বরবটির ভর্তা রেসিপি।
আজ- ৩১ই, জ্যৈষ্ঠ | ১৪২৯ , বঙ্গাব্দ | গ্রীষ্মকাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
আজ আমি আপনাদের সাথে বরবটি দিয়ে ভর্তা বানানোর রেসিপি শেয়ার করব।
বরবটি তো আমরা সাধারণত সকলেই রান্না করে খাই। তবে আমার কাছে এটি রান্না করা থেকে ভর্তা বানালে খেতে বেশি ভালো লাগে। আমার এই বরবটি ভর্তা বানানোর ক্ষেত্রে আমি শিলপাটা ব্যবহার করেছি। কেননা ব্লেন্ডার দিয়ে যেকোনো ভর্তা বানালে সেটার টেস্ট আর শিলপাটা দিয়ে ভর্তা বানালে সেই ভর্তার টেস্ট সম্পন্ন ভিন্ন হয়। আর তাই খাবারের স্বাদ বাড়াতে এই আধুনিক যুগে ও এখনো আমাদের বাসায় শিলপাটার ব্যবহার চলে।
যাইহোক, শুকনা গরম ভাত কিংবা ডালের সাথে এই বরবটির ভর্তা খেতে কিন্তু বেশ ভালই লাগে। আমাদের বাসায় মাঝেমধ্যেই এই ভর্তাটি তৈরি করা হয়,আর আমার খুবই প্রিয় এই বার্তাটি।
যাই হো, আর কথা না বাড়িয়ে তো চলুন রেসিপিটি শুরু করি-
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
- পেঁয়াজ কুচি।
- মরিচ।
- লবণ।
- তেল।
- বরবটি ।
- ধনিয়া পাতা ।
- রসুন।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
ধাপ-১ঃ
- প্রথমে বরবটি গুলোকে কেটে ভালোভাবে ধুয়ে নেব। এরপর পানি দিয়ে চুলায় বসিয়ে দিব।
ধাপ-২ঃ
- এর পর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ভালোভাবে বরবটি গুলোকে সিদ্ধ করে নিব।
ধাপ-৩ঃ
- যখন দেখব বরবটি গুলো সিদ্ধা হয়ে এসেছে এবং পানি টেনে গেছে তখন এটিকে নামিয়ে নিব।
ধাপ-৪ঃ
- এরপর সিদ্ধ করা বরবটি গুলোকে ভালোভাবে বেটে নিব।
 |
|
ধাপ-৫ঃ
- এরপর পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, ধনেপাতা ও রসুন এই সবগুলোকে খোসা ছাড়িয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিব এবং পাটাতে বেটে নিব।
 |
|
ধাপ-৬ঃ
- বাটা শেষে সবগুলো উপকরণ একসাথে মিশিয়ে একটি বাটিতে রেখে দিব।
ধাপ-৭ঃ
- এরপর একটি পাত্রে সরিষার তেল গরম করে দিব তেল গরম হয়ে গেলে এরমধ্যে রসুন কুচি দিয়ে দিব। এরপর তেলের মধ্যে কিছুক্ষণ রসুন গুলোকে ভেজে নিব।
 |
|
ধাপ-৮ঃ
- রসুন ভাজা হয়ে গেলে এর মধ্যে ভর্তা গুলো দিয়ে দিব।
ধাপ-৯ঃ
- একবাএ ভালোভাবে করাইয়ের মধ্যে ভর্তাগুলো কে নেড়েচেড়ে নিব।
ধাপ-১০ঃ
- কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া পর যখন দেখব তেলগুলো সব শুকিয়ে এসেছে এবং ভর্তাগুলো পোড়া পোড়া হয়ে এসেছে তখন এটিকে নামিয়ে নিব।
সকলকে ধন্যবাদ।
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
ভাইয়া আপনি একদম ঠিক বলেছেন শিলপাটা দিয়ে যেকোনো ভর্তা করলে খেতে বেশি ভালো লাগে। আমার বাসায়ও ভর্তা রেসিপি তৈরি করলে শিলপাটার সাহায্যে করা হয়। বরবটি ভর্তা আমার খুবই প্রিয়। এই ভর্তার রেসিপি আপনি এত সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন দেখেই মনে হচ্ছে গরম ভাত নিয়ে বসে পড়ে খাওয়ার জন্য। তবে আফসোস আপনার বাসা অনেক দূরে। পাশে হলে ঠিকই চলে যেতাম ভাইয়া। অনেক মজার রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো। ♥️♥️
বরবটি ভাজি অনেক খেয়েছি। কিন্তু সত্যি বলতে বরবটি ভর্তা কখনো খাইনি। প্রথমে সিদ্ধ করে এরপর শিল পাটায় বেটে নিয়েছেন। দারুণ হয়েছে ভর্তাটা। ভর্তার রংটা দেখেও বেশ সুস্বাদু মনে হচ্ছে। বেশ ভালো রেসিপি ছিল ভাই। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
ভাইয়া ঠিক বলেছেন,রান্না করে খাওয়ার চেয়ে ভর্তা বানাতে বেশি ভালো লাগে। শিল পাটার ভর্তা স্বাদই আলাদা।আপনার ভর্তার রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। ভালো ছিলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
আমি কেন যে বরবটি খেতে পছন্দ করি না, তা আমি নিজেও জানি না। তবে আজকে আপনার তৈরি বরবটির ভর্তা দেখে মনে হচ্ছে খেতে ভালই সুস্বাদু হবে। কিন্তু কেন যে আমি খাইনা।এখন থেকে ভাবতেছি খাওয়ার চেষ্টা করব। বরবটি ভর্তার এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।
জি ভাইয়া আমিও দেখেছি শিল পাটায় ভাটা বর্তা আর ব্লেন্ডার করা ভর্তার টেস্ট আলাদা। ভর্তা শিল পাটায় ভাটা হলে মজা বেশি হয়। আর আমি শুনেছি বরবটি খেলে মোটা হয়ে যায় তাই এখন আর খাইনা। কিন্তু ভর্তা হলে লোভ সামলাতে পারিনাহ। যাইহোক ভাইয়া আপনি খুব সুন্দর ভাবে এটি উপস্থাপন করেছেন। শুভকামনা রইল।
বরবটি ভর্তা রেসিপি দেখেই খেতে খুব ইচ্ছা করছে, কারণ বরবটি ভর্তা রেসিপি আমি কিছুদিন আগে তৈরি করেছিলাম। এই রেসিপি খেতে খুবই মজাদার হয় আপনার উপস্থাপন আমার খুবই ভালো লেগেছে, শুভকামনা রইল।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া বরবটির ভর্তা শেয়ার করার জন্য। এই ভর্তাটি আমার কাছে খুবই মজা লাগে খেতে। কিন্তু আমি বরবটির সিজন আসলেই ভুলে যাই। আজকে আপনার বরবটির ভর্তা দেখে মনে পড়ে গেল। অবশ্যই দু একের মধ্যেই বানিয়ে খাবো। কিন্তু আপনার ভর্তা বানানোর পদ্ধতি টা একটু আলাদা লেগেছে। আপনি ভর্তা বানিয়ে আবার তেলে দিয়েছেন। এতে মনে হয় খেতে আরো বেশি মজা লাগবে। এইবার বানালে আপনার পদ্ধতিতে বানাবো। আর একদম ঠিক বলেছেন ব্লেন্ডারের ভর্তা আর শীল পাটার ভর্তার মধ্যে আকাশ-পাতাল ফারাক লাগে আমার কাছে।
ভাইয়া আপনার বরবটির ভর্তা দেখেই ইচ্ছে করছে কটা ভাত খাওয়ার জন্য, খিদে টা মনে হয় যেন চেপে বসেছে। কারণ প্রিয় রেসিপি টা দেখলে কার না ভালো লাগে, খেতে মন চায়। যে কোন ধরনের বর্তায় আমার খুব ভালো লাগে আর আধুনিক যুগ আমারও প্রায় আপনার মতই রুচিশীল শিলপাটা ছাড়া আমার ভর্ত চলেনা। অসাধারণ ছিল আপনার বরবটির ভর্তা রেসিপিটি। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
বরবটি ভাজি আমার কাছে খেতে খুব ভালো লাগে না। তাই আমি কখনো বরবটি ভাজি খাইনা আর সে কারণে বাসা থেকে কিনতে বললেও আমার কেনা হয় না। কিন্তু ভাইয়া আজকে আপনার বরবটি ভর্তা রেসিপি দেখে আমার খুব ভালো লাগলো। আমিও ভিন্নরকম একটা আইডিয়া পেলাম আমি কখনো বরবটি ভর্তা করে খাইনি। যেহেতু যেকোনো ভর্তা আমার খুব প্রিয় তাই ধারণা করতে পারছি বরবটি ভর্তা রেসিপিটি খেতে অনেক সুস্বাদু হবে। আপনার বরবটি ভর্তা রেসিপি টি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community