ছোলা ভাঁজি রেসিপি।
আজ- ১০ই, মাঘ | ১৪২৮ , বঙ্গাব্দ | শীতকাল | | সোমবার |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
এই কয়েকদিন ধরে ঠান্ডাটা বেশ ভালোই পড়ছে। আর এমন ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা পরিবেশে ভিন্ন কিছু না হলে কি চলে। তাই তো গতকাল বিকেলের নাস্তা হিসেবে ছিল গরম গরম ছোলা ভাঁজি আর সাথে ছিল সালাত। আমরা সবসময় চেষ্টা করি বিকেলের নাস্তাটিকে বাসায় তৈরি করার। আমরা অনেকেই আছি যারা সময় কিংবা আলসেমির কারনে দোকান থেকে কিনে আনি। কিন্তু আমাদের পরিবারে সেটি কখনোই হয় না আমরা সবসময় বাহিরের খাবারগুলোকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি। আর ঘরে তৈরি ওইসব সাধারণ খাবার গুলোই আপনাদের সাথে শেয়ার করি।
যাই হোক কথা না বাড়িয়ে ছোলা ভাজি রেসিপি টা আপনাদের সাথে চলুন শেয়ার করি-
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
- পেঁয়াজ কুচি।
- কাচা মরিচ।
- লবণ।
- তেল।
- জিরা বাটা।
- আদা বাটা।
- রসুন বাটা।
- ছোলা।
- তেজপাতা।
- আলু।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
ধাপ-১ঃ
- সারারাত ধরে ছোলা ভিজিয়ে রাখার পর ভালোভাবে ধুয়ে ছোলা সিদ্ধ করে নিব।
ধাপ-২ঃ
- সিদ্ধ হয়ে গেলে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিব।
ধাপ-৩ঃ
- এরপর পাত্রে তেল গরম করতে দিবে তেল গরম হয়ে গেলে এতে পেঁয়াজ কুচি ও তেজপাতা দিয়ে দিব।
ধাপ-৪ঃ
- পেঁয়াজ কিছুটা নরম হয়ে আসলে এর মধ্যে বাটা মসলাগুলো দিয়ে দিব অর্থাৎ আদা বাটা জিরা বাটা, রসুন বাটা ও কাঁচা মরিচ।
ধাপ-৫ঃ
- এরপর সবগুলো মসলা কে ভালোভাবে তেলের মধ্যে নেড়েচেড়ে নিব।
ধাপ-৬ঃ
- এরপর মসলাগুলো কে কিছুটা কমানোর জন্য এর মধ্যে অল্প পানি দিয়ে দিব।
ধাপ-৭ঃ
- এরপর মসলাগুলো কিছুটা কষে আসলে এর মধ্যে সিদ্ধ করা ছোলা গুলো দিয়ে দিব।
ধাপ-৮ঃ
- এরপর ছোলা গুলোকে কিছুক্ষণ ধরে ভেজে নিব।
ধাপ-৯ঃ
- যখন দেখবে ছোলা গুলো কিছুটা মাখামাখা হয়ে এসেছে তখন এর মধ্যে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে নিব।
ধাপ-১০ঃ
- ব্যাস এভাবে তৈরী হয়ে গেল মজাদার ছোলা ভাজি।
সকলকে ধন্যবাদ।
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আহ্ ছোলা ভাঁজি রেসিপি😋😋। ছোলা ভাঁজি খেতে অনেক মজাই লাগে। আপনার কথার সাথে সহমত প্রকাশ করছি আমাদেরকে ঘরের তৈরি খাবার বেশি খাওয়া উচিত। যে রকম ঠান্ডা পরছে এই দিনে এই রেসিপি খেতে খুব সুস্বাদু লাগে। ছোলার সাথে শীতকালীন সবজি মিশ্রন করলে আরো স্বাদ বৃদ্ধি করে তোলে। গাঁজর এবং শসা দিয়ে খেতে আহ্ কি যে বলবো। খুব লোভনীয় একটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া💖।
ভাইয়া শীতের সময় গরম গরম সোলা আর সাথে থাকে যদি একটু মুড়ি তাহলে কি খাচ্ছি। সেই লাগে খেতে। অনেক সুন্দর হয়েছে ভাইয়া আপনার ছোলার রেসিপি। সোলা কমবেশি সব জায়গায় পাওয়া যায় শুধু খুঁজতে হয় একটু স্বাদ। ধন্যবাদ ভাইয়া আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ঠিকই বলেছেন ভাইয়া এই শীতের ভেতরে একটু ভিন্ন কিছু হলে মন্দ হয়না। আর আপনার ছোলা ভাজিটা যা হয়েছে না ভাইয়া একেবারে মাখামাখা এরকম ছোলা ভাজা খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে ।মুড়ি দিয়ে সালাদ দিয়ে মাখিয়ে খেলে খুব মজা ।রোজার দিনেতো প্রতিদিনই খাওয়া হয় কিন্তু অন্য সময় বেশি ভালো লাগে খেতে । খুব সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন ভাইয়া ধন্যবাদ।
