অরেঞ্জ জুসের রেসিপি।
আজ- ১১ই,চৈত্র | ১৪২৮ , বঙ্গাব্দ | বসন্তকাল | | শনিবার |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
আজ আমি আপনাদের সাথে অরেঞ্জ জুসের রেসিপি শেয়ার করব।
সকলকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা। আজ আমাদের অত্যন্ত গর্বের একটি দিন। নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর আমরা স্বাধীন হয়েছি। বহু কষ্টের বিনিময়ে পেয়েছি আমাদের এই স্বাধীনতা।
আজ কাল প্রচন্ড গরম পরছে। চৈত্র মাসের শুরু তাই গরম বেড়েছে অনেক। আর এই গরমে এক গ্লাস ঠান্ডা জুস হলে আর কি লাগে। তাই ঘরেই অরেঞ্জ জুস তৈরি করে নিলাম। আমি বাইরে সাধারণত অন্যান্য জুস থেকে অরেঞ্জ জুস বেশি খেয়ে থাকি। কেননা অরেঞ্জ জুস আমার খুবই ভালো লাগে। আর সময় হলেই বাসায় ও সকলের জন্য অরেঞ্জ জুস তৈরি করে থাকি।
গতকাল বাসায় সকলের জন্য অরেঞ্জ জুস তৈরি করার সময় ভাবলাম এ অরেঞ্জ জুসের রেসিপিটি আপনার সাথে শেয়ার করি। আর হ্যাঁ আপনাদের কাছে আমি দুঃখিত কেননা আমি সবকিছু সুন্দরভাবে পরিবেশন করতে পারিনি। চারদিকের সব জিনিস এলোমেলো হয়ে আছে।
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
- মাল্টা।
- চিনি।
- লবণ।
- বরফ।
- ব্লেন্ডার।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
ধাপ-১ঃ
- প্রথমে মাল্টাগুলোকে ভালোভাবে ধুয়ে নেব।
ধাপ-২ঃ
- এরপর মাল্টাগুলোর খোসা ছাড়িয়ে নেব।
ধাপ-৩ঃ
- এরপর মাল্টা গুলোকে কেটে নিব।
ধাপ-৪ঃ
- মাল্টার বিচিগুলোকে ফেলে দিব। বিচি থাকলে ব্লেন্ড করার সময় জুস তেতো হয়ে যেতে পারে।
ধাপ-৫ঃ
- এরপর স্বাদমতো চিনি, লবণ এবং কেটে রাখা মাল্টা গুলোকে ব্লেন্ডারে দিয়ে দিব।
ধাপ-৬ঃ
- এরপর পরিমাণমতো পানি এবং বরফের টুকরা দিয়ে দিব। আমি এখানে তিনটি মাল্টার সাথে ১ গ্লাস পানি ব্যবহার করেছি। আপনারা চাইলে আরও কম বেশি ব্যবহার করতে পারেন।
ধাপ-৭ঃ
- এরপর সবগুলো উপকরণকে ব্লেন্ডারে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিব।
ধাপ-৮ঃ
- জুসগুলোকে ব্লেন্ড করা শেষে এই রকম দেখতে হয়েছে।
ধাপ-৯ঃ
- এরপর একটি চাকনি নিব।
ধাপ-১০ঃ
- চাকনিতে ব্লেন্ড করা জুস গুলোকে ছেঁকে নিব। প্রয়োজনে চামচ দিয়ে চেপে চেপে ভালোভাবে জুস গুলোকে নিংড়ে নেব।
ধাপ-১১ঃ
- জুস গুলোকে ছেঁকে নেয়ার ফলে এসব আস্ত অংশগুলো বেরিয়ে এসেছে। যার ফলে ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে নাওয়া অংশগুলো একদম পিওর।
ধাপ-১২ঃ
- ব্যাস এইভাবে তৈরি হয়ে গেল খুব সহজে মজাদার অরেঞ্জ জুস।
সকলকে ধন্যবাদ।
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
অরেঞ্জ জুস আমার অনেক ভালো লাগে। বিশেষ করে সামনে রমজান মাস আসতেছে। এই জুস বানানোর রেসিপি আমার কাজে লাগবে। রিস্টিম করে ওয়ালে রেখে দিলাম। আপনার রেসিপিগুলো অনেক ভালো লাগে ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে। 💕🤘
এটা বেস্ট ছিল ভাইয়া। আমার কাছে ঘরে তৈরি ফলের জুস অনেক বেশি ভাল লাগে। বাহিরে কখনো আমি ফলের জুস খাইনি। রুচিতে নিতে পারি না। তবে আপনার জুস তৈরি করা কিন্তু ভাল ছিল। তবে কেমন টেস্ট হলো সেটা আপনি ভালো বুঝবেন।
