পাতাকপি ভাজি রেসিপি।
আজ -২০ই আশ্বিন | ১৪২৮ বঙ্গাব্দ | মঙ্গলবার | শরৎকাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
আজ আমি আপনাদের সাথে "পাতাকপি ভাজি রেসিপি" শেয়ার করব।
শীতকালীন সবজিগুলোর মধ্যে, আমার মূল আকর্ষণ হচ্ছে পাতাকপিতে। আমাদের আঞ্চলিক ভাষায় এটাকে আমরা বাঁধাকপি ও বলি। এই সবজিটিকে আমাদের বাসায় চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না হয় তবে মাঝে মাঝে ভাজি ও করা হয়। আমার কাছে পাতাকপি ভাজি টা অনেক ভালো লাগে, বিশেষ করে রুটি দিয়ে খেতে। আমি অনেককেই দেখেছি এই পাতাকপিটিকে কাঁচা কাঁচা খেতে, বিশেষ করে বিদেশী যারা তারা তো এটিকে সালাত হিসেবে খেয়ে ফেলে। আমিও একবার ট্রাই করেছিলাম কাঁচা খাওয়ার।তবে সেটা আমার দ্বারা সম্ভব হয়নি। টেস্টটা কেমন জানি মিষ্টি মিষ্টি স্বাদের, তবে কাঁচা একটা গন্ধ আসে।আসলে আমাদের বাঙালিদের স্বাদ অন্যরকম। আমাদের স্পাইসি কিংবা মসলাদার কোন জিনিস ছাড়া এসব কাঁচা জিনিস আমাদের কখনোই ভালো লাগবে না। তবে এসব কাঁচা জিনিস স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। যাইহোক, অন্য সব কথা বাদ দিয়ে এবার কি মূল রেসিপিতে ফিরে আসি।
ছবিঃ পাতাকপি ভাজি।
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
- পেঁয়াজ কুচি।
- মরিচের কুচি ।
- লবণ।
- তেল।
- পাতাকপি।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
প্রথম ধাপঃ
- প্রথমে কপিটিকে কুচি করে ভালোভাবে ধুয়ে নেব।
দ্বিতীয় ধাপঃ
- এরপর একটি পাত্রে তেল গরম করে দেবো।
তৃতীয় ধাপঃ
- একবার তেল গরম হয়ে গেলে তাতে কাঁচামরিচ কুচি, পেঁয়াজ কুচি ও স্বাদমতো লবণ দিয়ে দিব।
চতুর্থ ধাপঃ
- পেঁয়াজ গুলোকে কিছুক্ষণের তেলের মধ্যে নেড়েচেড়ে নরম করে নেব।
পঞ্চম ধাপঃ
- পেঁয়াজ নরম হয়ে গেলে কুচি করে রাখা পাতাকপি গুলো দিয়ে দিব।
ষষ্ঠ ধাপঃ
- এর পর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিব।
সপ্তম ধাপঃ
- ঢাকনা উঠিয়ে নেড়েচেড়ে দিব।
অষ্টম ধাপঃ
- ২/৩ মিনিট পর আবারো নেড়েচেড়ে দিব যাতে নিচে না লেগে যায়।
নবম ধাপঃ
- এরপর শেষবারের মত লবন চেক করব এবং আবারো ঢেকে দিব।
দশম ধাপঃ
- যখন দেখব ভাজিগুল নরম হয়ে আসবে তখন এর মধ্যে ধনেপাতা ছিটিয়ে নামিয়ে নিব।
সকলকে ধন্যবাদ।
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমরাও এটাকে বাঁধাকপি বলি।আপনার ভাজিটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক মজা হয়েছে আমারতো রুটি দিয়ে খেতে মন চাইছে।এই ভাজিটা আমারও অনেক পছন্দের। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আমার পছন্দের একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
বাঁধাকপি রান্না নিয়ে আপনার পোস্ট অনেক সুন্দর হয়েছে ভাই। শুধু তাই নয়,আপনার বাঁধাকপি একটি প্রিয় খাদ্য এবং রান্নার প্রতি আপনার আগ্রহ সত্যি ভালোবাসার পরিচয় বহন করে। ভালোবাসা আছে বিধায় আপনার মনের ভাব প্রকাশ করেছেন এতো সুন্দর করে। আর তাছাড়াও আপনার রান্নার প্রতিটি ছবি অনেক সুন্দর হয়েছে ভাই। শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা নিরন্তর।
আপনার এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বাঁধাকপি খেতে যেমন বানাতেও তেমন। বাঁধাকপি কাটলে একগাদা মনে হয়, আবার রান্না করার পর অল্প হয়ে যায়। খেতে তো দারুন লাগেই সাথে ব্যাচেলর জীবনের সঙ্গী। রান্নাটা বেশ ভালো হয়েছে 🤗
ভাইয়া আপনার পরিবেশনা দেখে প্রথমে একটু থতমত খাইলাম কারণ লেখা পাতাকপি ভাজি কিন্তু ছবিতে দেখি ফুল।পরে খেয়াল করে দেখি এটা প্লেট।
আপনার রান্না খেতে হবে দেখছি 😁
পাতাকপি ভাজি আমার অনেক ভালো লাগে। এই সবজি দেখে মনে হচ্ছে শীত চলে এসেছে। ভাজির উপস্থাপনাটা অসাধারণ হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
বাঁধাকপি ভাজি আমার অনেক পছন্দের ভাই। শীতকালীন সবজির মধ্যে বাঁধাকপি ও ফুলকপি আমার অনেক প্রিয়। তবে এ বছরে এখনো বাঁধাকপির ভাজি খাইনি। তবে আপনার রেসিপিটি দেখে আর লোভ সামলাতে পারলাম না ভাই । কালকেই বাজার থেকে নিয়ে আসতে হবে।
ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার প্রতি শুভকামনা রইল।
আপনার রেসিপি ও উপস্থাপনা দুটোই সুন্দর। পাতাকপি শীতের সময় আমাদের দেশে বেশি পাওয়া যায়। পাতাকপি ভাজি খুবই ভালো লাগে আমার কাছে। এতো সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ভাইয়া আপনার পাতাকপি ভাজি টি খুবই সুন্দর হয়েছে ।দেখেই বোঝা যাচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন ।ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সঙ্গে এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
পাতাকপি রেসিপি টা বেশ দারুন উপস্থাপন করেছেন । তবে প্রথমে থাম্বেল এর ছবিটা দেখে আমি মনে করেছিলাম এটি কোন ফুল। তবে লাস্ট পর্যায়ে দেখলাম এটি একটা পাতাকপি ভাজি। আর পাতাকপি আমার খুব প্রিয় একটি খাবার।
পাতাকপি রান্না এবং ভাজি দুটোই আমার প্রিয়।যদিও এই পাতাকপি সব সময় পাওয়া যায় না।এটি হলো শীতকালীন সবজি।অনেক দিন খাওয়া হয় নি পাতাকপি রান্না কিংবা ভাজি।আপনার পোস্টটি দেখে মনে পড়ে গেলো পাতাকপির কথা।