বৈশ্বিক উষ্ণায়ন।
আজ- ১৫ই, ভাদ্র , | ১৪২৯ , বঙ্গাব্দ | শরৎকাল ||
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
ভাদ্র মাসের মাঝামাঝি সময়ে চলছে এখন। তবে ভাদ্র মাসের তাল পাকার এই প্রচণ্ড গরমে জনজীবন একেবারে অতিষ্ঠ। যদিও কিছু দিন আগে পরিবেশটা একটু শীতল ছিল। কেননা বৃষ্টি হয়েছিল আমাদের এদিকে। বেশ ভালই লাগছিল ওই কয়েকটা দিন। তবে আবার শুরু হয়েছে গরমের সেই অতিষ্ঠতা এবং তিক্ততা।
দিন দিন যে পৃথিবীর বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে তা খুব ভালোভাবাই প্রতিফলিত হচ্ছে এই গরমের মাধ্যমে। পৃথিবীর তাপমাত্রা যেন ক্রমশ বেড়েই চলেছে। আর এভাবাই পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকলে কোন এক সময় হয়তো পৃথিবীতে বসবাসের অযোগ্য হতে শুরু করবে এবং প্রাণির অস্তিত্ব বিলুপ্ত হতে থাকবে।
বৈশ্বিক উষ্ণায়ন এর মূল কারণ হচ্ছে দূষণ। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন কমাতে হলে অবশ্য আমাদের দূষণ কমাতে হবে। তা না হলে এভাবেই বৃদ্ধি পেতে থাকবে পৃথিবীর তাপমাত্রা। অপরিকল্পিত নগরায়ন, কল কারখানার, যানবাহন, ইটভাটা এই সকল কিছু থেকে নির্গত ধোঁয়া বায়ু দূষণের অন্যতম কিছু কারণ।
পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্তর হচ্ছে ওজোন স্তর। যা পৃথিবীকে সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করে। তবে পৃথিবীর বায়ু
দূষণের ফলে এই ওজোন স্তরটি ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করেছে। পৃথিবীর দূষণ এভাবে বাড়তে থাকলে কোন একসময় হয়তো এই ওজোন স্তরটি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আর তখন কিন্তু সূর্যের ঐসকল ক্ষতিকর রশ্মি গুলো সরাসরি আমাদের পৃথিবীতে প্রবেশ করবে। যার ফলে পৃথিবীর উষ্ণতা আরও কয়েকগুণ হারে বৃদ্ধি পাবে। এবং উত্তর মেরুর বরফ গুলো খুবই দ্রুত গলে সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে এবং আমাদের দেশের মতো নিচু ভূমি সম্পুর্ন দেশ গুলো এক সময় সমুদ্রের নিচে তলিয়ে যাবে।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
পশ্চিমা দেশগুলোতে যদিও বায়ু দূষণের বিষয়গুলো নিয়ে বেশ সচেতন। তার পরিবেশ দূষণ হয় এমন কাজগুলো থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করে । তবে আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এই সকল বিষয়গুলো সম্পর্কে তেমন একটি সচেতন নই। তবে আদেরই উচিত সব থেকে বেশি এই দূষণ সম্পর্কে সচেতন হওয়া।
আমরা ছোটবেলা থেকে পড়ে এসেছি বৈশ্বিক উষ্ণায়ন কি, এর প্রভাব এবং ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে। কিন্তু কখনো কি আমরা এসব বিষয়গুলো নিয়ে একটু ভেবে দেখেছি। এটা আমার নয় আপনার নয় আমাদের সকলের পৃথিবী। আমরা যদি আমাদের এই বিশ্বটাকে এভাবে ক্ষতির মুখে ফেলে দিই তাহলে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য আমরা কি রেখে গেলাম। আমাদের এইসব দূষনের জন্য সুন্দর এই পৃথিবীটিকে বসবাসের অযোগ্য করে ফেলছি দিন দিন।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
কয়েকদিন আগে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন সম্পর্কে খুব সুন্দর একটি প্রতিবেদন দেখেছি। তাই ভাবলাম এই বৈশ্বিক উষ্ণায়ন সম্পর্কে আপনাদের সাথে একটু আলোচনা করি। যাতে বিষয়টি সম্পর্কে আমরা সকলে অবগত হয়। যাইহোক আমার আজকের এই আলোচনার বিষয়বস্তু আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে তা কিন্তু জানাবেন। আর আপনারা চাইলে মাঝে মাঝে এই রকম কিছু আর্টিকেল নিয়ে হাজির হব। সকলে ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হচ্ছে পরবর্তীতে অন্য কিছু নিয়ে। আল্লাহ হাফেজ।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
