আমাদের জীবনটা খুবই সংকীর্ণ।

কেমন আছেন সকলে? আশা করছি ভালো আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। রাতের দিকে খানিকটা বৃষ্টি হলেও সকাল থেকে আবারো সেই গরমের অতিষ্ঠতা শুরু। আসলে বর্তমানে ওয়েদার টা এমনই, যখনই একটুখানি বৃষ্টি পড়ে তখনই শীতলতা ছড়িয়ে পড়ে আর যখন বৃষ্টি থেমে যায় তখনই শুরু হয় প্রচন্ড তাপদাহ। আর এভাবেই চলছে প্রতিনিয়ত। প্রকৃতির ভিন্ন ভিন্ন রূপ নিয়ে সবসময় বিরাজ করবে এটি স্বাভাবিক। আর প্রকৃতির বিভিন্ন ভিন্ন সময় ভিন্ন ভিন্ন রূপ গুলো আমাদের বেশ আনন্দ জায়গায়। যেমন অনেক রোদের পরে যখন আকাশে মেঘ কালো করে বৃষ্টি নামে , তখন মনটা আনন্দে ভরে ওঠে। আবার যখন টানা বৃষ্টির পর কিছুটা রোদের ঝলকানি দেখা যায় তখনো বেশ আনন্দ হয়।এইতো, বেশ কিছুদিন আগে যখন ঘূর্ণিঝড়ের কারণে অতিবৃষ্টি ফলে রাস্তাঘাট গুলো পানিতে ডুবে গিয়েছে তখন শুধু অপেক্ষায় ছিল কখনোই বৃষ্টি থামবে এবং পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে রাস্তাঘাট গুলো শুকিয়ে উঠবে। আর এরপরে যখন সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে রাস্তাঘাটে পানি গুলো টেনে গিয়েছে তখন অনেকটাই ভালোলাগা কাজ করছিল। এরপর আবারো যখন বৃষ্টি থেমে রোদ উঠেছে তখন আবার অপেক্ষা কখন বৃষ্টি নামবে। বিষয়গুলো আসলে এমনই ।

সবকিছুর সাথে সাথে প্রকৃতি যেমন পরিবর্তন হয়, তেমন মানুষের ও পরিবর্তন হয় এবং সব থেকে বেশি পরিবর্তন হয় "সময়"। সময় বড়ই পরিবর্তনশীল আর এটি চিরন্তন সত্য। সময়ের সাথে নদীর স্রোতের তুলনা করা হয়েছে, নদীর স্রোত যেভাবে বয়ে যায় আর ফিরে আসে না আমাদের জীবনের সময় গুলো চলে গেলে সেটা আর ফিরে আসে না।

আসলে আমাদের জীবনের সময়গুলো যেন চোখের পলকে পার হয়ে যাচ্ছে। আগে একেকটা দিন যতটা দীর্ঘ মনে হতো আর এখন দিনগুলো কতই না ছোট হয়ে উঠেছে। আসলে দিন ছোট হয়ে গেছে এটি বললে ভুল হবে বরং আমরা সময় থেকে অনেকটা পিছিয়ে পড়েছি অর্থাৎ সময় যেভাবে অগ্রসর হচ্ছে আমরা সেই তালে চলছি না। ফলে আমাদের কাছে আমাদের দিনগুলো খুব ছোট মনে হচ্ছে। আসলে একটা জিনিস ভেবে দেখুন আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের রুটিন গুলোকে কতই না বদলে ফেলেছি। আমরা দিনকে করে তুলেছি রাত আর রাত্রকে করেছি দিন। দিনে কাজ না করে রাত জেগে কাজ করছি আর রাতে না ঘুমিয়ে দিনের বেলা পর্যন্ত পড়ে পড়ে ঘুমাচ্ছি। তাহলে আমরা আমাদের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডগুলো করার পর সময় হয়ে উঠছে আর কোথায়? আসলে এভাবে আমরা সময়ের অপব্যবহার এর মাধ্যমে সময়গুলোকে অগোছালো করে তুলছি ফলে আমাদের কাছে মনে হচ্ছে সময় অনেক দ্রুতই পার হয়ে যাচ্ছে। আমরা নিয়মটাকে ভারী অনিয়ম করে তুলেছি। আর অনিয়ম টাকে নিয়মিতই তো পালন করে আসছি।

একটা জিনিস খেয়াল করবেন আপনি যখন খুব সকালে ঘুম থেকে উঠবেন এবং আপনার কাজগুলো যখন সকাল সকাল শুরু করবেন তখন দেখবেন আপনি দৈনন্দিন কাজগুলো থেকে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছেন। আর যদি আপনি দেরিতে করে দিনটি শুরু করেন তাহলে সবকিছুতেই দেরি।

শুধুমাত্র সকালে ঘুম থেকে ওঠা নয় বরং আমরা আমাদের জীবনের সব গতি থেকে পিছিয়ে পড়েছি। ওল্ড জেনারেশন এবং নিউ জেনারেশন এর মধ্যে যদি আমরা তফাৎ করি তাহলেই আমরা বুঝতে পারবো স্বাভাবিক গতি থেকে বর্তমানে আমরা কতটা পিছিয়ে পড়েছি।

বর্তমানে একজন মানুষের গড় আয়ু ষাট বছর কিংবা তারও কম। কিন্তু একজন পুরুষের উপযুক্ত কর্ম ক্ষেত্রে পৌঁছাতে কম করে হলে ২৮ থেকে ৩০ বছর এর মত সময় লাগে। আর মানুষ তার কর্ম ক্ষেত্রে পৌঁছানোর পরেই সাধারণত তার বৈবাহিক জীবন শুরু করে। আর এতে দেখা যায় জীবনের অর্ধেকটা সময় পার হয়ে যায় নতুন জীবনের সূচনা করে। এরপর পরবর্তী প্রজন্ম বড় হতে হতে দেখা যায় নানান ধরনের অসুস্থতার শারীরিক জটিলতা আর এভাবে করে মানুষ এক সময় তাদের এই জীবন থেকে বিদায় নেই। তাহলে মানুষ তার পরবর্তী প্রজন্মটা আর কতটুকুইবা দেখল। অথচ আগের জেনারেশনের মানুষদের কয়েকটা প্রজন্ম দেখে যাওয়া সে সুযোগটা ছিল।

আসলে আমাদের জীবনটা খুবই সংকীর্ণ। যদিও এই সংকীর্ণ জীবনে সবকিছু ব্যালেন্স করে চলা অসম্ভব তারপরেও কিছু কিছু বিষয়ে যদি সময়ের সাথে সাথে চালনা করা যায় তাহলে এই সংকীর্ণ জীবন অনেক কিছুই করা সম্ভব।

সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।

---

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP	500 SP	1000 SP	2000 SP	5000 SP

---

|| Join the Discord Server for more Details ||

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy