আবেগ নয় বিবেক দিয়ে বিচার করুন।
আজ ২০ই,আশ্বিন |১৪২৯ , বঙ্গাব্দ | শরৎকাল ||
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
আজ আমি আপনাদের সাথে গতকালকে ঘটে যাওয়া কিছু বিষয় শেয়ার করব।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
গতকালকে বেশ অনাকাঙ্ক্ষিত একটি ঘটনা ই ঘটে গেল আমাদের সাথে। দেশের 60% এলাকায় ছয় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎ ছিল না। আসলে কালকে আমার করোনার দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়ার সিডিউল ছিল। যে কেন্দ্রে আমার টিকা সিরিয়াল ছিল ওটা একটি কলেজ ছিল। যেহেতু এটি একটি স্থায়ী টিকা কেন্দ্র নয়। তাই কলেজ ছুটি হওয়ার পর দুপুর দুইটা থেকেই ওখানে টিকা দেওয়া শুরু হয়।যদিও এখন পুজোর ছুটিতে কলেজ বন্ধ তবুও তারা আগের সিডিউল টি ধরে রেখেছে দুপুর দুইটা থেকে টিকা দেওয়া শুরু করে ওনারা। যেহেতু দুইটার সময় টিকা দিতে হবে তাই দুপুর একটার দিকে বাসা থেকে রওনা দিলাম। আপনারা নিশ্চয় জানেন যে 3 তারিখের পর থেকে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া বন্ধ আছে। সে জন্য মানুষজনের সংখ্যা অনেক কম ছিল। সব মিলিয়ে 50-60 জন মানুষ ছিল মাত্র। যেহেতু লাইনে মানুষ কম ছিল তাই আমি খুব দ্রুতই টিকা নিয়ে নিতে পারলাম। মনে হয় 20 মিনিটের মত লাইনে দাঁড়াতে হয়েছে।
টিকা কেন্দ্রটি একটি কলেজে ছিল, আর ওই কলেজটিতে তেমন একটা বিদ্যুত যায় না বললেই চলে,এই ব্যাপারটি আমি জানি কারণ আমি এর আগেও কয়েকবার ওই কলেজে গিয়েছিলাম কিন্তু কালকে ওখানে যাওয়ার পর দেখলাম ঘন্টাখানেক আমি যতক্ষণ ছিলাম ততক্ষণ বিদ্যুৎ ছিল না। দুপুরের টাইমে অনেক গরম পরছিলো যেহুতু সবাই লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল তাই সবাই ঘামে একাকার হয়ে গিয়েছিল সবাই কর্তৃপক্ষকে বারবার বলছিল ফ্যান ছাড়ার জন্য কিন্তু কর্তৃপক্ষ বলছিল বিদ্যুৎ নেই। আর লাইনে যারা দাঁড়িয়ে ছিল তাদের সবার সাথে কথা বলে বুঝতে পারলাম সারাদেশে বিদ্যুতের লাইন কিছু একটা সমস্যা হয়েছে যার কারণে অনেকক্ষণ ধরে বিদ্যুৎ থাকবে না।
যেহেতু দুপুরের টাইম প্রচন্ড রোদ ছিল তাই টিকা দেওয়া শেষে দ্রুতই বাসায় ফেরত আসলাম। বাসায় ফিরতে ফিরতে বিকেল সাড়ে তিনটা বেজে গেল। বাসায় এসে দেখলাম বাসাই ও একই অবস্থা কারেন্ট নেই। আবার কারেন্ট না থাকার কারণে ওয়াইফাই ও চলে গিয়েছিল। যেহেতু আমাকে সারাক্ষণ অনলাইনে সাথে সংযুক্ত থাকতে হয় সেহেতু সাথে সাথেই মোবাইল এ ডাটা প্যাক নিলাম। এরপর ফেসবুকে ঢুকে দেখলাম আসলেই ঘটনাটি সত্যি। জাতীয় গ্রিড লাইন এ কোন ত্রুটির কারণে সারাদেশে অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। এবং এটি ঠিক হয়ে ফেরত আসতে কতক্ষন লাগবে তা উনারা নিশ্চিতভাবে বলতে পারছেন না।
