রুচির দুর্ভিক্ষ।
আজ- ১২ই পৌষ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, শীতকাল
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি আমাদেরর দেশে সোশ্যাল মিডিয়াতে দুই ধরনের জিনিস খুব ব্যাপকভাবে ভাইরাল করে এক হচ্ছে - বিনোদন কেন্দ্রিক কোন বিষয়, আর অন্যটি হচ্ছে - বিতর্কিত কোন বিষয়। কিন্তু প্রকৃত অর্থে ভাইরাল হওয়ার উচিত যেকোনো ক্রিয়েটিভ কিছু। এসব এটি বিষয়গুলো আমাদের জীবনে কাজে আসে । বর্তমানে দেখবেন ক্রিয়েটিভিটির জিনিসটার প্রচারণা খুবই কম। ইউটিউব কিন্তু ফেসবুকে ঢুকলেই দেখা যায় মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউজ হচ্ছে ওই ঠুমকো বিনোদন এর ভিডিও গুলোতে। অথচ অনেক কার্যকরী ভিডিও যেখান থেকে আমরা কিছু শিখতে পারি কিন্তু ওই সকল ভিডিও গুলোতে না খুব একটা ভিউজ হয় না। তো স্বাভাবিকভাবে মানুষের রুচি আজ কোন দুর্ভিক্ষে পৌঁছেছে সেটা বুঝতেই পারছেন ।
অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রে কিন্তু কোন জিনিস ভাইরাল করতে অনেক টাকা ছিটাতে হয়। কিন্তু আমাদের দেশে ফ্রিতে ফ্রিতেই সেটা হয়ে যায়। আমাদের দেশে বিতর্কিত কোন বিষয়ে খুব দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়। মানুষ না চাইতে জনপ্রিয়তা লাভ করে। কোন ব্যক্তিকে ভাইরাল কিন্তু আমরা নিজেরাই করি। আমরা নিজেরাই কিন্তু শেয়ার করে লাইক কমেন্টের মাধ্যমে প্রচারণা করে ভাইরাল করে দিই। আমাদের রুচির এতটাই দুর্ভিক্ষ যে আমরা বুঝতে পারি না যে কোনটা আমাদের জন্য সুস্থ বিনোদন আর কোনটা নয়। সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা আজব আজব বিষয়গুলো নিয়েই খুব বেশি আলোচনা সমালোচনা করে নিজেদের মূল্যবান সময় গুলো নষ্ট করে নিচ্ছি।
যেসব ভিডিওগুলো , যে সব বিষয়গুলো আমাদের জন্য খুব বেশি কার্যকর বা আমাদের জীবনের সংগ্রামে কাজ আসতে পারে সেই সব কিছুতেই কিন্তু আমরা ফিরেও তাকাচ্ছি না। আমাদের রুচিটা দিনদিন কোথায় নেমে এসেছে তা হয়তো আমরা নিজেরাও বুঝতে পারছি না। দুইদিন পর পর অযোগ্য অসুস্থ সব বিনোদন আমরা নিজেরাই ভাইরাল করে দিচ্ছি।
অযোগ্য ব্যক্তিরা ভাইরাল হয়ে ব্যাপক টাকা ইনকাম করছে কিন্তু তারা সমাজের কোনই কাজে আসছে না তাদের মাধ্যমে আমরা কোন ভালো কিছু পাচ্ছিনা । একজন যোগ্য ব্যক্তি যদি সঠিক আসনে বসে তাহলে তার যোগ্যতার মাধ্যমে তার থেকে আমরা ভালো কিছু পেতে পারি। কিন্তু আমরা এতটাই অজ্ঞ ব্যক্তি যে, কে যোগ্য আর কে অযোগ্য সে জিনিসটাই বুঝিনা। আমাদের রুচি এতটাই দুর্ভিক্ষ হয়েছে যে সুস্থ বিনোদন টাকে চিনতে পারছিনা।
