শৈশবের সেই রমজানটা।
আজ- ১৩ই চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, বসন্ত-কাল
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
![ramadan-3434919_1280.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRsWPxchRfTmpc8CKFx1aBKogzyHjhpDxMfeVLW6bVBLT/ramadan-3434919_1280.jpg)
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
দেখুন না আমাদের জীবনের সেই ছোটবেলার দিনগুলো কতটাই না বড় ছিল। তখন সারা দিনটাতে আমরা কতই না একটিভিটিস এর মধ্যে দিয়ে কাটাতাম। আর এখন প্রতিটা দিন যেন খুব ছোট হয়ে এসেছে। আর সময় গুলো খুব দ্রুতই পার হয়ে যাচ্ছে।
যাইহোক, ১৫ টা রোজা যেভাবে কেটে গেল দেখা যাবে বাকি রাজা গুলো তার থেকে দ্রুত ভাবে পার হয়ে যাবে। সত্যি বলতে আগের সময়টা রমজান গুলো যেভাবে পালন করা হতো কিংবা যে একটা আলাদা অনুভূতি থাকতো রমজান মাসটাকে ঘিরে এখন ওই জিনিসগুলো না আর খুব একটা পায় না। আগে দেখা যেত রমজান উপলক্ষে কয়েক মাস আগে থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণ করা হতো। আম্মুকে দেখতাম রমজান উপলক্ষে পুরো ঘরবাড়ি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে রাখতো।
বছরের বাকি সময়ের রুটিন গুলো থেকে অনেকটাই ভিন্ন ভাবে রমজান মাস টা কাটানো হত। রমজান মাসের পুরোটা জুড়ে স্কুল ছুটি থাকতো। তখন পুরো সময়টায় বাসায় কাটানো হত। কোরআন খতম দাওয়া, মসজিদের যাওয়া, তারাবি পড়া এসব জিনিস গুলোর মধ্যে দিয়ে সময় গুলো খুব সুন্দর ভাবে পার হয়ে যেত ।
কিন্তু এখন সেসব প্রস্তুতি, সেসব এক্সাইটমেন্ট যেন খুব একটা মনের মধ্যে নেই। তারপরও মুসলিম সমাজের সব থেকে বরকতময় একটি মাস হচ্ছে এই রমজান তাই রমজান মাসটাকে ঘিরে চেষ্টা করি একটি ভিন্নভাবে নিজেকে পরিবর্তন করার।
আমার এবারে রমজান মাসটা অনেকটাই অপ্রস্তুত অবস্থায় পেয়েছি। শেষ দুই মাস আমার প্রচন্ড ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে কেটেছে সময় । আর এই ব্যস্ততার মাঝে এবারের রমজান মাসটা নিয়ে আলাদা কোনো পরিকল্পনা করাই হয়ে ওঠেনি।
রমজান মাসে ছোটবেলার ওই স্মৃতিগুলো না মাঝে মাঝে খুব বেশি মনে পড়ে। বিশেষ করে ইফতারের মুহূর্তগুলোতে, ছোটখাটো খুনসুটি। রোজা রাখা নিয়ে বায়না, ঈদের শপিং করা এসব কিছুই ছিল মজার মজার স্মৃতি। কিন্তু সেই সব সুন্দর অনুভূতিগুলো লাইফ থেকে এখন অনেকটাই হারিয়ে যেতে বসেছে। তারপরও দিনশেষে আমার জন্য রমজান মাসের শ্রেষ্ঠ একটি মাস।
আজ তাহলে এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সকলে ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী দিন আবারও ভিন্ন কোন আলোচনা নিয়ে আল্লাহ হাফেজ।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRsJKf2r9DWRdqqiCgFRUu5YUjJBJQDYwV131Y9fgbQ7K/asa.png)
![](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmfRETShxA5EQdPmpF6ChkQd5MkXJPifATT3TZdvk5sEC1/standard_Discord_Zip.gif)
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ছোটবেলা বা শৈশবের যে কোন কিছুই মনে দাগ কেটে আছে। মধুর সেই সব স্মৃতি। ভাইয়া, আপনার লেখা পড়ে আমারও ছোটবেলার রমজানের কত স্মৃতি মনে পড়লো। আসলে সেই মধুর স্মৃতি গুলো কখনো ভুলা যাবেনা। স্মৃতিকে নাড়িয়ে দেওয়ার মত পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
