দেশী মুরগী রান্নার রেসিপি।
আজ - ১১ই ভাদ্র | ১৪২৮ বঙ্গাব্দ | বৃহস্পতিবার | শরৎকাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
আজ আমি আপনাদের সাথে দেশী মুরগী রান্নার রেসিপি শেয়ার করব।
আমরা মাছে ভাতে বাঙালি হলেও মাংস আমাদের প্রিয় খাবার গুলোর মধ্যে অন্যতম। যেকোনো অনুষ্ঠান কিংবা
আয়োজনে আমাদের সবসময় মাংস থাকে। ব্রয়লার বা ফার্মের মুরগি খেতে খেতে যখন বিরক্ত চলে আসে তখন মুরগি খেতে যেন অমৃত লাগে। দেশি মুরগির ঝোল থেকে ও যেন এক ধরনের ঘ্রান বের হয়।
আমাদের শহরে মোটামুটি দুই রকমের দেশি মুরগি পাওয়া যায়। একটি হচ্ছে সোনালী মুরগী আর অন্যটি হচ্ছে একদম অরজিনিয়াল দেশি মুরগি। সোনালী মুরগী যেটি সেটি হচ্ছে দেশি মুরগির জাত তবে এটিকে ফার্মের মুরগীর মত করে বড় করা হয়। আর অন্যটি যেটি সেটি হচ্ছে গ্রামীণ পরিবেশে গৃহস্থের ঘরে যে মুরগিগুলোকে পালন করা হয় সেটি। আর এসব মুরগিগুলো দামও বেশ চড়া এবং খেতেও বেশ সুস্বাদু। এই দেশি মুরগী গুলো আমাদের এদিকে কেজি হিসেবে নয় বরং পিস হিসেবে বিক্রি করা হয়।
দোকানিরা মুরগির আকৃতি অনুযায়ী একটা দাম নির্বাচন করে থাকে । আমি কিনার সময় যদিও চেয়েছিলাম যে কেজি হিসেবে কেনার তবে দোকানি কেজি হিসেবে বিক্রি করতে নারাজ। কেননা সেও নাকি পিস হিসেবে মুরগিগুলো কিনে এনেছে। তাই পিস হিসেবে বিক্রি করবেন । যাই হোক আমি এই মুরগিটি পিস হিসাবে নিয়েছিলাম। আর মুরগিটি আমার কাছে দাম নিয়েছে ৬৩০ টাকা। তবে আমি মনের শান্তির জন্য পরে অবশ্য ওজন মেপে নিয়েছিলাম।মুরগিটি ওজন প্রায় ৮৫০ গ্রাম এর মত হয়েছে। আম্মুকে বলেছিলাম একটু ঝোল ঝোল করে রান্না করার জন্য। দেশী মুরগী কিন্তু ঝোল ঝোল করে রান্না করলে খেতে অনেক মজা লাগে।
আজ আমি আপনাদের সাথে দেশী মুরগী রান্নার রেসিপি শেয়ার করছি।
ছবিঃ মুরগির মাংস ।
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
- মাংস।
- আলু।
- পেঁয়াজ।
- আদা বাটা।
- রসুন বাটা।
- জিরা বাটা।
- এলাচি।
- দারুচিনি।
- তেজপাতা।
- লবণ।
- তেল।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
প্রথম ধাপঃ
- প্রথমে মাংসগুলোকে কেটে ভালোভাবে ধুয়ে নেব।
দ্বিতীয় ধাপঃ
- এরপর চুলাতে একটি পাত্র বসাবো। পাত্র মধ্যে প্রয়োজনমতো তেল দিবো দিব।এরপর তেল গরম হয়ে গেলে এর মধ্যে প্রথমে পেঁয়াজ দিয়ে দিব এরপর সকল মসলা অর্থাৎ আদা বাটা, রসুন বাটা, জিরা বাটা মরিচের গুঁড়া, দারচিনি, তেজপাতা এ সকল উপকরণ তেলের মধ্যে দিয়ে দিব।
- এরপর কিছুক্ষণ মসলাগুলোকে তেলের মধ্যে কষাবো।
তৃতীয় ধাপঃ
- যখন দেখবো মসলাগুল কিছুটা কষে এসেছে তখন এর মধ্যে মাংস গুলো দিয়ে দিব।
- এবং মাংসগুলোকে বেশ অনেকক্ষণ ধরে কষাতে হবে। মাঝেমধ্যে মাংসগুলোকে নেড়েছেড়ে দিতে হবে যাতে পাত্রের তলাতে লেগে না যায়।
চতুর্থ ধাপঃ
- মাংসগুলো কষানো হয়ে গেলে এর মধ্যে পরিমাণমতো পানি ও আলু দিয়ে দিবি। এবং ভালোভাবে ডাকনা দিয়ে ঢেকে দিব যাতে মাংসগুলো ও আলুগুলো সিদ্ধ হয়ে যাই। পরবর্তীতে মাংসগুলো ও আলুগুলো সিদ্ধ ও ঝোল ঘন হয়ে গেলে নামিয়ে নিব।
শেষ ধাপঃ
- রান্না হয়ে গেলে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে নিব।
সকলকে ধন্যবাদ।
100 SP | 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP |
বিস্তারিত পড়ে খুব ভালো লাগলো।
মনে হচ্ছে রান্না খুব টেস্ট হয়েছে।
জিহ্বায় জল আসার মত।
রেসিপি টা সুন্দর হয়েছে। তবে দামটা অনেক বেশি নিয়েছে। এই দামে ২ কেজি দেশী মুরগী পাওয়া যেত খুব সহজে আমাদের এলাকায়। ভাই ঠকছেন🙂🙂🙂
আলু দিয়ে পাতলা করে ঝোল রেখে দেশি মুরগি,, আহা ভাবতেই জিভ লকলক করতেছে😋
রেসিপি অনেক গোছালো হয়েছে এবং ছবি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। এত সুন্দরভাবে রেসিপি বর্ণনা করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক দিন দেশি মুরগি খাই না ।আপনার রান্নাটা দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। রান্নাটা খুব ভালো হয়েছে প্রতিটি ধাপ সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। দেশি বলে কথা দামতো একটু বেশি হবেই তাইনা ভাইয়া।
আমি মুরগি খাই না কিন্তু আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খুব টেস্টি ছিল। আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনি আমার পোস্ট পড়েছেন এতেই আমি ধন্য। মুরগির মাংস আমার খুবই প্রিয়। সাপ্তাহে অন্তত ২-৩ দিন খাই, ভালই লাগে, এখনো ত ফ্যামিলির সাথে থাকি , তাই যতটা পারি রান্নাটা একটু শিখে নিতেছি, পরবর্তীতে কাজে আসবে, সবসময় ত আর ফ্যামিলির সাথে থাকতে পারব না, চাকরি /ব্যাবসা র কাজে বাহিরে যেতে হবে।
ভাইয়া আপনার রান্নাটা বরাবরের মতোই খুবই সুস্বাদু হয়েছে।আপনি খুবই ভালো রান্না করতে পারেন।ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সঙ্গে আপনার রান্না শেয়ার করার জন্য।
আমার পছন্দের খাবার গুলোর মধ্যে মুরগির মাংস এবং রুটি খেতে খুব ভালো লাগে আমার। পৃথিবীর মধ্যে সবথেকে প্রিয় খাবার এটি
অসংখ্য ধন্যবাদ রেসিপি শেয়ার করার জন্য