"তুমি আছো তাই" নাটকের রিভিউ।
আজ - ১৬ই ভাদ্র | ১৪২৮ বঙ্গাব্দ | মঙ্গলবার | শরৎকাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
আমি যেহেতু বাংলা নাটকের বেশ বড় ভক্ত। তাই নাটকের সম্পর্কে আমি অনেক খোঁজ খবর রাখি। ইদানিং দেখছি তুমি আছো তাই নাটকটি
ইউটিউবে দর্শকদের কাছে বেশ সাড়া জেগেছে। প্রায় ৬ দিনে ১.৭ মিলিয়ন ভিউ অতিক্রম করে ফেলেছে।
যাই হোক আজ আমি আপনাদের সাথে এ নাটকে রিভিউ নিয়ে হাজির হয়েছি।
ছবিঃ ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে।
নাম | তুমি আছো তাই। |
---|---|
পরিচালক | সরাজ দেব। |
অভিনয় | ফারহান , ইভানা, জয় আরো অনেকে। |
দৈর্ঘ্য | ৩৮.১৩ মিনিট। |
ধরন | বাস্তবধর্মী। |
ভাষা | বাংলা। |
মুক্তির তারিখ | ২৫ ই আগস্ট ২০২১ইং। |
ভিউ | ১.৬ মিলিয়নের বেশি। |
নাটকের সারসংক্ষেপঃ
নাটকের প্রথম দৃশ্য দেখানো হয় একজন লোককে সে রাস্তার মধ্যে দাঁড়িয়ে তার জন্য অপেক্ষা করছে। কিছুক্ষণ পর তার স্ত্রীর আসলে সে তাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যায়।এখানে উল্লেখ্য যে লোকটির স্ত্রী অর্থাৎ এভানা সে অন্তঃসত্ত্বা ছিল। সে মুলত ডাক্তারের কাছে চেকআপের জন্য এসেছে। এভানার স্বামী কিছুক্ষণ পর খেয়াল করে যে তার মোবাইলে একদম চার্জ নেই। কিন্তু তার মোবাইলে একটি গুরুত্বপূর্ণ কল আসবে।
তাই সে এভানাকে রেখে মোবাইল চার্জের ব্যবস্থা করতে যায় । অনেক খোঁজাখুঁজির পর এভানার স্বামী দেখতে পায় একজন লোক বসে আছে আর তার পাশে পাওয়ার ব্যাংক আছে। আর এখানে উল্লেখ্য যে, লোকটি হচ্ছে ফারহান। এভানার স্বামী ফারহানকে বলে পাওয়ার ব্যাংক নেয় মোবাইল চার্জ দেওয়ার জন্য। এভানা স্বামী ফারহানকে দেখে মনে করেছিল সে অন্ধ চোখে দেখতে পাইনা। কেননা তার চোখে কালো চশমা ও হাতে লাঠি ছিল।
যাই হোক, এভানার স্বামী এভানা কে নিয়ে এসে ওই অন্ধ লোকটি অর্থাৎ ফারহানের সামনের একটি বেঞ্চে বসাই। এভানার স্বামী ফারহানের সাথে বিভিন্ন কথাবার্তা বলতে থাকে। এর কিছুক্ষণ পর এভানা ফারহানের খেয়াল করে। এতক্ষণ সে ফারহানের সাথে বসে ছিল তবে তা ফারহানকে খেয়াল করেনি। এভানা ফারহান কে দেখে রীতিমত অবাক হয়ে যাই। এরপর নাটকটির কিছু ফ্ল্যাশব্যাকে দৃশ্য দেখানো হয়। আমরা ফ্ল্যাশব্যাকে দৃশ্য গুলো দেখে জানতে পারি যে। এভানা ও ফারহানের আগে একটি সম্পর্ক ছিল।
কিন্তু এভানা ফারহানকে সবসময় কেয়ার করলেও ফারহান এভানাকে তেমন একটা সময় দিত না। ফারহান তার ভালবাসাটাকে কখনোই প্রকাশ করত না। কিছুদিন পর তাদের সম্পর্কের একটি মনোমালিন্য বা ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। কোন এক ঘটনার কারণে। তখন ফারহান এভানার সাথে খুবই রাগারাগি করে এবং সে বলে যে তাদের মধ্যে যাতে আর কখনো দেখা না হয় । এরপর বেশ অনেকদিন যাই ফারহান নিজের ভুলটা বুঝতে পারে। এবং সে এভানা কে খুব মিস করতে থাকে। ফারহান আশায় ছিল যে প্রতিবারের মতো এবারও এভানা তাকে কল দিয়ে রাগ ভাঙ্গাবে। কিন্তু সেটি আর হয় না ।
এভানা আর মোবাইলে বন্ধ এবং ফারহান এভানার বাসায় গিয়ে দেখে এভানা সেই বাসায় আর থাকছে না এবং বর্তমানে যারা থাকে তারা ফারহানকে জানায় যে এ এভানার বিয়ে হয়ে গেছে। এবং ইভানা ফারহান এর জন্য একটি চিঠি রেখে গিয়েছে। সেই চিঠিতে এভানা লিখেছে যে, ফারহান যেন কখনোই তার মুখোমুখি না হয়। কেননা ইভানা ফারহান কে অনেক ভালবাসে আর ইভানা সাথে অন্য কাউকে দেখলে ফারহানের অনেক কষ্ট হবে।