সর্বশেষ একটাই কথা বলতে চাই সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনার মূল্যবান শেয়ার লাইক এমন জায়গায় ব্যবহার করবেন যাতে আপনার ব্যক্তিত্ব আপনার রুচিবোধের পরিচয় ফুটে ওঠে। কারণ মনে রাখবেন আপনার একটা লাইক একটা শেয়ার একজন মানুষকে অনেক দূর পর্যন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। আমরা আমাদের সোশ্যাল মিডিয়াটাকে সুস্থ বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তুলতে চাইলে আমাদের উচিত সঠিক রুচিবোধের পরিচয় দেওয়া । বর্তমানের এই সকল সস্তা বিনোদন গুলো থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।
আজ এই পর্যন্ত, এখানে বিদায় নিচ্ছি। সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী দিন আবার ও অন্য কোন বিষয় অন্য কোন আলোচনা নিয়ে। আল্লাহ হাফেজ।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
রুচির দুর্ভিক্ষ যে হয়েছে তা কিন্তু সোস্যাল মিডিয়াতেই দেখা যায়। মানুষ অপ্রয়োজনীয় বিষয় গুলো নিয়ে এতো মেতে থাকে যা সত্যিই ভাবায় আমাকে। আমাদের সকলের অনলাইনে শেয়ার, লাইক সঠিক প্রয়োগ করে নিঞ্জেদের রুচির পরিচয় দেয়া উচিত।তা না করে ফালতু জিনিস নিয়ে পরে থাকে বেশিরভাগ মানুষ।সত্যি ই আমাদের রুচির দুর্ভিক্ষ হয়েছে বলাই যায়।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
আজকাল তো সোশ্যাল মিডিয়া গুলো খুলে বসাই যায় না। রুচির দুর্ভিক্ষের কিন্তু এটা সবচেয়ে বড় প্রমান। তাই ফেইসবুকে আর তেমন ঢুকা হয় না। আমাদের কিন্তু বুঝে শুনে প্রতিটি পোস্ট লাইক শেয়ার করা উচিত। কারন যে হারে নিজেদের কে ভাইরাল করার প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে তাতে করে আমাদের রুচিবোধ ধরে রাখাও বেশ কষ্ট হয়ে যাচেছ।
আসলেই ভাই আমাদের রুচির দুর্ভিক্ষ হয়েছে। নয়তো ইউটিউবে ঢুকলেই দেখা যায় ফালতু ভিডিও এর এতো এতো লাইক এবং ভিউজ। তাছাড়া একেকটা চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবার ২/৩ মিলিয়নের ও বেশি। তাদের ভিডিও গুলো একটাও শিক্ষামূলক নয় বা তাদের ভিডিওতে ক্রিয়েটিভ কিছু নেই। হিরো আলমের প্রতিটি ভিডিওতে প্রচুর পরিমাণে ভিউজ হয়। ভাবতেও অবাক লাগে এসব ভিডিও কারা দেখে। অবশ্যই আমাদের সবার উচিত সোশ্যাল মিডিয়াতে ভালো কনটেন্ট দেখে লাইক এবং শেয়ার করা। যাইহোক সময়োপযোগী একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হিরোআলমের একটা গানে এতো ভিউজ হয়ে যায় সেখানে বাংলাদেশের মানুষের যে রুচির দূর্ভিক্ষ রয়েছে সেটা বুঝা যায়। আসলে বাঙালি বিতর্কিত জিনিসই ভাইরাল করতে মজা পায়! অথচ সেটা অপ্রয়োজনীয় একটা টপিক ছিল। সোস্যাল মিডিয়ার সঠিক ব্যাবহারটা এখনও অনেকেই জানে না! একটা লাইক বা শেয়ার সেসব বিষয়গুলোকে দেয়া উচিত যেগুলো আমাদের জন্য ভাল পাশাপাশি পারিপার্শ্বিক সবার জন্য ভালো।