মজাদার সুইট পপকর্ন (sweet popcorn) রেসিপি।
আজ- ২৩ই,মাঘ | ১৪২৮ , বঙ্গাব্দ | শীতকাল | | রবিবার |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
আসলে পপকর্ন ছোট বড় সকলেরেই খুব প্রিয়। পপকর্ন আমার ও অসম্ভব প্রিয়। কিন্তু আমরা সব সময় পপকর্ন খাওয়া হয়না কেননা পপকর্ন খিদা কমিয়ে দেয়। আপনারা দেখবেন পপকর্ন খাওয়ার পর এক গ্লাস পানি খেলে সারাদিন আর খুদা লাগবে না। তবু আমি পপকর্ন খাওয়ার লোভ সামলাতে পারিনা। যাইহোক গতকাল আমাদের এদিকে বৃষ্টি পড়ছিল তাই আবহাওয়াটা বেশ ঠান্ডা ঠান্ডা অন্ধকারচ্ছন্ন ছিল। এমন একটি পরিবেশে মুভি দেখতে দেখতে পপকর্ন খাওয়ার মজাই আলাদা। যদিও আমি মুভি তেমন একটা দেখিনা তবে বাংলা নাটক বেশি দেখি। গতকালও এই পপকর্ন খেতে খেতে একটি বাংলা নাটক দেখেছিলাম। নাটকটির নাম হচ্ছে শেষ পত্র। বেশ সুন্দর একটি নাটক। কোন এক সময় এ নাটকটির রিভিউ আপনাদের সাথে শেয়ার করব। খুবই সুন্দর ছিল নাটকটি।
আর একটি কথা, আমি কখনো এভাবে বাসায় সুইট পপকর্ন তৈরি করেনি। যদিও দোকান থেকে এই রকম সুইট পপকর্ন অনেকবার কিনে খেয়েছি। এই রকম সুইট পপকর্ন গুলো খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। তাই ভাবলাম বাসায় একবার ট্রাই করে দেখি বানাতে পারি নাকি। বানানোর পর দেখলাম একদমই দোকানের মত টেস্ট হয়েছে। পপকর্ন গুলোতে মিষ্টি একটি ফ্লেভার এবং খেতে অনেকটা মুচমুচে।
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
- ভুট্টা।
- গুড়।
- লবণ।
- তেল।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
ধাপ-১ঃ
- প্রথমে কড়াইতে তেল গরম করে দিব।তেল গরম হয়ে গেলে এরমধ্যে ভুট্টা গুলো দিয়ে দিব। এখানে আপনারা চাইলে তেলের সাথে বাটার ব্যবহার করতে পারেন এতে পপকর্ন এর টেস্ট আরও বেড়ে যাবে।
 |
|
ধাপ-২ঃ
- এরপর স্বাদমতো লবণ দিয়ে দিব।
ধাপ-৩ঃ
- ভুট্টা গুলোকে ভালোভাবে তেলের মধ্যে নেড়েচেড়ে ভেঁজে নিব।
ধাপ-৪ঃ
- ভুট্টা গুলোকে তেলে ভাজার পর যখন দেখব একটি-দুটি করে ভুট্টা ফুটতে শুরু করেছে তখন ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিব। চুলার আঁচটাকে মিডিয়াম লোহিটে করে রাখবো যাতে পুড়ে না যায়।
 |
|
ধাপ-৫ঃ
- ৩ থেকে ৪ মিনিট পর ঢাকনা উঠালে দেখতে পাব সবগুলো ভুট্টা ফুটে উঠেছে।
ধাপ-৬ঃ
- এরপর একটি চালুনিতে সবগুলো পপকর্ন রাখবো।
ধাপ-৭ঃ
- এরপর একটি পাত্রে গুড় দিয়ে দিব।
 |
|
ধাপ-৮ঃ
- গুড়ের মধ্যে অল্প পানি দিয়ে দিব।
ধাপ-৯ঃ
- অল্প আঁচে গুড়কে কিছুটা আঠালো করে নিব।
ধাপ-১০ঃ
- গুড় আঠালো হয়ে গেলে পূর্বের ভেঁজে রাখা পপকর্ন গুলো দিয়ে দিব।
ধাপ-১১ঃ
- এরপর ভালোভাবে পপকর্ন গুলোকে গুড়ের সাথে মিশিয়ে নিব।
ধাপ-১২ঃ
- সম্পূর্ণ গুড় পপকর্নের সাথে মেশানো হয়ে গেলে একটি বাটিতে ঢেলে দিব ঠান্ডা হওয়ার জন্য।
এই পপকর্ন গুলো গরম গরম অবস্থায় খেতে যাবেন না ঠান্ডা হলে তারপরে খাবে তখন দেখবেন মুচমুচে ও একটি ফ্লেভার আসবে। এবং খেতে অনেক মজা লাগবে।
ব্যাস এভাবেই তৈরি হয়ে গেল মজাদার সুইট পপকর্ন।
সকলকে ধন্যবাদ।
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