আপনার রেসিপিটি ভালো লেগেছে জেনে খুব খুশি হলাম।
আপনার এই ছোলা ভাজা রেসিপিটি সত্যি দারুন লেগেছে দেখে জিভে জল চলে এসেছে। আর এই ছোলা মানবদেহের জন্য যেমন পুষ্টিগুণে ভরপুর, তেমনি সবারই একটি প্রিয় খাবার মধ্যে অন্যতম একটি খাবার। আর আপনি অনেক সুন্দর করে রেসিপিটি তৈরি করেছেন এবং প্রতিটি ধাপ আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম।
আসলে ছোলা একটি অনেক পুষ্টি গুণাগুণ সমৃদ্ধ একটি খাবার।
খুবই ভাল লেগেছে আপনার মতামত পেয়ে।
উপপ পছন্দের একটি রেসিপি😋
যদিও এটি সাধারণত রমজানের বেশি খাওয়া হয় আমার। এমনিতে অনেক মজার খাবার। আপনি অনেক সুন্দর করে এটি উপস্থাপন করেছেন ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপনাকে
হ্যাঁ বেশিরভাগ সময় রমজানের খাওয়া হয় তবে মাঝেমধ্যে মন্দ লাগে না কিন্তু।
খুবই ভালো লাগলো আপনার সাথে একটি মতামত পেয়ে।
অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার সুন্দর মতামতের খুবই ভালো লাগলো।
ছোলা ভাঁজি আমার খুবই প্রিয়। ছোলা ভাঁজি খেতে আমি অনেক পছন্দ করি। ছোটবেলা থেকেই ছোলা ভাঁজির প্রতি আমার অন্যরকম এক ভালোলাগা রয়েছে। ছোলা প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণে ভরপুর। আমাদের শরীরে শক্তি যোগাতে এবং শরীর ভালো রাখতে মাঝে মাঝে ছোলা ভাঁজি খাওয়া উচিত। এতে শরীর ভালো থাকবে এবং সুস্থ থাকবে। আপনি অনেক মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। দেখেই লোভ লেগে গেলো। অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।
ভাইয়া আপনার মতো আমাদের বাহিরের খাবার তেমন খাওয়া হয় না।বেশির ভাগ সময় তৈরি করেই খাই।এরপর আবার নিজের হাতে তৈরি করে কিছু খাওয়ার মজাটাই আলাদা।
যাই হোক ভাইয়া আপনার ছোলা ভাঁজি রেসিপি টা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আমিও মাঝে মাঝে বাসায় তৈরি করে খাই।
অসংখ্য ধন্যবাদ মজাদার আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনার জন্য অনেক দুআ ও ভালোবাসা রইলো ছোট বোনের পক্ষ্য থেকে।
ভাইয়া আপনি একদম ঠিক বলেছেন বর্তমানে খুবই ঠাণ্ডা পড়েছে। এই ঠান্ডার সময় ভিন্ন কিছু খেতে অনেক ভালো লাগে। বিশেষ করে বিকেল বেলায় নতুন নতুন খাবার খেতে বেশি ভালো লাগে। আর বিকেল বেলার নাস্তায় ছোলা ভাঁজি হলে খেতে আরো বেশি ভালো লাগে। বাহির থেকে কিনে আনা নাস্তার থেকে বাসায় তৈরি নাস্তা অনেক বেশি ভালো হয়। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে ছোলা ভাঁজি রেসিপি তৈরির প্রসেস উপস্থাপন করেছেন। আপনার রান্নার প্রসেস গুলো দেখে যে কেউ এই মজাদার স্বাদের ছোলা ভাঁজি রেসিপি তৈরি করতে পারবে। অনেক সুন্দর ভাবে আপনার রেসিপিটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো এবং আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
জি ভাই, আমাদের সকলেরই উচিত বাইরের খাবার পরিহার করে বাসায় তৈরি খাবার গ্রহণ করা। আপনার রান্না করে ছোলা ভাজির ছবিগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে খাবারটি অনেক সুস্বাদু ছিল। ছোলা ভাজি রান্না করার পদ্ধতি ও খুব সুন্দরভাবে ধাপ আকারে আলোচনা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।