"বীর চট্টলা" রেস্টুরেন্টে একদিন।

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago (edited)

আজ - ২৯, বৈশাখ, | ১৪২৯ , বঙ্গাব্দ | গ্রীষ্মকাল |


আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।

আজ আমি আপনাদের সাথে বন্ধুদের সাথে "বীর চট্টলা "রেস্টুরেন্ট এর ঘুরাঘুরি কিছু মুহূর্ত শেয়ার করব।




IMG_20220509_140345.jpg

এবারে ঈদটা মোটামুটি বাসায় কেটেছে, বাইরে তেমন কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয়নি। তাই বন্ধুরা মিলে ঠিক করলাম ঈদ উপলক্ষে একটি গেট টুগেদার এর আয়োজন করার। এমনিতে বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে সে আগের মত বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়ার, ঘুরতে যাওয়া এসব কিছু আর হয়ে ওঠে না। তাই ভাবলাম ঈদ উপলক্ষে হলেও অন্তত একটু বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো যাক।

তাই সকলে মিলে ঠিক করলাম কোন একটি রেস্টুরেন্টে দুপুরের খাওয়াটা একসাথে খাওয়ার। কিন্তু কোন রেস্টুরেন্টে যাবো এটি নিয়ে কিছুটা দ্বিধা দ্বন্দে ছিলাম। আসলে আমরা চাচ্ছিলাম একটু নিরিবিলি শান্ত পরিবেশ যেখানে বেশ অনেকক্ষন ধরে আড্ডা দেওয়া যাবে। তাই আমরা সকলে মিলে ঠিক করলাম জামাল খানের "বীর চট্টলা" রেস্টুরেন্টি। এই রেষ্টুরেন্টের বিশেষত্ব হচ্ছে এটির ডেকোরেশন। এ রেস্টুরেন্টি এখনকার আধুনিক রেস্টুরেন্টের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন ভাবে সজ্জিত।

পুরনো দিনের মতো সেই কাঠের দরজা, বাঁশের বেড়া, নকশীকাঁথার দিয়ে তৈরি চেয়ারের কভার। পুরনো ছায়াছবির কিছু সিডি, ক্যাসেট । এছাড়াও দেওয়ালের মধ্যে অংকন করা আছে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী কথা, ডায়লগ এবং গানের লাইন। এসব কিছু দিয়ে পুরো রেস্টুরেন্টি অন্যরকম ভাবে সাজানো হয়েছে। আসলে আমরা যারা শহরে থাকি তারা এসকল গ্রাম্য জিনিসগুলোকে খুব বেশি উপভোগ করি।

এটি হচ্ছে রেস্টুরেন্টের প্রবেশদ্বার। যদিও বাহির থেকে বোঝাই যায়না যে এটি কোন রেস্টুরেন্ট। কেননা টেন এবং বাঁশের বেড়া দিয়ে একটি গ্রামিন ঘরের মতো তৈরি করা হয়েছে।

IMG_20220509_140333.jpg

রেস্টুরেন্টের ভিতরে বেশ অনেকগুলো এরকম পুরনো রেডিও সজ্জিত রয়েছে। দেখে মনে হয় যেন এটি একটি জাদুঘর ।

IMG_20220509_140241.jpg

পুরনো ঐতিহ্যবাহী কিছু বাংলা ছায়াছবি এবং গানের সিডি সংরক্ষন করা হয়েছে এখানে। রেস্টুরেন্টের এমন অনেক জায়গায় এরকম পুরনো সিডি গুলো সাজানো রয়েছে।

যাই হোক যেহেতু আমরা ঠিক করেছি দুপুরের লাঞ্চ বাহিরে করব। তাই সকাল ১১ টার দিকে বাসা থেকে বেরিয়ে পড়ি। সকলে একত্রিত হতে হতে প্রায় বারোটা বেজে গেয়েছিল। আমরা চেয়েছিলাম আউটডোরে বসার জন্য কিন্তু বৃষ্টি থাকার কারণে ওরা সেটা এলাও করে নি। তাই আউটডোর কিছু ফটোগ্রাফি করে আমরা ভিতরে চলে যায়। আসলে ইনডোর থেকে আউটডোরের পরিবেশটা খুবই সুন্দর ছিল।

IMG_20220509_115843-01.jpeg

চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী কিছু ডায়লগ এবং কথা দিয়ে এই ব্যানারটি সাজানো হয়েছে। আমি মনে করি পুরো রেস্টুরেন্টের সবথেকে আকর্ষনীয় স্থান হচ্ছে এটি।

IMG_20220509_123304.jpg

IMG_20220509_115938.jpg

IMG_20220509_123310.jpg

IMG-20220509-WA0076.jpg

এটি হচ্ছে রেস্টুরেন্টের আউটডোর। বাহিরে বৃষ্টি থাকার কারণে চেয়ারগুলোকে এভাবে ভাঁজ করে রাখা হয়েছে।

যাই হোক বেশ অনেকক্ষণ আড্ডা দেওয়ার পর আমরা খাবার অর্ডার করি। যেহেতু আমরা সকলে এখানে লাঞ্চ করার উদ্দেশ্যে এসেছি তাই আর অন্য কিছু না ভেবে কাচ্চি অর্ডার দিয়ে দিই।

আমরা মোট ৬ জন ছিলাম। তাই ৬ প্লেট কাচ্চি অর্ডার করেছি। যদি ও এক প্লেট কাচ্চি পরে এসেছে ছবিতে ৫ প্লেট কাচ্চি দেখা যাচ্ছে। যাইহোক এক প্লেট কাচ্চির দাম পড়েছে ২৮০ টাকা।