বাহ ভাই দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। আপনার রেসিপি দেখে আমার তো এখনই খেতে ইচ্ছে করতেছে। নরমালি পপকর্ন খাওয়া হয় হয়তো সেখানে হালকা চিনি ব্যবহার করেই খাই। কিন্তু এভাবে গুড় দিয়ে কখনো পপকর্ন ভেজে খাওয়া হয়নি। অনেক ভালোলাগলো রেসিপিটি।
আমার রেসিপিটা আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুব খুশি হলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাই পপকর্ণ তো অনেক খেয়েছি। কিন্তু এটা যে এত সহজে বাসায় তৈরি করা যায়,সেটা জানতাম না।আপনার কাছ থেকে অসাধারণ একটি রেসিপি শিখলাম আজকে। শুভ কামনা ভাই আপনার জন্য
আসলেই এটা বানানো খুবই সহজ। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বাহ ভাইয়া আপনার পপকর্ন দেখে আমার তো এখনই খেতে ইচ্ছে করছিল। আসলে ঠিকই বলেছেন মুভি কিংবা নাটক দেখার সময় পপকর্ন খেতে খুবই ভালো লাগে। আপনি নাটক দেখতে দেখতে কখন খেয়েছেন শুনে খুবই ভালো লাগলো। আমি নিজে পপকর্ন তৈরি করেছিলাম কিন্তু আপনার মত এভাবে সুইট পপকন তৈরি করা হয়নি। আপনার রেসিপি দেখে ভাবলাম আবার এরকম ভাবে তৈরি করব। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।
আমার মত এভাবে একদিন তৈরি করে দেখতে পারেন আশা করি আপনার ভালো লাগবে।
এটা একটা চমৎকার রেসিপি। যদিও অনেক কম উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে তারপরেও কিন্তু সচরাচর এমন রেসিপি দেখা যায় না। আমরা সাধারণত কোন মুভি অথবা সিনেমা দেখতে গেলে পপকন কিনে খাই। তবে আপনি যে নাটক দেখতে দেখতে পপকন খেয়েছিলেন এবং অসাধারণ একটা রেসিপি তৈরি করলেন এটা সত্যি ভালো লাগছিল।
তবে আপনার দেখা শেষ পত্র নাটকের রিভিউ বাবার জন্য অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ
পপর্কন খাইতে আমার বেশ ভালো লাগে। কিন্তু বাসায় কখনো তৈরি করেনি। ভাইয়া আপনি অনেক সুন্দর করে বাসায় গুড় দিয়ে মজাদার সুইট পপর্কন তৈরি করেছেন। আমার দেখে খুব ভালো লাগলো। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। সব মিলয়ে পোস্ট অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাইয়া।বাহ্!! আপনি আমার খুব প্রিয় মজাদার সুইট পপকর্ন বাসায় তৈরি করেছেন দেখে,,আমার ভীষণ লোভ হচ্ছে কারণ এই পপকর্ন আমার খুব বেশি পছন্দের।আমি যাত্রাপথে বেশিরভাগ পপর্কন খেয়ে থাকি।আপনি খুবই সুন্দরভাবে সুইট পপকন তৈরীর পদ্ধতি গুলো ধাপে ধাপে চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করেছেন যা দেখে আমার ভীষণ ভালো লেগেছে এবং শিখতে অনেক বেশি সহজ হয়েছে। আশা করি এখন থেকে আমি নিজেও বাড়িতে বানাতে পারব এই সুইট পপকর্ন অনেক অনেক ধন্যবাদ শুভকামনা ও অন্তহীন ভালোবাসা আপনার জন্য♥♥
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আমার এই রেসিপি আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুবই খুশি হলাম।
♥♥
আপনার কাছ থেকে নতুন একটি জিনিস শিখতে পারলাম। এতদিন ধারণা ছিল এটা শুধু বাইরেই বানানো সম্ভব। কেউ একজন আমাকে বলেছিল পপকন এ ব্যবহৃত হয় ভিন্ন জাতের ভুট্টা। সাধারণ ভুট্টা দিয়ে পপকর্ন হয় না কিন্তু আপনার কাছ থেকে আজ সঠিক তথ্যটা জানতে পারলাম। সুন্দর এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পপকর্ন তৈরীর জন্য বাজারে কিছু ছোট্ট ভুট্টা আছে ওই গুলো ব্যবহার করা হয়। বাজারে খুবই সহজে ওই ভুট্টা গুলো পাওয়া যায়।