প্রচলিত বাক্য - এক হাতে কখনো তালি বাজে না।
আজ - ১৮ই পৌষ ১৪২৮ , বঙ্গাব্দ |রবিবার | হেমন্ত-কাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
আমি মনে করি কোন একটি তর্ক-বিতর্ক বেশি দূর এগোবোনা যখন কেউ একজন চুপ হয়ে যায়। কেননা একজনের পক্ষে তর্ক করা সম্ভব না। এ প্রসঙ্গে আপনাদের সাথে প্রচলিত একটি প্রবাদ শেয়ার করা যাক।
- এক হাতে কখনো তালি বাজে না। তালি বাজাতে দুই হাতের প্রয়োজন।
ঠিক তেমনি যেকোনো তর্ক বিতর্ক সৃষ্টি হতে দুই পক্ষের প্রয়োজন। এক পক্ষের বা একজনের দ্বারা কখনো তর্ক করা সম্ভব নয়।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
আর বেশীরভাগ সময়ই দেখা যায় যে কোন তর্ক বিতর্ক বা ঝামেলা শুরু হয় ছোট একটি ঘটনা বা সাধারণ কথার মাধ্যমে। আর এই সাধারন ঘটনা বা কথা মাধ্যমে দুজনের তর্কবিতর্কের মাধ্যমে তৈরি হয় বিশাল ঝামেলা। আমি আমার জীবনে এমন অনেক ঝামেলা দেখেছি, যে ঝামেলা গুলো শুরু হয়েছিল ছোট্ট একটি কথার মাধ্যমে আজ শেষ হয়েছে আর বিশাল এক ঝগড়াঝাঁটি সালিশ বিচারের মাধ্যমে।
তো চলেন এমনই একটি মজার ঘটনা আপনাদের সাথে শেয়ার করি -
আরো কয়েক বছর আগে কথা ঠিক এমন একটি সময় যখন শীতের মাঝামাঝি তখন আমরা পরিবারের সকলে মিলে বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। দাদু বাড়িতে কিছুদিন থাকার পর নানু বাড়িতে বেড়াতে যাই, আর ওখানে গিয়ে দেখি বেশ তর্ক-বিতর্ক ঝগড়াঝাঁটি হচ্ছে। আর ঝগড়াঝাঁটি তর্ক-বিতর্ক এমনভাবে হচ্ছে মনে হয় যেন একজন আরেকজনের সাথে মারামারি করবে। যা হোক বড়রা এবং মুরুব্বিরা সালিশ বিচারের মাধ্যমে ঝগড়াটা কোনমতে থামায়। আর গ্রামের মানুষ তো জানেন ওরা যেমন সহজ সরল তেমনি ঝগড়াটে। পরবর্তীতে আমি এত বড় ঝগড়ার কারণ জানতে পেরে আমার খুবই অবাক লেগেছে। আসলে ঝগড়াটি বড়দের মধ্যে না ঝগড়াটি হয়েছিল ছোট বাচ্চাদের মধ্যে। বাচ্চা দুইটি একসাথে খেলা করে খেলনা গোছানোর সময় ভুলে একজনের একটি খেলনা আরেকজনের কাছে চলে যায়। কিন্তু অন্য বাচ্চাটি মনে করেছে সে তার খেলনা চুরি করেছে। তাই সে তার মা বাবাকে ডেকে আনে। অপরদিকে অন্য বাচ্চাটি ও তার মাকে ডেকে আনে। আর এভাবেই শুরু হয় ঝগড়া সূত্রপাত। অর্থাৎ ছোটদের থেকে ঘটনাটি চলে যায় বড়দের মধ্যে। আর এভাবেই চলতে থাকে ঝগড়া-ঝাঁটি তর্ক-বিতর্ক।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
অথচ আপনারা একবার ভেবে দেখুন ঝগড়ার সূত্রপাত ঘটেছে কিন্তু সামান্য একটি কারণে। কিন্তু এখন এটি আর সামান্য নেই বিশাল বড় এক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। কোন পক্ষ আসল দোষী সেটি বলা বড় দায়। কেননা দোষ দুই পক্ষেরই আছে। ওই যে প্রথমে বললাম এক হাতে কখনো তালি বাজে না। একজনের পক্ষে কখনই একা ঝগড়া করা সম্ভব না। আর দুইজনের একজন যদি ঘটনাটিকে মেনে নিত তাহলে ঘটনাটি এতদূরে হতো না । এত ঝগড়াঝাটি ও আর হতো না।
আমরা যদি কখনো কোনো ঝামেলায় কিংবা তর্ক বিতর্কে জড়াতে না চায় তবে চুপ থাকাই শ্রেয়। কেননা এক হাতে কখনো তালি বাজে না । অর্থাৎ একজন কখনোই একা একা তর্ক করতে পারবে না। তালি দিতে যেমন দুই হাতের প্রয়োজন তেমনি তর্ক করতে বিপক্ষ বা দুজনের প্রয়োজন।
তো, এখানেই শেষ করছি আমার আজকের আলোচনা। সকলে ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আর আপনাদের আজকের এই আলোচনাটি কেমন লেগেছে তা জানাবেন। অন্য কোনদিন অন্য কোনো আলোচনা নিয়ে হাজির হব আপনাদের সামনে।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
ভাই খুবই সুন্দর একটি বিষয় শেয়ার করছেন। এটা আমাদের আশেপাশে প্রতিনিয়তই ঘটে চলছে। আপনার উদাহরণ টা বেশি ভালো লাগছে। এমনই হয় যে কারনে ঝামেলা শুরু হয় সেই কারণটা এতো ছোট থাকে যে সেই ঝামেলার কারন পরিবর্তন হয়ে বড় কারনে রূপ নেয়।
