অবশেষে বর্ষা ধরা দিল।

কেমন আছেন সকলে? আশা করছি ভাল আছেন। এই শীতল বৃষ্টিময় দিনগুলো কেমন কাটছে সকলের? আসলে এই বৃষ্টিটা যেমন আমাদের জন্য আশীর্বাদ ঠিক তেমনি অভিশাপ হয়ে দাঁড়ায় মাঝেমধ্যে। বিশেষ করে আমাদের চট্টগ্রামবাসীর জন্য। টানা কয়েকদিন বৃষ্টির ফলে বেশ কয়েকটি জায়গায় ইতিমধ্যে পানি উঠে গিয়েছে। কোথাও হাঁটু পরিমাণ, কোথাও কোমর পরিমাণ পানিতে দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে মানুষের। অনেক স্কুল-কলেজ দোকানপাট এখন পানিতে তলি আছে।

চট্টগ্রাম পর্বত অঞ্চল হলেও এটি সাগরের উপকূলীয় একটি স্থান বলে খুব দ্রুতই রাস্তাঘাট গুলোতে পানি জমে যায় । তাই সামান্য একটু বৃষ্টি হলেই দেখা যায় কোমর পরিমাণ পানি হয়ে যায় বিভিন্ন জায়গায়। আমরা বর্তমানে যে এলাকাটাতে আছি ও এলাকাকে এক সময় পানির সাম্রাজ্য বলা হতো। এমন কোন বর্ষা নেই যে, এই এলাকায় পানি উঠত না। এখানে বৃষ্টি তো দূরের কথা সামান্য একটু জোয়ার হলেই দেখা যেত রাস্তাঘাট গুলো পুরো ড্রেনের পানিতে কালো হয়ে ভরে যেত। আসলে আমাদের এই এলাকার খুব কাছে সাগর রয়েছে যার কারনে ড্রেনগুলোর মাধ্যমে জোয়ারের পানি খুব সহজে প্রবেশ করত। তবে এখন পুরো এলাকার রাস্তাগুলো অনেকটা উঁচু করা হয়ে গিয়েছে যার কারনে এখন আর এই সমস্যা সম্মুখীন হতে হয় না।

গত বছর এর বর্ষায় আমাদের বাসার নিচে কোমর পরিমান পানি ওঠার ওই দৃশ্যটা একটা পোস্টে শেয়ার করেছিলাম করেছিলাম। আপনাদের সুবিধার্থে ফটোটি আবার ও শেয়ার করছি। এটি হয়তো গত বছরের ঠিক এমনই এক বর্ষার চিত্র।

যাই হোক এবার তো বর্ষা সেভাবে ধরা দেয় নিই আমাদের কাছে। বর্ষায় সে চির চেনা ভয়ংকর রূপটা থেকে আমরা মুক্তি পেয়েছি। গতবার মনে আছে ঠিক এরকমই একটি সময় সিলেটের বন্যার পরিস্থিতির কথা। কি এক ভয়ংকর অবস্থায় না হয়েছিল তখন। তবে ওই সময়টা আসলে যেভাবে ভাবে বন্যার্তদের তাদের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল তা আসলে সত্যিই প্রশংসনীয়।

আপনাদের তো নিশ্চয়ই মনে আছে ওই সময় দাদার মাধ্যমে আমরাও পরোক্ষভাবে ওই মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াতে পেরেছি। যাই হোক এবারের বর্ষাটা আমাদের কোন খবর করতে না পারলেও গরমটা বেশ খবর করেই ছেড়েছে। আসলে এবারে মাত্রা অতিরিক্ত গরম পড়েছে। বিগত কয়েক বছরের রেকর্ড ভেঙেছে বলা চলে। আসলে যেভাবে পৃথিবীর বৈশ্বিক তাপমাত্রা বাড়ছে সেভাবে বলতে গেলে আগামী বছর আমাদের জন্য কি অপেক্ষা করছে তা আমরা কেউ জানিনা। আসলে যেভাবে প্রত্যেক বছর শীতের মাত্রা বাড়ছে, ঠিক একইভাবে গরমের মাত্র বাড়ছে আবার বর্ষা অতিরক্ত বৃষ্টি ও বাড়ছে। তাই সব মিলিয়ে পরিবেশটা একেবারে শোচনীয় হয়ে উঠেছে আমাদের জন্য। যাইহোক এই বৃষ্টি বাদলের দিনে সকলেই সচেতন থাকবেন এটাই প্রত্যাশা করছে । আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী দিন অন্য কোন বিষয় নিয়ে আল্লাহ হাফেজ।