাহলে বেশ বাজে সময় যাই। আপনার তো তাহলে বেশ ভালোই ব্যায়াম হচ্ছে পাঁচ তলায় ওঠা নামার মধ্যে। সকাল-বিকেলে আপনার আর হাঁটতে হবে না পাঁচ তলায় বেশ কয়েকবার ওঠা নামা করলেই ভালো ব্যায়াম হয়ে যাবে হি হি হি। ভালো লাগলো আপনি আজকের আবহাওয়ার অনুভূতি গুলো শেয়ার করলেন।
আসলেই ভাইয়া আজকে অন্য দিনের তুলনায় অনেকটা ঠান্ডা পরিবেশ। আর সেটাও একদম ঠিক যে প্রকৃতি আমাদের চাইলে নিমিষেই শেষ করে দিতে পারে। আসল কথা হচ্ছে আমরা পরিবেশকে যেভাবে রেখেছি তারই প্রতিদান পরিবেশ আমাদের এখন দিচ্ছে।
আমাদের প্রকৃতির উপর নির্ভরশীলতা কখনোই কমবে না। কারণ প্রকৃতির মাঝেই আমাদের বেঁচে থাকার সকল উপাদান বিদ্যমান। প্রকৃতির পরিবেশ ভালো থাকলে আমরা সকলেই আরোও ভালো থাকতে পারবো৷ আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, প্রকৃতি তার নিজের প্রতিশোধ নেয়া শুরু করলে আমরা মানুষেরা ভীষণ অসহায় হয়ে যাবো।