সৌর বিদ্যুৎ।
আজ - ৪ঠা শ্রাবণ |১৪৩০ বঙ্গাব্দ, | বর্ষা-কাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
কেন এমনটা হচ্ছে ব্যাপারটা জানার জন্য নিচে ছুটে গেলাম দারোয়ানের কাছে। দারোয়ান জানালো বিল্ডিং এর সার্কিটে কি যেন সমস্যা হয়েছে যার কারণে এমনটা হচ্ছে। তবে তারা ইলেকট্রিশিয়ানকে ফোন দিয়েছে গতকাল রাতেই আসার জন্য। তবে তারা রাতে আসিনি সকালে আবার কল দিলে তারা জানাই কিছুক্ষণের মধ্যে সে ঠিক করে দিয়ে যাবে। আর এটি শুনে কিছুটা শাস্তি পেলাম কেননা আমার ল্যাপটপ মোবাইলে একদমই চার্জ নেই এখন যদি ইলেকট্রিসিটি না আসে তাহলে দেখা যাবে আমার কাজগুলোই শুরু করতে পারবোনা।
এই সকাল ঘটনার মধ্যে দিয়ে আমি একটি জিনিস ভাবলাম যে, যখন কিনা আসলে এই ইলেকট্রিসিটির জেনারেশন ছিল না তখন মানুষ কিভাবে বসবাস করত।
আমাদের গ্রামে কিন্তু ইলেকট্রিসিটি এসেছে সবে মাত্র বছরখানেক হল। আর ইলেকট্রিসিটিযে আমাদের এই গ্রামে পৌঁছাবে সেটা কেউ কখনো কল্পনাও করেনি। কেন বিশাল বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে এই ইলেকট্রিসিটি নিয়ে যাওয়া প্রায় অসম্ভব ছিল। তারপরে সম্ভব হয়েছে প্রযুক্তির অভিনব সব আবিষ্কারের কারণে। যাইহোক গ্রামে যখন ইলেকট্রিসিটি ছিল না তখন গ্রামের পরিবেশটা ছিল একদম অন্যরকম। এখনকার এই পরিবেশ থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন।
আমরা যখন গ্রামে বড় হয়েছি তখন দেখতাম যাদের খুব পয়সা কুড়ি আছে তারা একমাত্র একটি সোলার প্যানেল লাগাতে পারতো। আর তা না হলে বেশিরভাগ বাড়ি ঘরগুলোতে হারিকেন, মোমবাতি এসবই চলত। তবে সময় যেতে যেতে মানুষ কিছুটা সচ্ছল হওয়ার সাথে সাথে এই সোলার প্যানেল বা সৌর বিদ্যুৎটি প্রায় ৮০% মানুষ ব্যবহার করতে শুরু করে। পরবর্তীতে এর প্রসার এতটাই হয় যে গ্রামে থাকা প্রত্যেকটা বাড়িঘরে এই সৌরবিদ্যুৎ লাগাতে থাকে।
এই সৌর বিদ্যুৎতের বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। যেমন দেখা যায় বর্তমানে ইলেকট্রিসিটির মতো এটি ব্যবহারের ফলে কোন খরচ পাতি হয় না বরং একবারে প্যানেল লাগিয়ে দিলে বেশ কয়েক বছর এটি চালানো যায়। তবে বর্ষার সিজনগুলোতে একটু সমস্যায় পড়তে হয় কেননা এই সোলার প্যানেলের যদি সূর্যের আলো না পায় তাহলে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হতে পারে না।
যাইহোক আমাদের গ্রামে যখন প্রতিটি ঘরে মোটামুটি সোলার প্যানেল বসানো হয়ে গেছে তখনই এই গ্রামে ইলেকট্রিসিটি নিয়ে আসা হয়। এখন মানুষ সম্পূর্ণ ইলেকট্রিসিটির উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। আর এ বিষয়টা আমার কাছে খুব একটা ভালো লাগে না। কারণ হচ্ছে ইলেকট্রিসিটির ব্যবহারের পাশাপাশি এ সোলার প্যানেলের ব্যবহারটা থাকাও জরুরী আমার মতে।
এতে করে আমাদের শুধু ইলেকট্রিসিটি উপর নির্ভরশীল হতে হয় না। তখনই ইলেকট্রিসিটি না খুব বেশি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় না থাকলে । এখন কিন্তু উন্নত বিশ্বে দেশগুলোতে বড় বড় ইন্ডাস্ট্রিগুলোতে তাদের বৈদ্যুতিক চাহিদা পূরণ করছে কিন্তু এই সোলার প্যানেলের মাধ্যমে। এবং এটি বেশ কাজে করে একটি ভূমিকা পালন করে।
যদি এখন আমার দ্বারা সম্ভব হতো তাহলে আমি সত্যি একটি সোলার প্যানেল বসিয়ে দিতাম আমার বাসায়। কেননা হঠাৎ হঠাৎ এই লোডশেডিং সত্যি আর ভালো লাগছে না।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আসলেই সোলার প্যানেল অনেক কাজের। আমি ছোট বেলার থেকেই নানু বাড়ি দাদু বাড়ি কারেন্ট দেখেছি। তাই সোলার প্যানেল দেখার তেমন সৌভাগ্য হয়নি। শুধু একবার এক আত্নীয় এর বাসায় দেখে ছিলাম। চর এলাকা হওয়াতে বিদ্যুৎ ছিলোনা সেখানে।
বাস্তবতা ভিন্ন বিষয় ভাই, আমাদের গ্রামে বিদ্যুৎ এর উপস্থিতি সেই বাস্তবতার আলোকে করা হয় নাই বরং সেটা রাজনৈতিক বিবেচনায় এবং রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ের জন্য করা হয়েছে। এখন হয়তো গ্রামের মানুষ কিছুটা খূশি কিন্তু সেটা খুব বেশী দিনের জন্য স্থায়িত্ব হবে না, মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিং যখন শুরু হবে তখন সবাই সোলার এর দিকে আবার ঝুঁকে পড়বে। আমি ব্যক্তিগতভাবে সোলারকে এখনো সমর্থন করি।
জি ভাইয়া হঠাৎ হঠাৎ আমার কিন্তু ভালো লাগেনা। এই যেমন লোডশেডিং যদি না হত তাহলে আপনি আপনার মোবাইল ও ল্যাপটপকে কখন চার্জে দিয়ে আপনার কাজ শুরু করে দিতে পারতেন। আমি আপনার কথার সাথে একমত যে ইলেকট্রিসিটির পাশাপাশি সৌর বিদ্যুতের ব্যবহার করা উচিত। তাতে করে অনেকটা বিদ্যুতের ঘাটতিপূর্ণ হবে।