হুম ভাই ঠিক বলেছেন এবার আসলে আবহাওয়া একদম পুরো অন্যরকম ৷ভাদ্র মাসে তালের পিঠা আর রিমঝিম বৃষ্টি ৷কিন্তু এবার পুরোটাই ভিন্ন শুধু তাপমাত্রা ছাড়া আর কিছু নেই ৷চারদিকে মানুষের জীবন ধারা খুব একটা ভালো নেই বিশেষ করে কৃষক ৷যে অনাবৃষ্টি কৃষক সেচ দিয়ে আর কত দিন ৷যাই হোক ভাইয়া আপনার পরিবারের সকলে সুস্থ হোন এই কামনা ৷
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
এই বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য আমরাই দায়ী। যে হারে দূষণ করছি, তাছাড়া নির্বিচারে গাছ কাটা হচ্ছে এক সময় অক্সিজেনের অভাব হবে। এখনই আমাদের সজাগ দৃষ্টি রাখা জরুরি। অন্যান্য দেশগুলো ইতিমধ্যে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে পরিবেশ দূষণের ব্যাপারে। আমাদেরও পদক্ষেপ নিতে হবে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে।
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য আমরাই আসলে দায়ী ভাইয়া। আমরা প্রতিনিয়ত পরিবেশকে দূষণ করছি। আমরা বায়ু দূষণ থেকে শুরু করে শব্দ দূষণ সকল রকমের দূষণ করছি। এই বিষয়ে সরকারি এবং বেসরকারি ভাবে আমরা নিজেরাও সতর্ক নয়। যার কারণে পরিবেশ যেন দিন দিন বসবাসের অনুপযোগী হয়ে যাচ্ছে। আমরা গাছ কাটছে কিন্তু সে অনুযায়ী গাছ লাগাচ্ছি না। এতে আমাদের পরিবেশ দূষিত হচ্ছে এবং পরিবেশ হুমকির মুখে পড়ে যাচ্ছে। তাই আমাদের সকলেরই উচিত নিজেদের থেকে এবং পাড়া-মহল্লা এবং সরকার সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। তাহলে পরিবেশটা সুন্দর হবে।
পশ্চিমা দেশগুলোতে এখন ওরা এটা নিয়ে বেশ সচেতন। এটার বিপক্ষে ওরা বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে এরমধ্যে একটা হলো ফসিল ফুয়েল এর ব্যবহার হ্রাস। এভাবে চলতে থাকলে সত্যি ভাই পৃথিবী বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাবে। এখনি এটা নিয়ে ভাবার সময়। দারুণ পোস্ট ছিল ভাই। অনেক সুন্দর গুছিয়ে সাবলীলভাবে লিখেছেন।।
Hi @moh.arif,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
ভাইয়া খুবই সময়োপযোগী এবং বাস্তব প্রসঙ্গ নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট লিখেছেন আপনি। সত্যি ভাইয়া ভাদ্র মাসের গরমে আমরা সবাই অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছি। আর বর্তমান বিশ্বে উষ্ণায়ন এর অন্যতম প্রধান কারণ হলো দূষণ। প্রতিদিন অনিয়ন্ত্রিতভাবে আমাদের দেশ থেকে বোন উজাড় হয়ে যাচ্ছে। আর আমাদের দেশে তৈরি হচ্ছে অপরিচিতভাবে নগরায়ন ও বিভিন্ন ধরনের শিল্প কলকারখানা। আর বিভিন্ন শিল্পকল কারখানা থেকে নির্গত হচ্ছে কালো ধোঁয়া যেটা আমাদের পরিবেশকে সম্পূর্ণরূপে দূষিত করছে। আর এই দূষিত পরিবেশের মধ্যে মানুষসহ সকল প্রাণীর টিকে থাকা দিন দিন অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে।
আপনি ঠিক বলেছেন ভাইয়া বৈশ্বিক উষ্ণায়ন এর মূল কারণ হচ্ছে দূষণ। দূষণটা অনেক ভাবে হয়। আমরা বাংলাদেশের মানুষ তো দূষন কি সেটা বুঝতেই চাই না। তারা মনে করে আমার একা দূষনে কিছু হবে না। আসলেই এক সময় পৃথিবী বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাবে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
সত্যিই ,এই বছর মাত্রাতিরিক্ত গরম পড়ছে যার জন্য মানুষ অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে।যদিও আমাদের গ্রামের দিকে একটু প্রাকৃতিক হাওয়া আছে।বৈশ্বিক উষ্ণায়ন হওয়ার পেছনে মানুষরাই দায়ী।আমাদের অসচেতনতা এর প্রধান কারন,যাইহোক সুন্দর আলোচনা করেছেন ভাইয়া।ধন্যবাদ আপনাকে।
অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন আপনি। আমরা এতটা বায়ু দূষণ করছি যা মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। ফলে বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ছি আমরা। এরকম চলতে থাকলে অবশ্যই আগামীতে পৃথিবীতে বড় বিপর্যয় দেখা দিবে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।