আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস - নিয়ে আমার কিছু মতামত।

আজ পহেলা অক্টোবর আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস। বিশ্বে প্রবীনদের সম্মানে এই দিনটিকে আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস হিসেবে পালিত হয়। আসলে আমরা ভ্যালেন্টাইন্স ডে, ক্যান্ডি ডে, টেডি ডে এসব ছোটখাটো দিবসগুলোর সাথে কমবেশি পরিচয় থাকলেও এই দিবসের সম্পর্কে অনেকেই পরিচিত নই। আসলে আমি নিজেও এমন একটি দিবস সম্পর্কে কখনো অবগত ছিলাম না তবে যখন এ দিবসটি সম্পর্কে জানতে পারলাম তখন ভাবলাম কেনই বা আপনাদের সাথে এমন একটি দিবস নিয়ে আলোচনা করছি না। আমি মনে করি, জীবনের সবথেকে অসহায় অবস্থা হয় এই বৃদ্ধ বয়সে। বার্ধক্যের ভাঁড়ের সব শক্তি যেন শেষ হয়ে যায় তখন। অন্যের উপর নির্ভর করে জীবন চালাতে হয়। ওই বয়সে নিজের শক্তি-সামর্থ্য সবকিছু যেন তলানীতে পৌঁছে যায়। নিজে চলতে ফিরতে পারে না তখন অন্যের উপর নির্ভর করতে হয় সব সময়। অথচ তারা একসময় আমাদের মত এমন সবল ছিল। কিন্তু বয়সের সাথে সাথে তাদের সব শক্তি যেন কমতে শুরু করেছে।

সময়ের সাথে সাথে তাদের নাম গুলো ও যেন হারিয়ে যায়। তাদের এখন পরিচয় হয়ে উঠেছে অন্য সম্পর্কে যেমন কারো দাদা-দাদী করো নানা নানি। ওদের নাম ধরে ডাকার মানুষগুলো তো আর তাদের মাঝে নেই। তাদের মন মানসিকতা গুলো ও আমাদের মত এত উৎফুল্ল নয়, বার্ধক্যের কারণে তাদের মাথায় সবসময় চিন্তায় ঘুরেপাক খায় কখন যে তাদের পরকালের ডাক পড়বে। আমাদের সমাজে এমন কিছু মানুষ আছে যারা প্রবীনদের কে মনে করে তাদের পরিবার বোঝা। অবহেলা অনাদরে পড়ে থাকে কোন এক কোনে। তাদের যে কোনই মূল্যই নেই পরিবারে। অথচ তারা একবারের জন্য ও ভেবে দেখেনা যে তাদের জন্য কি না করেছিল আজকের এই বৃদ্ধটি। অন্যান্য দেশের কথা জানিনা তবে আমাদের মত নিম্ম -আয়ের দেশগুলোতে প্রবীনদের কে সমাজে খুবই অবহেলার চোখে দেখানো হয়। বৃদ্ধ বয়সে তাদের পরবর্তী ঠিকানা হয় বৃদ্ধাশ্রমে। অথচ এই বয়সে তাদের স্থান হওয়া উচিত ছিল পরিবার স্বজনদের সাথে তাদের কাছের মানুষগুলোর সাথে। একটি কথা আমাদের সবসময় মাথায় রাখতে হবে আমরাও এক সময় বৃদ্ধ হবো। তাই এখন যদি আমরা তাদেরকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে দিই তবে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম আমাদেরকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসবে।

সর্বশেষ একটা কথাই বলতে চাই প্রবীনদের সাথে কখনো অবহেলা নয় তাদের সাথে সবসময় বন্ধুসুলভ সম্পর্ক গড়ে তুলব। হাজার ব্যস্ততার মাঝেও তাদের সাথে কিছু সময় ব্যয় করার চেষ্টা করব যাতে তাদের একাকিত্বতা কিছুটা হলেও দূর করা যায়। আমি মনে করি তারা কিছুটা শিশুর ন্যায়। কারণ তারা অন্যের ওপর নির্ভরশীল। তারা অসহায়