শরৎতের বার্তা।
আজ- ১৮ই ভাদ্র , | ১৪২৯ , বঙ্গাব্দ | শরৎকাল ||
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
গুটি গুটি পায়ে সময় কত দ্রুত পার হয়ে যাচ্ছে তাই না। এইতো, উষ্ণতর এবং মধুর মাস গ্রীষ্ম পেরিয়ে বর্ষা এলো। যদিও এই বর্ষাটি আমাদের জন্য মোটেই উপভোগ্য ছিল না। কেননা বর্ষার এই মৌসুমে সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যাই এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছে আমাদেরকে। তবে ভাবতেই বেশ ভালো লাগে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে আমরা বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে পেরেছি। এ বিষয়টি আমার কাছে যেমন সৌভাগ্যের ঠিক তেমনি আনন্দের। যাইহোক দুঃস্বপ্নের মতো সেই বর্ষা পেরিয়ে শরৎতকাল চলছে এখন।
আর শরৎকাল হচ্ছে আমার পছন্দের তৃতীয় ঋতু। শরৎকালের সবথেকে সুন্দর একটি দিক হচ্ছে নীল আকাশ। সাদা তুলোর মত মেঘ গাঢ় নীল আকাশে যখন ছুটাছুটি করে তখন সে মনরম দৃশ্য যেন মন ভালো করার অন্যতম মাধ্যম উঠে। এছাড়া ও শরৎকালের অন্যতম আর একটি আকর্ষণ হচ্ছে কাশফুল ।
কাশফুল যেন শরৎকালের সৌন্দর্য আরো কয়েক গুন বাড়িয়ে দেয়। সাধারণত বর্ষা এবং শরৎকালের মধ্যে খুব একটা ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয় না। তবে এই কাশফুল জানান দেই শরৎতের বার্তা।
সত্যি বলতে, শেষ কবে যে নিজ চোখে কাশফুল দেখেছি তা খুব একটা মনে পড়ছে না। তবে আমাদের এখানে কিছু কিছু জায়গা রয়েছে যেখানে কাশফুল দেখতে পাওয়া যায়। তবে সময় এবং সুযোগের অভাবে আসলে কখনোই সেসব জায়গা গুলোতে ঘুরে যাওয়ার সেই সুযোগ আর হয়ে ওঠে না। তবে এবারে শরৎতে ইচ্ছা আছে কাশবনে ঘুরতে যাওয়ার এবং সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করার।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
শরৎকালের অন্যতম আরেকটি ফুল হচ্ছে শিউলি ফুল। আমাদের বাসার রাস্তাটির ঠিক উল্টাপাশেই ছোট্ট একটি শিউলি ফুল গাছ আছে। নগরে বসবাস করার দরুন এই ছোট্ট শিউলি ফুল গাছটি ও বেশ বড় একটি ব্যাপার। কেননা শহরে সাধারণত এই সকল ফুল গাছ খুব কম দেখতে পাওয়া যায়। মানুষ সাধারণত বাড়ির সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য বাগানবিলাস, হাসনাহেনা,নয়ন তারা,জবা কিংবা বিদেশী বিভিন্ন জাতের ফুল গাছ লাগিয়ে থাকে তবে শিউলি ফুল গাছ খুব কম মানুষই লাগিয়ে থাকে।
আমার সাধারণত সকালবেলাতে তেমন একটু বের হয় না তবে। তবে ওই দিন একটি কাজে সকালে বাইরে বেরিয়ে ছিলাম আর সকাল-সকাল ওখানে ওই গাছটিতে এত শিউলি ফুল দেখে সত্যি মনটা ভরে উঠেছিল। এমনিতেই এই ছোট শিউলি ফুল গাছটিতে খুব যে বেশি ফুল ধরে তা কিন্তু নয় তবে যা কয়েকটা ধরে তার বাচ্চারা ছিঁড়ে নিয়ে যায় বিকেলে খেলতে আসলে। তাই বেলা বাড়ার সাথে সাথে গাছের ফুলগুলো কমতে থাকে।
যাই হোক, এই ছিল আমার আজকে আলোচনা। আমি চেয়েছি শরৎকালের সুন্দর কিছু দিক নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করতে। তবে শহরের শরৎতের সৌন্দর্য উপভোগের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে বারান্দায় কিংবা জানালার এক কোণে বসে গাঢ় নীল আকাশে সাদা শিমুল তুলার মত মেঘগুলোর ছোটাছুটি দেখা ।কেননা প্রকৃতির খুব কাছ থেকে থাকলে প্রকৃতির ঋতুগুলোর পরিবর্তনের বিষয়গুলো খুব ভালোভাবে পরিলক্ষিত হয়। যেহেতু আমাদের প্রকৃতিকে খুব কাছাকাছি দেখার সেই সুযোগ নেই তাই আমরা চাইলেই প্রকৃতির সব সৌন্দর্যকে উপভোগ করতে পারিনা। তো আজ এই পর্যন্তই। সকলে ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন অন্য কোনদিন অন্য কোন বিষয় নিয়ে হাজির হবো। আল্লাহাফেজ ।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @moh.arif,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