এটা দেখার সাথে সাথেই বেশ দুশ্চিন্তায় পড়ে গেলাম কারণ মোবাইলের চার্জ খুবই কম ছিল আবার ঐদিকে কমিউনিটির অনেক কাজই বাকি ছিল। আমি ভেবেছিলাম হয়তো 24 ঘন্টা সময় লাগবে গ্রিডলাইনের এর ত্রুটি সারিয়ে কারেন্ট আসতে। কারণ গ্রীড লাইনের ত্রুটি গুলো বেশ জটিল হয় এবং ঠিক করতে বেশ খানিকটা সময় ও লাগে। যেহেতু দেখেছিলাম মোবাইলের চার্জ অনেক কম তাই মোবাইলকে পাওয়ার সেভিং মোড এ রাখলাম এবং কমিউনিটির কয়েকটি কাজ দ্রুত সেরে নেওয়ার চেষ্টা করলাম। অবশেষে রাত আটটার দিকে কারেন্টের দেখা পেলাম। ভাগ্য বেশ ভালই বলতে হয়। গ্রিডের এই বিদ্যুৎ বিপর্যয় নিয়ে ফেসবুকে দেখলাম অনেক লেখালেখি হয়েছে। অনেকে দেখলাম অনেক গুজব রটিয়েছে। আসলে এটা ঠিক না। আসলে বিদ্যুৎ তো কোন প্রকৃতি প্রদত্ত জিনিস না যে এটা কখনো নষ্ট হবে না কিংবা এটার সমস্যা দেখা দেবে না। যেহেতু এটি একটি মানব সৃষ্ট জিনিস। এবং এটি একটি সিস্টেমিক ওয়েতে চলে, তাই এটা তো সমস্যা দেখা দিতেই পারে, এটা নিয়ে এতো হৈ চৈ হওয়ার তো কোন কারণ দেখছি না আমার মতে। শত শত বছর আগে যখন বিদ্যুৎ আবিষ্কার হয়নি তখন কি মানুষ তাদের সাধারণ জীবন যাপন করে নি। আর এই 6 ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকাতে মানুষ যেভাবে লেখালেখি করছে তাতে মনে হচ্ছে দেশটা বোধহয় ধ্বংস হয়ে গেল।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
টিকা কেন্দ্রটি একটি কলেজে ছিল, আর ওই কলেজটিতে তেমন একটা বিদ্যুত যায় না বললেই চলে,এই ব্যাপারটি আমি জানি কারণ আমি এর আগেও কয়েকবার ওই কলেজে গিয়েছিলাম কিন্তু কালকে ওখানে যাওয়ার পর দেখলাম ঘন্টাখানেক আমি যতক্ষণ ছিলাম ততক্ষণ বিদ্যুৎ ছিল না। দুপুরের টাইমে অনেক গরম পরছিলো যেহুতু সবাই লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল তাই সবাই ঘামে একাকার হয়ে গিয়েছিল সবাই কর্তৃপক্ষকে বারবার বলছিল ফ্যান ছাড়ার জন্য কিন্তু কর্তৃপক্ষ বলছিল বিদ্যুৎ নেই। আর লাইনে যারা দাঁড়িয়ে ছিল তাদের সবার সাথে কথা বলে বুঝতে পারলাম সারাদেশে বিদ্যুতের লাইন কিছু একটা সমস্যা হয়েছে যার কারণে অনেকক্ষণ ধরে বিদ্যুৎ থাকবে না।
যেহেতু দুপুরের টাইম প্রচন্ড রোদ ছিল তাই টিকা দেওয়া শেষে দ্রুতই বাসায় ফেরত আসলাম। বাসায় ফিরতে ফিরতে বিকেল সাড়ে তিনটা বেজে গেল। বাসায় এসে দেখলাম বাসাই ও একই অবস্থা কারেন্ট নেই। আবার কারেন্ট না থাকার কারণে ওয়াইফাই ও চলে গিয়েছিল। যেহেতু আমাকে সারাক্ষণ অনলাইনে সাথে সংযুক্ত থাকতে হয় সেহেতু সাথে সাথেই মোবাইল এ ডাটা প্যাক নিলাম। এরপর ফেসবুকে ঢুকে দেখলাম আসলেই ঘটনাটি সত্যি। জাতীয় গ্রিড লাইন এ কোন ত্রুটির কারণে সারাদেশে অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। এবং এটি ঠিক হয়ে ফেরত আসতে কতক্ষন লাগবে তা উনারা নিশ্চিতভাবে বলতে পারছেন না।