যাই হোক এবার নাটকের বর্তমান সময়ের কথা বলি, আমরা নাটকের প্রথম দিকে ধারণা করে নিয়েছিলাম যে ফারহান চোখে দেখতে পায় না।কিন্তু আসলে তা নয় ফারহান চোখে দেখতে পাই সেই আসলে এতোক্ষন অন্ধের নাটক করছিল। যাতে এভানা তাকে দেখে দূরে সরে না যায়।নাটকের শেষ ফারহান অনেক কষ্ট পাচ্ছে ইভানা প্রতি তার স্বামীর ভালোবাসা দেখে।
নাটকটির থেকে শিক্ষাঃ
অতিরিক্ত রাগ, সন্দেহ ও অবহেলা এই সবকিছু খুব সহজে একটি সম্পর্ককে নষ্ট করে পেলে। কোন ঘটনা সম্পর্কে পুরোপুরি সত্যতা যাচাই না করেই কোনো পদক্ষেপ নেওয়া উচিত নয়। এছাড়াও কোন সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখতে হলে অবশ্যই কেয়ারিং হতে হবে। অবহের বিষয়টি খুব ছোট করে উঠে এসেছে।
ব্যক্তিগত মতামতঃ
ফারহান ও এভানা এই জুটি সবসময় সেরা। আমার কাছে এ দুজনের নাটকগুলো অসম্ভব ভালো লাগে। নাটকের কাহিনী টা অনেক সুন্দর। নাটকের শেষের কিছু দৃশ্য অনেক ইমোশনাল ছিল। এছাড়াও নাটকের চরিত্র গুলো ফারহান ও এভানা খুব ভালোভাবে অভিনয় করেছে। সর্বশেষ বলতে গেলে আমার কাছে নাটকটি খুবই ভালো লেগেছে। আমি চাই নাটকটির দ্বিতীয় কিস্তি বানানো হোক।
ব্যক্তিগত রেটিংঃ
আমি এই নাটকটি কে ৮/১০ দিয়েছি।
নাটকের লিংকঃ
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
100 SP | 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP |
বাংলা নাটক আমি বেশ পছন্দ করি! আমি অনেকগুলো নাটক দেখেছি এবং এর মধ্যে এই নাটকটিও ছিলো। মুশফিক ফারহান আগের তুলনায় এখন কিছুটা ভালো কাজ করছেন। এবং মোটামুটি ভাবে আমার ভালো লেগেছে এই নাটকটি। আপনার রিভিউটা আমি পড়লাম, খুব সুন্দর করে সম্পূর্ণভাবে উপস্থাপন করেছেন আপনি।
ভাই নাটক টা আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আপনি অনেক সুন্দর করে দিবে করেছেন ভালো লাগলো।
আমি প্রচুর বাংলা নাটক দেখি। বাংলা নাটক আমার অনেক পছন্দের। তুমি আছো তাই নাটকটি এখনো দেখা হয়নি। আপনার লেখা গুলো পরে বেশ ভালো লাগবে। আজকেই নাটকটি দেখবো। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
নাটকটি দেখা হয়নি কিন্তু আপনার রিভিউটি পড়ে নাটকটি সম্পর্কে খুব ভালো ধারণা পেয়ে গেছি।
এই নাটক টি আমি দেখি নি।আপনার রিভিউ
পড়ে দেখতে মন চাইছে।ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাই নাটক টা আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আপনি অনেক সুন্দর করে রিভিউ করেছেন ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো 🥀
ভাই অনেক নাটক দেখে মনে হচ্ছে। তবে মজার বিষয় হচ্ছে এই নাটকের ভিউ আছে 16 লক্ষ তারমানে অনেক মানুষ দেখেছে। আর আপনার রিভিউ থেকে এটা স্পষ্ট যে এটা একটি ভালো গল্পের নাটক। সময় পেলে দেখার চেষ্টা করব।
নাট্যজগতে আমার সবচেয়ে প্রিয় অভিনেতা মুশফিক ফারহান।তার একটি নাটকও দেখা বাদ দেইনি।
যদিও এক নাটকটিও দেখেছি,কিন্তু আপনার পোস্ট পড়ার পর মনে হচ্ছে দ্বিতীয়বার দেখলাম নাটকটা😊
বাগুস সেকালি পোস্টিংন বোস সায়া সুকা বাঙ্গেট দেঙ্গান গয়া পোস্টিং বোস সায়া সুকা বাঙ্গেট সামা পোস্টিংইয়াং এবং এ পুণ্য
তেরিমাকাসিহ বুয়াত কাওয়ান সায়া সেমুয়া 👍💋
আপনি বাংলা ট্রান্সলেশন করে লিখুন, আমি কিছুই বুঝতে পারছি না।
জীবনকে সুন্দর করার মূলমন্ত্র হচ্ছে রাগ সন্দেহ এবং অবহেলাকে দূরে রাখা। কারণ এগুলো আমাদের সামাজিক বন্ধুত্ব এবং আত্মিক সম্পর্ক গুলোকে সবসময় বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার জন্য অব্যাহত থাকে।
সুন্দরভাবে উপস্থাপন আটি করেছেন এই নাটকের