এই গরমে এই রেসিপি শেয়ার করলে কি না খেয়ে টিকে থাকা যায় ভাই। উফ। নাহ এখনি বাজারে যেতে হবে কমলা কেনার জন্য। এনে আমিও বানাবো আপনার মত করে। খাইতে নিশ্চই খুব স্বাদের হয়েছিলো।
ভাই খুবই কাজের একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। এই গরমে ফ্রিজের ঠাণ্ডা এক গ্লাস জুস দেখলে মাথা ঠিক রাখা মুশকিল। তবে আমি নিজেও বেশ কয়েকবার জুস বানাবার চেষ্টা করেছিলাম। কেন জানি সব সময়ই তেতো হয়ে যায়। কারণটা ঠিক বুঝতে পারিনা। রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
প্রচণ্ড গরমে কমলার জুস দেখেই তো লোভ লেগে যাচ্ছে।গরমের সময় এক এক গ্লাস ঠান্ডা জুস খেলে আসলেই প্রাণটা জুড়িয়ে যায় ।আপনি এত সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন দেখে মনে হচ্ছে ভীষণ মজাদার হয়েছিল। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ।
দেশের বাহিরে থাকা অবস্থায় এরকম জুস ছিল প্রতিদিনের রুটিন এর আংশ। প্রচণ্ড গরমে আপনার তৈরি জুস দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করলো। অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
গরমের ভিতর এত সুন্দর অরেঞ্জ জুস দেখলে কি না খেয়ে পারে যায় বলুন। এত সুন্দর করে আপনি জুসটি তৈরি করেছেন দেখেই তো খেতে ইচ্ছা করছে আমিও মাঝে মাঝে এভাবে বানিয়ে খাই আমি অবশ্য কমলা দিয়ে তৈরি করি মালটা দিয়ে কখনো তৈরি করিনি। সামনে রোজা আসছে তখন এভাবে করে খাওয়া হবে ।আপনার জুসটি কিন্তু খুবই লোভনীয় লাগছে ভাইয়া।
আশা করি ভাইয়া ভালো আছেন? আপনার অরেঞ্জ জুসের রেসিপি খুবই অসাধারণ হইছে। এই গরমে এত সুন্দর জুস দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। প্রচণ্ড গরমে এক গ্লাস ঠান্ডা জুস খেতে পারলে হৃদয়টা শীতল হতো। আপনার জুস তৈরি পদ্ধতি খুব দুর্দান্ত। এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অন্তর অন্তর থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
ভাইয়া খুবই স্বাদ এর একটি জুস তৈরি করেছেন, যা দেখেই খাওয়ার লোভ লেগে গেলো। এত গরমে প্রাণ যখন যায় যায় ঠিক তখনই বরফ মেশানো ঠান্ডা ঠান্ডা অরেঞ্জ জুস খেতে পারলে প্রাণটা মনে হয় ফিরে আসবে। আপনার জুস তৈরির রেসিপি দেখে খুবই ভালো লাগলো। আমার বাসাতেও অরেঞ্জ জুস ঠিক এভাবেই তৈরি করা হয়। আপনি খুব সুন্দর গুছিয়ে জুস তৈরির রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। এজন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ভাইয়া এই গরমের মধ্যে এত ঠান্ডা ঠান্ডা মজাদার জুস চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি যার কারণে আর লোভ সামলাতে পারছিনা না😋😋 মনে হচ্ছে এখনি আপনার বাসায় চলে আসি। এভাবে বাসায় যদি আমরা জুস তৈরি করি তাহলে খেতে যেমন সুস্বাদু হবে তেমনি স্বাস্থ্যসম্মতও হবে। আপনি অনেক সহজ করে সুন্দর ভাবে প্রতিটি ধাপ বর্ণনা করেছেন।এত মজাদার জুস আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।