এখনকার ঋতু বৈচিত্রগুলো আগের মতো যেন সৌন্দর্য ততটা বেশি নিয়ে আসে না। কেননা বর্ষার মৌসুম যে গিয়েছে যেন বুঝতেই পারেনি। কেননা এত বৃষ্টি হয় তবু যেন তাপমাত্রা কমে না। নীল আকাশ সব সময় আমাকে মুগ্ধ করে তবে শরতের আকাশ একটু বেশি। কারণ শরতের প্রকৃতি যেন নতুন রূপে সেজে ওঠে। অনেক কিছু জানতে পারলাম আপনার আজকের পোষ্টের মাধ্যমে ভাইয়া।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া সময় দ্রুত পার হয়ে যাচ্ছে। এবারের বর্ষা আমরা যেমন উপভোগ করতে পারিনি। তাই শরতের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য প্রতীক্ষায় আছি। শরতের শুভ্র শীতল আকাশ এবং সাদা মেঘের ভেলা দেখতে অনেক ভালো লাগে। সেই সাথে শিউলি ফুলের ঘ্রান মন মাতিয়ে রাখে। আর যদি সাদা কাশফুল দেখি তাহলে তো হৃদয় জুড়িয়ে যায়। ভাইয়া আপনার অনুভূতি তুলে ধরার জন্য অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
শরৎমানেই আমাদের কাছে মায়ের আগমনী বার্তা।শিউলি ও কাশফুলের সাথে মা চলে আসেন মর্ত্যে। পুজার অগ্রীম নিমন্ত্রণ রইল ভাই।
ভাইয়া শরৎ ঋতুর প্রধান সৌন্দর্যটুকু আপনার পোষ্টের মাধ্যমে অতি চমৎকারভাবে উপস্থাপন করেছেন। গাঢ় নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেসে বেড়ানোর দৃশ্যটা দেখতে অসাধারণ সুন্দর লাগে। পাশাপাশি কাশ বনের সাদা কাশফুল আর সাদা শিউলি ফুলের সুগন্ধ শরতের প্রকৃতিকে আরো বেশি মনোরম করে তোলে।
দেখতে দেখতেই বর্ষাকাল পেরিয়ে শরৎকাল চলে আসলো। এবারে বর্ষায় তেমন একটি পানি আমাদের এলাকায় দেখা যায়নি। তবে আমার কাছেও শরৎকাল অত্যন্ত প্রিয়। এটা আরো উপভোগ হয়ে ওঠে যদি নদীর কিনারে যাওয়া যায়। নীলিমা আকাশ, কাশফুলের বোন, নদীর উপরে ঝাকে ঝাকে পাখির উড়ে যাওয়ার দৃশ্য সহ অপরূপ এক দৃশ্য। অনেক সুন্দর আলোচনা করেছেন ভাই। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
কথায় আছে শরতের নীল আকাশ ও শিউলি ফুলের ঘ্রাণ প্রকৃতির অপরূপ দান। শরতে প্রকৃতি নতুন রূপে আমাদের মাঝে হাজির হয়। তাইতো আমরা প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারি। শহরে থাকলে হয়তো সেটা সম্ভব হয় না। তবে গ্রামীন পরিবেশ অনেক ভালো লাগে। বিশেষ করে নদীর পাড়ে সাদা কাশফুল দেখতে খুবই ভালো লাগে। ভাইয়া আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো। ♥️♥️♥️
জী ভাইয়া আমাদের দরজায় শরৎকাল কড়া নারছে। এটা একটি সত্য কথা যে শহরের মানুষ কাশফুল দেখার সুযোগ পায় না। তারা বিভিন্ন বিদেশী ফুল নিয়ে ব্যস্ত। আপনার কাছে তাহলে কাশফুলের ফটোগ্রাফি পাওনা হয়ে গেলাম। আপনার ভাগ্যটাও অনেক ভাল যে আপনার বাড়ির পাশে শিউলি ফুল গাছ আছে। সকাল বিকাল শিউলি ফুলের ঘ্রান পান। ধন্যবাদ ভাইয়া শরৎ কালের শুভেচ্ছা রইল।
শরৎতের বার্তা নিয়ে সুন্দর কিছু কথা লিখেছেন ভাইয়া।আমাদের বাড়িতে দুটি শিউলি ফুল গাছ আছে আর বাড়ির পাশে ছোট কাশফুলের বন ও আছে।আমার মনে হয় এখন ঋতুগুলি ঠিকঠাক নেই,ভ্যাপসা গরমে অস্থির পরিবেশ।প্রকৃতিকে কাছ থেকে দেখেও অতিরিক্ত গরম ভেস্তে দিচ্ছে।ধন্যবাদ ভাইয়া।