IMG_20220509_130608.jpg

IMG_20220509_131936-01.jpeg

IMG_20220509_131940-01.jpeg

দাম অনুযায়ী কাচ্চিটি আমার কাছে মোটামুটি ভালোই লেগেছে। সাধারণত অন্যান্য কাচ্চি যেমন একটি মসলাদার থাকে কিন্তু এটি তেমন একটি মসলাদার নই।

IMG_20220509_123550.jpg

ঐতিহাসিক কিছু গানের লাইন এবং সুন্দর কিছু বার্তা রেস্টুরেন্টের বিভিন্ন দেয়ালে অঙ্কন করা রয়েছে।

IMG_20220509_123456.jpg

এই ছিল "বীর চট্টলা "রেস্টুরেন্ট বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো।

সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



Hi @moh.arif,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Come and visit Italy Community

 2 years ago 

গতকাল আমি মাঝে একবার ভাবলাম বীর চট্টলায় যাবো।কিন্তু কি ভেবে যেনো আফগানে গেলাম।আমি এখনো একবার ও বীর চট্টলায় যাইনি,ভাবছি একদিন যাবো।

 2 years ago 

ভাইয়া ঈদ পরবর্তী বন্ধুরা মিলে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। অনেক আনন্দ করলাম সবাই মিলে। কিন্তু আমার যে বিষয়টি সবথেকে ভালো লেগেছে তা হচ্ছে বীর চট্টলা রেস্টুরেন্ট। রেস্টুরেন্টে ছিল গতানুগতিক রেস্টুরেন্ট থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এখানে গেলে যেন পুরনো দিনের কথা মনে পড়ে যায় সেই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। অর্থাৎ এ রেস্টুরেন্টে যখন কেউ খেতে যাবে রেস্টুরেন্টের বিভিন্ন বিষয় নেই তাদের পুরোটা সময় কেটে যাবে কথা বলতে। অনেক ঐতিহ্যের সংস্কৃতির মিশ্রণ করে উঠেছে রেস্টুরেন্ট আমার বেশ ভাল লেগেছে। রেস্টুরেন্টের মালিক অবশ্যই সৃজনশীল একজন ব্যক্তি। যাইহোক এই রেস্টুরেন্টে বসে থেকে কাচ্চি খাওয়ার মজাটাই আলাদা। দারুন এক অনুভুতি পেয়েছেন বলে আশা করছি। সুন্দর একটি রেস্টুরেন্ট সম্পর্কে আপনার পোস্ট হতে জানতে পারলাম সে জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

ভাই রেস্টুরেন্টের খাবার যেমনেই হোক। ভেতরে এবং বাহিরের ডেকোরেশন টা আমার কাছে চমৎকার লেগেছে। বিশেষ করে প্রবেশপথের টিনের বেড়া আর ভেতরের সাজসজ্জা আসলেই ব্যতিক্রমধর্মী। মোমরীতে ঢুকিয়ে রাখলাম সুযোগ হলে কোন একদিন যাব।

 2 years ago 

আসলে আমরা যারা শহরে থাকি তারা এসকল গ্রাম্য জিনিসগুলোকে খুব বেশি উপভোগ করি।

গ্রামীণ পরিবেশে গড়ে ওঠা রেষ্টুরেন্টগুলো আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। যখন রেস্টুরেন্টের প্রবেশদ্বারের ছবিটি দেখছিলাম তখন ভাবতেই পারিনি ভেতরটা এত সুন্দর হবে। এক কথায় অসাধারন একটি রেস্টুরেন্ট। এমন রেস্টুরেন্টে খেতে যেমন ভালো লাগে তেমনি সময় কাটাতেও ভালো লাগে। সবকিছুতে ঐতিহ্য মিশে আছে। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে ভাইয়া। সুন্দর একটি রেস্টুরেন্টে গিয়ে আপনার বন্ধুদের সাথে সময় কাটিয়েছেন এবং খাওয়া-দাওয়া করেছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমার অনেক ভালো লেগেছে। আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া এবং সেইসাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো। 💗💗

 2 years ago 

দারুন একটা রেস্টুরেন্টের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন আমাদের। এর ভেতরের এবং বাইরের কারুকাজ এবং সাজগোজ সত্যিই অসাধারণ আর অনবদ্য। সত্যি বলতে চট্টগ্রামের বেশ কিছু পুরনো ঐতিহ্য এতো চমৎকার ফুটিয়ে তুলেছে যা সবাইকে আকর্ষণ করতে বাধ্য 👌
খাবারের মান বেশ ভালো আপনি বলেছেন 😋
যদি কখনও চিটাগাং যাওয়া হয় তাহলে ইনশাল্লাহ এখান থেকে ঘুরে আসবো।

 2 years ago 

প্লেট কাচ্চির দাম পড়েছে ২৮০ টাকা।

আহা! এমন কাচ্চি দেখলে মাথা ঠিক থাকে না। বাসমতি চালের কাচ্চিবিরিয়ানির মজাই আলাদা। সাজিয়ে রাখা প্লেটগুলো দেখে লোভ সামলানো কঠিন ব্যাপার। মনে হচ্ছে এখনি রেস্টুরেন্টে চলে যাই। ভালো লাগলো আপনার বীর চট্টলা রেস্টুরেন্টের রিভিউ। ধন্যবাদ আপনাকে। 💞

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 60115.56
ETH 3203.28
USDT 1.00
SBD 2.46