শৈশবের রমজান মাসগুলো আসলেই খুব মিস করি। সেহরি খেয়ে ফজর নামাজ আদায় করে আমরা হাঁটাহাঁটি করতাম এবং অনেক দূর পর্যন্ত চলে যেতাম। কোরআন খতম দিতাম ২/১ বার। রোজা রেখেও দিনের বেলা ক্রিকেট খেলতাম, ক্যারাম বোর্ড খেলতাম। আর ঈদের শপিং করা নিয়ে ভীষণ এক্সাইটেড থাকতাম। কিন্তু এখন আর সেই অনুভূতি গুলো কাজ করে না মনের মধ্যে। তবে এবার রোজা রাখতে একেবারেই কষ্ট হচ্ছে না। তাই রোজা গুলো অনেক তাড়াতাড়ি চলে যাচ্ছে। যাইহোক পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাই। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সত্যি ভাইয়া ছেলেবেলার রোজা কিংবা ঈদ সবটাই ছিল ভীষণ আনন্দের।সেই দিনগুলো আজ ও স্মৃতিতে অমলিন হয়ে আছে।এবারের রমজান গুলো খুব চমৎকার ভাবেই কেটে গেলো।এখন দিনগুলো মনে হয় একটু তাড়াতাড়ি ই কেটে যাচ্ছে।বাকি দিন গুলো সকলের ভালো কাটুক এমনটাই আশাকরি। ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলেই ভাইয়া আমরা জীবনে যাই বলি না কেন আর যাই করি না কেন দিনশেষে এটাই বলতে হবে রমজান মাস হচ্ছে বাকি 11 টি মাস থেকে সর্বোত্তম সর্বশ্রেষ্ঠ। হ্যাঁ এটা অবশ্যই ঠিক ভাইয়া যে আগের সেই দিনগুলোকে আমরা এখন অনেক বেশি মিস করি। রোজা আসার আগে থেকেই আমাদের বাসায় বিভিন্ন রকমের প্রস্তুতি গ্রহণ করত আম্মুরা। ঈদের আগে শপিং করা তো ছিল একটা আনন্দের ব্যাপার তার থেকেও বেশি আনন্দদায়ক ছিল ইফতার করার সময়টি এবং রোজা থাকার জন্য সেহরি খাওয়ার বিষয়টি। সেদিনগুলো ক্রোমাগতভাবে হারিয়ে যাচ্ছে জীবন থেকে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া ১৫ টা রোযা যেভাবে কেটে গেল বাকি রোজাগুলো তার থেকে দ্রুত পার হয়ে যাবে ।রমজান মাসের এই মাসটা আসলেই স্মৃতিময় । আমরাও ছোটবেলায় রোজা এবং মার্কেট করা নিয়ে অনেক বায়না করতাম ।আমাদের বাড়ির আশপাশে সবার বাড়িতে দেখতাম কে কেমন মার্কেট করেছে। আর আমাদের মার্কেট করা না হলে খুব খারাপ লাগতো আর আম্মুকে বলতাম আম্মু কবে মার্কেট করতে যাবেন। এখন বড় হয়ে গিয়েছি সেই স্মৃতিগুলো মনে পড়লে নিজেই মনে মনে হাসি ।ধন্যবাদ ভাইয়া শৈশবের রমজান মাসের কথা আবারও মনে করে দেওয়ার জন্য ।আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আসলেই রমজান মাসে আসলে ছোটবেলায় আলাদা একটা এক্সাইটমেন্ট ছিল। তারাবি নামাজ নিয়েও ছিল এক্সাইটমেন্ট। সকাল হলে কুরআন পড়া আম্মার সাথে। আর বারবার ঘড়ি দেখা! কখন আযান দিবে, নামাজে যাবো! আর এখন চিত্র পুরো উল্টো! মুসলিমদের জন্য শ্রেষ্ঠ মাস এটি, অথচ এখন কুরআন তেলাওয়াত করার সময় যেন পায়না। কতটা দূরে সরে গেছি 🥺।
ঠিকই বলেছেন ভাই কথাগুলো। আমি নিজেও ছোটবেলার রমজান গুলো মিস করি। সারাদিন বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতাম একসঙ্গে কাটাতাম স্কুল বন্ধ থাকত। কোন চিন্তা টেনশন ছিল না। কিন্তু এখন সারাদিন ঘরের মধ্যে বন্দি। একটা চিন্তা টেনশন সবসময় কাজ করে থাকে। কী একটা শোচনীয় অবস্থা। ছোটবেলা তো ঈদের আগে কেনাকাটার প্রতি একটা আকর্ষণ থাকত কিন্তু এখন সেটাও নেই। সময় গুলো কত দ্রুত বদলে গিয়েছে।