এটা দেখার সাথে সাথেই বেশ দুশ্চিন্তায় পড়ে গেলাম কারণ মোবাইলের চার্জ খুবই কম ছিল আবার ঐদিকে কমিউনিটির অনেক কাজই বাকি ছিল। আমি ভেবেছিলাম হয়তো 24 ঘন্টা সময় লাগবে গ্রিডলাইনের এর ত্রুটি সারিয়ে কারেন্ট আসতে। কারণ গ্রীড লাইনের ত্রুটি গুলো বেশ জটিল হয় এবং ঠিক করতে বেশ খানিকটা সময় ও লাগে। যেহেতু দেখেছিলাম মোবাইলের চার্জ অনেক কম তাই মোবাইলকে পাওয়ার সেভিং মোড এ রাখলাম এবং কমিউনিটির কয়েকটি কাজ দ্রুত সেরে নেওয়ার চেষ্টা করলাম। অবশেষে রাত আটটার দিকে কারেন্টের দেখা পেলাম। ভাগ্য বেশ ভালই বলতে হয়। গ্রিডের এই বিদ্যুৎ বিপর্যয় নিয়ে ফেসবুকে দেখলাম অনেক লেখালেখি হয়েছে। অনেকে দেখলাম অনেক গুজব রটিয়েছে। আসলে এটা ঠিক না। আসলে বিদ্যুৎ তো কোন প্রকৃতি প্রদত্ত জিনিস না যে এটা কখনো নষ্ট হবে না কিংবা এটার সমস্যা দেখা দেবে না। যেহেতু এটি একটি মানব সৃষ্ট জিনিস। এবং এটি একটি সিস্টেমিক ওয়েতে চলে, তাই এটা তো সমস্যা দেখা দিতেই পারে, এটা নিয়ে এতো হৈ চৈ হওয়ার তো কোন কারণ দেখছি না আমার মতে। শত শত বছর আগে যখন বিদ্যুৎ আবিষ্কার হয়নি তখন কি মানুষ তাদের সাধারণ জীবন যাপন করে নি। আর এই 6 ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকাতে মানুষ যেভাবে লেখালেখি করছে তাতে মনে হচ্ছে দেশটা বোধহয় ধ্বংস হয়ে গেল।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
যা হোক এটাই ছিল আমার একান্ত ব্যক্তিগত মতামত। সমস্যা হবে এবং তার সমাধানও আসবে।
আমাদের সকলকেই নিজের বুদ্ধি এবং বিবেককে খাটিয়ে কাজ করতে হবে। আমরা অনেক সময়ই নিজেদের আবেগের বসে অনেক কাজ করে থাকে। আবেগ নয় আমাদের নিজেদের বিবেক দিয়ে চিন্তা করে কাজ করা উচিত। কারণ আবেগ দিয়ে কাজ করলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা এবং ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় অনেক বেশি থাকে। সৃষ্টিকর্তা আমাদের যে মেধা দিয়েছেন ওই মেধা খাটিয়ে সঠিক তথ্য বের করে কাজ করা উচিত।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ভাইয়া আপনি একদম ঠিক বলেছেন আবেগ নয় আমাদেরকে সবসময় বিবেক দিয়ে চিন্তা করা উচিত। আসলে লোডশেডিং এর সমস্যা সারা বাংলাদেশেই প্রায় হয়েছিল। এখানে কারো উপর দোষারোপ করার কোন মানে নেই। যেকোন একটি ত্রুটির কারণে হয়তো এমনটা হয়েছে। এজন্য যারা ফেসবুক বা বিভিন্ন গ্রুপে লেখালেখি করেছে তারা সত্যিকার অর্থে অনেকটা হুজুকে বাঙালি। ভাইয়া আপনার লেখাগুলো পড়ে সত্যি অনেক ভালো লাগলো। আপনি আপনার করোনা টিকার দুটি ডোজ সম্পন্ন করেছেন জেনে ভালো লাগলো।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @moh.arif,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
