কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস কেনাকাটা।
আজ- ২৪শে পৌষ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, শীতকাল
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
আজকে মূলত আমার কিছু প্রয়োজনীয় এবং পছন্দের জিনিস কেনাকাটার বিষয়টি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলে এলাম।
আমার বেশ কিছুদিন আগে নতুন ফোন কেনা হয়েছে আর সেই বিষয়টা তো আপনাদের সাথে শেয়ার করাই হলো। তবে এখন ফোনগুলোর সাথে কোন হেডফোন কিংবা চার্জার কোনোটি দেওয়া থাকে না। আলাদা করে পেমেন্ট করে ওইগুলো কিনতে হয় । কিন্তু আমার আলাদা কোন চার্জার কিনতে হয়নি কারন বাসায় ওই টাইপ চার্জার ছিল। কিন্তু হেডফোনটা কিনতে হয়েছে। এবং হেডফোনটা কিনার ক্ষেত্রে চেষ্টা করছি ভালো মানের হেডফোনটা নেওয়ার কারণ আমাদের প্রতি সপ্তাহে হ্যাংআউট, রবিবারের আড্ডা এবং বিভিন্ন কাজে হেডফোনের ব্যবহারটা সবথেকে বেশি হয়ে থাকে। আর হেডফোন ছাড়া এক মুহূর্ত চলা প্রায় অসম্ভব।
কিন্তু বাহিরে চলাচলের ক্ষেত্রে এই কেবল হেডফোনগুলো কিছুটা বিরক্তিকর কারণ তারগুলো যখন তখন পেচিয়ে যায় তাছাড়া মোবাইলটা হাতে রাখতে হয় সব সময় যার কারণে বিষয়টি কিছুটা আনইজি ফিল হয়। তাই চিন্তা করলাম একটা "ইয়ার বাড " নেওয়ার।
একদিন সময় করে সন্ধ্যার দিকে চলে গেলাম শপিংমলে। এরপর আমার কাঙ্খিত "ইয়ার বাড " নিয়ে নিলাম। এরপর কিছু স্মার্টওয়াচ দেখলাম। আর একটি স্মার্টওয়াচ ও পছন্দ হয়ে গেলে তাই নিয়ে ও নিলাম। স্মার্ট ওয়াচ নেওয়ার কোন প্ল্যান ছিল না, তবে পছন্দ হয়ে যাওয়ায় আর নিতে দ্বিধাবোধ করিনি। স্মার্ট ওয়াচ নেওয়ার একটি বড় কারণ রয়েছে তা হল এটি মোবাইলের সাথে কানেক্টেড করা যায় আর মোবাইলে নিয়ন্ত্রণ ও ওয়াচ থেকে করা যায়। যার ফলে বাহিরে গেলে আলাদা করে মোবাইল বের করে নোটিফিকেশন চেক করার কোন প্রয়োজনই পড়বে না। এই স্মার্ট ওয়াচের মাধ্যমে আমি আমার সমস্ত নোটিফিকেশন চেক করতে পারব।
যাই হোক একটির জন্য গিয়ে আরেকটি নিয়ে ফেললাম। তবে কাজের সুবিধার কারণে এতটুকু খরচ তো করা যেতেই পারে। আমি বিশ্বাসী যে কোন কাজ নিজের সুবিধা মত সাজিয়ে নেওয়ার। এতে কি হবে, নিজের কমফোর্ট টাও থাকবে এবং কাজে অধিক মনোযোগী হতে পারা যায়। আমি পরিশ্রম করে কাজ করলে যে আমি ভালো রেওয়ার্ড পাবো আর যদি সহজ ভাবে কাজগুলো করি তাহলে যে আমি ভালো কিছু করতে পারবো না এমন তো কোন বিষয় নেই। যে কোন কাজের ক্ষেত্রে নিজের যেভাবে সহজ মনে হয় সেভাবে নিজে কাজগুলোকে সাজিয়ে করা উচিত।
এই ছিল আমার টুকটাক কেনাকাটা এবং তার পিছনের গল্প। আজ তাহলে এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী দিন আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে আল্লাহ হাফেজ।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ইয়ার বাড বেশ কাজের একটা জিনিস। বাহিরে গিয়ে ব্যবহার করার জন্য একেবারে পারফেক্ট। কোনো তারের ঝামেলা নেই, তাছাড়া মোবাইলে কল আসলেও, পকেট থেকে মোবাইল বের করে রিসিভ করতে হয় না। ইয়ার বাডের মাধ্যমেই কল রিসিভ করে কথা বলা যায়। আমি আরও কয়েকবছর আগে থেকেই ইয়ার বাড ব্যবহার করি। স্মার্ট ওয়াচটি খুবই সুন্দর হয়েছে ভাই। আসলে বর্তমান যুগে এই দুটি জিনিস খুবই উপকারী। এখন থেকে আরো আরামদায়ক ভাবে কাজ করতে পারবেন ভাই। যাইহোক এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া আপনার ইয়ার ফোন দেখে তো আমার ইয়ার ফোনের কথা মনে হয়ে গেল। আসলেই ইয়ার ফোন গুলো এখন আমাদের জীবনের সাথে বেশ ঘনিষ্ঠভাবে মিশে গেছে। তবে আমরা যদি একটি জিনিস কিনতে যাই তখন আরও দু একটি তো এমনিতেই চলে আসে সাথে সাথে। ধন্যবাদ আমাদের সাথে আপনার অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে আপনার প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস কেনাকাটা করে শেয়ার করেছেন। আপনি আপনার প্রয়োজনীয় একটি ইয়ার বার্ড কিনেছেন জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো। ঠিক বলেছেন ভাই নিজের কাজগুলো নিজের কাছে যেভাবে সহজ মনে হয় সেভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে করায় সবথেকে বেশি ভালো। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
হেডফোনগুলা তারবিহীনই ভালো। কোনো ঝামেলা নাই! অনয়াসে ইউজ করা যেতে পারে। আর আপনার স্মার্টওয়াচটা আমারও পছন্দ হয়েছে। এমন প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো থাকলে আসলে কাজগুলো গুছিয়ে করা যায় আর সুন্দরও হয়।
ইয়ার বাড খুব প্রয়োজনীয় একটি জিনিস।প্রতিদিনের কাজে হেড ফোন ছাড়া আসলে চলা যায় না।আপনি খুব প্রয়োজনীয় জিনিসই কেনাকাটা করলেন।আর আপনার স্মার্ট ওয়াচটা ও খুব ভালো লেগেছে।এই ওয়াচ আপনার অনেক কাজই লাগবে আশাকরি।ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া শেয়ার করার জন্য।
সহ মত প্রকাশ করলাম আমিও।