এই সব ঝামেলা আমাদের ফ্রেন্ডদের মধ্যেও অনেক সময় দেখা যায়। বুদ্ধিমানের কাজ তো সেইটাই যারা ছোট ঝামেলা ছোট ভাবেই সমাধান করে ফেলে। এ জন্য অবশ্যই একজনকে একটু শান্ত থাকতে হবে।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ গুরুত্বপূর্ণ পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো। ❣️❣️
আসলে একদম সত্যি কথা বলেছেন ভাইয়া। গ্রামের মানুষ সহজ সরল হওয়ার সাথে সাথে ঝগড়াঝাটিও অনেক করে তাও আবার খুব সামান্য বিষয় নিয়ে। বাচ্চাদের নিয়ে ঝামেলা তো গ্রামের মানুষের নিত্য দিনকার ঘটনা। আপনি অনেক সুন এবং মজার একটি সত্যি কাহিনি শেয়ার করেছেন। অনেক ভালো লাগলো। আসলেই এক হাতে তালি বাজে না।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
অসাধারন বলেছেন ভাই। সত্যি ছোট ছোট জিনিশ থেকে তর্ক শুরু হয়ে একটা সময় বিশাল গেঞ্জাম এ পরিণত হয়। কিন্তু তর্ক লাগার পরে যদি আমরা দু পক্ষের যে কোনো এক পক্ষ চুপ হয়ে যাই তাহলেই তর্ক আর বেশি দূর এগোয় না। কিন্তু আমরা তো চুপ হই না। সব সময় নিজের টা বেশি রাখতে চাই। তখন দেখা যায় ঝামেলা আরো বড় থেকে বড় হতে থাকে।
সামান্য একটি খেলনা নিয়ে এত বড় ঝামেলা। চাইলেই খুব সহজে ঝামেলাটি মিটমিট করা যেত তবে তা না করে উল্টো আরো ঝামেলা বাড়ালো। আসলেই একহাতে কোনদিন তালি বাজে না। আর যেকোনো ঝামেলাও শুধুমাত্র একজনের বা এক পক্ষের কারণেই হয়না দুই পক্ষেরই দোষ থাকে। আর এসব ঝামেলা থেকে দূরে থাকার সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে চুপ থাকা। যদিও সবাই এই সময়টাতে চুপ থাকতে পারে না। খুব সুন্দর একটি টপিক আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাইয়া।
কথাগুলো একদমই সত্যি ভাইয়া,সবটা পড়ে খুব ভালো লাগলো। তবে এর থেকে একটা শিক্ষা নেয়া উচিত,যে বুঝতে চায় না তাকে বোঝানোর বৃথা চেষ্টা না করে চুপ থেকে জামেলাকে না বাড়ানোই শ্রেয়। অনেকটা শিক্ষামূলক একটি পোস্ট লিখেছেন সবার জন্য। খুব ভালো লাগলো পড়ে।
💓💓💓💓
এটা একদম ১০০% খাঁটি কথা।ঝগড়া দেখলেই তা বুঝা যায়।😂
তবে ঘটনাটা পড়ে মজা লাগলো।
একদম ঠিক বলেছেন ভাই, কখনো যদি নিজের সাথে কেউ ঝগড়া করতে আসে তখন চুপ থাকাটাই উত্তম কেননা একটি কথা থেকেই দশটি কথার উৎপত্তি হয় এবং এক হাতে কখনো তালি বাজে না ।আপনার ঘটনাটি পড়ে আমি আমার বাস্তব জীবনে অনেক বড় শিক্ষা পেলাম এবং এটি অবশ্যই আমার জীবনে প্রয়োগ করার চেষ্টা করব আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এবং নতুন বছরের শুভেচ্ছা।
ওয়াও ভাইয়া আপনি আসলে মানুষটা অসাধারণ। এবং কি আপনি অসাধারণ একটা পোস্ট লিখেছেন আমাদের কে। আপনি ঠিকই বলেছেন এক হাতে তালি বাজে না তালি বাজাতে হলে দুই হাতের প্রয়োজন হয়। আর আমাদের সমাজ কিংবা আমাদের মাঝে যে কোন ঝগড়া বিবাদ সৃষ্টি হয় ছোট্ট কথা নিয়ে। যেকোন ছোট্ট প্রসঙ্গ নিয়ে বিশালতা সৃষ্টি হয় সেখানে পক্ষপাতিত্ব শুরু হয়ে যায়। আর এ বিশালতা সৃষ্টি হওয়ার পিছনে কিছু উস্কানিদাতা থাকে তাদের কাজই হচ্ছে ঝগড়া টাকে বাড়ানো সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলে, যখন আগুন লাগে তারা আগুনে জল না ঢেলে,তুষ দিতে পছন্দ করে। আপনি অসম্ভব সুন্দর এবং শিক্ষনীয় একটা বিষয় আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। এবং এত সুন্দর করে লিখেছেন যা সত্যি প্রশংসার দাবিদার আপনি। আমাদের সাথে এত সুন্দর একটি শিক্ষনীয় পোষ্ট ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য, আপনার প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং ভালোবাসা অবিরাম ভাইয়া।