এত পরে করোনার দ্বিতীয় ডোজ টিকা দিচ্ছে আপনাদের দেশে।যাইহোক গরমে লাইন টানা খুবই কষ্টকর বিষয়।তাছাড়া পূর্বে যখন বিদ্যুৎ ছিল না তখন মানুষের এতটা ব্যস্ততা ছিল না কিন্তু এখন 6 ঘন্টা বিদ্যুৎ না থাকলে মনে হয় যেন সবকিছু শেষ।এটা মানুষের চিন্তাধারার উপর নির্ভর করে, ভালো লিখেছেন।ধন্যবাদ ভাইয়া।
দ্বিতীয় ডোজ টিকা অনেক আগে থেকেই দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু আমি প্রথম ডোজ টিকা পরে নেওয়াতে সেজন্য আমার দেরি হয়ে গিয়েছে।
আচ্ছা ভাইয়া।
প্রযুক্তি যত উন্নত হচ্ছে মানুষ তত অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে।
তাহলে তো দেখছি আপনি করোনার টিকা দিতে গিয়ে ভালোই কষ্ট করেছেন গরমের জন্য।
আসলে বিদ্যুৎ একটা মানব সৃষ্ট জিনিস তাই এটা সমস্যা হবে স্বাভাবিক ব্যাপার। আমাদের গ্রামে তো কত সময় একদিন দুইদিন বিদ্যুৎ সংযোগ থাকে না তারপরও তো আমরা এত লেখালেখি করি না। আসলে ফেসবুকে মানুষ একটু বেশি বেশি করে সবকিছু নিয়ে। এই ধরনের মানুষগুলোকে হুচু কে বাঙালি বলা হয়ে থাকে।
হুজুগে বাঙ্গালী, বাঙালিরা কেউ কেউ আছে ইচ্ছে করেই গুজব রটিয়ে দেয় আর সেই গুজব রটিয়ে স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। আর এই গুজবে সারা বাংলাদেশে একটা হৈচৈ পড়ে যায়। হ্যাঁ ভাইয়া আপনার সাথে আমি সহমত প্রকাশ করছি। যেহেতু মানুষের তৈরি একটা জিনিস সমস্যা হতেই পারে। আমাদেরকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে এবং কি সেই সাথে যার যার অবস্থান থেকে সবাইকে সাহায্য সহযোগিতা করতে পারে। শেষ পর্যন্ত আপনি যে টিকা দিতে পেরেছেন এটাই বা কম কিসে। তবে এত দেরিতে টিকা নিয়েছেন কেন তাতো বলতে পারব না ভাইয়া। আপনার মনের অনুভূতিগুলো আমাদের মাঝে প্রকাশ করার জন্য আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম।
ভাইয়া আপনাদের এখানে কেবল ৬ ঘন্টা।আমাদের এখানে গতকাল দুপুর ১ টায় গিয়েছে এসেছে ৮.৩০ এ। আবার রাত ৯ টায় গেলো তারপরের দিন সকাল ১০.৩০ এ আসছে।কোন কিছুর চার্জ ছিলো না।খুবই বাজে একটা দিন গেলো।
বিবেক বুদ্ধির সঠিক ব্যবহারই হল মনুষ্যত্বের মূল পরিচয়। ভাই আপনার কথাগুলো আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে আসলে আমাদের দেশে অনেক ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে তার সঠিক বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা না থাকায় অনেকে বিভিন্নভাবে সমালোচনা করে। আমাদের সেই বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে অবগত থাকতে হবে তাহলে বুঝতে পারবো সেই বিষয়টা কি ঘটেছে। সেজন্য আমাদের বিবেক বুদ্ধিকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে।
আসলেই ভাইয়া,ফেসবুকের লেখালেখি দেখে মনে হয়েছে কারেন্ট যায়নি,গিয়েছে কোনো সেলিব্রেটি!কি একটা অবস্থা যে করলো লম্বা লম্বা পোস্ট দিয়ে দিয়ে।