বর্তমান যুগে শিশুদের অবস্থা।

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago (edited)

আজ - ৪ই ভাদ্র | ১৪২৮ বঙ্গাব্দ | বৃহস্পতিবার | বর্ষাকাল |


আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।



এখন যেহেতু বর্ষার মাঝামাঝি কিংবা শেষের দিকে সেহেতু এখন কখনো বা বৃষ্টি আবার কখনো হালকা রোদের দেখা মেলে। তবে বেশিরভাগ সময়ই আকাশটা মেঘলা থাকে। রাস্তাঘাট গুলো কেমন যেন ভেজা ভেজা ভাব। অবশ্যই গ্রামের রাস্তার ক্ষেত্রে বৃষ্টির সময় কাদামাখা থাকলেও শহরের রাস্তা গুলো বালি যুক্ত থাকে এছাড়াও অল্প বৃষ্টিতে পানি উঠে যায় রাস্তার মধ্যে। যাইহোক বর্ষাকালে তো এমন হওয়াটাই স্বাভাবিক।

বলতে গেলে আমি একজন ঘর কোনে মানুষ ঘরে থাকাটা আমার কেমন জানি এখন অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও এখন যেহেতু বৃষ্টি বাদলের দিন তাই আমি যেন আরও ঘর কোনে হয়ে পড়েছি। আর বেশিরভাগ আমি আমার স্ক্রিন টাইম এর মাধ্যমে সময়গুলো পার করি যেমন মোবাইল, কম্পিউটার না হলে টিভি এইসব। আমি জানি যে এগুলো আমাদের জন্য ক্ষতিকর তবে কি আর করার আমি যেহেতু একজন প্রোগ্রামার ও ব্লগার সেহেতু আমাকে অবশ্য এসব নিয়ে থাকতে হবে। আর বাকি সময়গুলোতে আমি আমার পরিবারের সদস্যদের সাথে ভালো কিছু সময় পার করার চেষ্টা করি।

IMG_20210818_110613.jpg

ছবিতে যাকে দেখতে পাচ্ছেন সে সম্পর্কে আমার কাজিন হয়। ওর সাথে আমার সময় কাটাতে বেশ ভালো লাগে। সবথেকে ভালো লাগে ওর সাথে দুষ্টামি করতে। আসলে ও খুব অল্পতেই রেগে যাই। আর বাসায় ও এতো দুষ্টামি করে যা বলার মতো না। আর ওর এই দুষ্টুমি গুলো আমাদের বাসাটাকে সবসময়ই জমজমাট করে রাখে। অবশ্য আমরাও ওর ওই বয়সে অনেক দুষ্টামি করেছি। আমাদের ভাইবোনদের মধ্যে নাকি আমি সবথেকে বেশি দুষ্ট ছিলাম। একবার এমন ও হয়েছে যে আমাদের পাশের বাড়ীর এক জনকে মেরে নাক ফাটিয়ে দিয়েছি। এছাড়াও ছোট খাটো অনেক দুষ্টামি করতাম। আর এসবের জন্য আম্মুর কাছে উত্তম-মধ্যম মার ও খেয়েছি অনেক।

IMG_20210818_110606.jpg

IMG_20210818_110529.jpg

তবে আমরা তখনকার সময়ে যেভাবে উন্মুক্ত খোলা পরিবেশ পেয়েছি খেলার জন্য। কিন্তু এই সময়ের ছেলেমেয়েরা সেটা আর পাচ্ছে না। একেতো তারা খেলাধুলার জন্য উন্মুক্ত কোন জায়গা পাচ্ছেনা তারপরে ভাইরাসের কারণে আগে যেতুটুকু বাহিরের যেত এখন আর সেটিরও উপায় নেই। যাইহোক যুগে যুগে সব কিছু পরিবর্তনশীল। আর এটাকে আমাদের মেনে নিতে হবে। একটা জিনিস ভেবে দেখুন এই যুগের বাচ্চারা যতোটা সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে সেটি কিন্তু আমরা পাইনি।

IMG_20210818_110523.jpg

সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।



Support @amarbanglablog by Delegation your Steem Power

100 SP250 SP500 SP1000 SP2000 SP

-cover copy.png

||Community Page|Discord Group||


Sort:  
 3 years ago 

বাচ্চাটি খুব কিউট এবং মনে হচ্ছে ছবি আঁকতে ও বেশ পটু।ধন্যবাদ দাদা।

বর্তমান সময়ের শিশুদের অবস্থা নিয়ে যথার্থ বলেছেন। আমিও আপনার সাথে একমত।

যাই হোক, বাচ্চাটি মনে হচ্ছে বেশ ভালোই আকা-আকি করতে পারে।

প্রথমেই বলি ছবিতে বাচ্চাটাকে খুবই সুন্দর দেখা যাচ্ছে। করোনা নামক অদৃশ্য থাবার থমকে গেছে আমাদের পৃথিবী। ছোট শিশুদের মুখের হাসিগুলো যেন আর আগের মতো নাই। পোষ্টটা অনেক সুন্দর হয়েছপ ভাইয়া। শুভ কামান রইল।

 3 years ago 

আপনার কাজিন অনেক কিউট আসলে আমাকে একটা দীর্ঘ সময় ল্যাপটপের কাটাতে হয় এবং আমার মেয়ে আশে পাশে এসে ঘোরাঘুরি করে। ব্যাপারটা এমন যে বাসায় থাকলে কাজটাও করতে হবে আবার আমার ইচ্ছা নেই যে তাদের হাতে এসব গ্যাজেটগুলো তুলে দেই। তো আমি এসব যথাসম্ভব চেষ্টা করি পরিবারের যারা ছোট সদস্য আছে তাদের থেকে মোবাইল ফোন এবং ল্যাপটপ দূরে রাখতে এবং এটা অনেকাংশেই সম্ভব হয়েছে। এই করোনা পরিস্থিতি আসলে বিষয়টা খুবই দুরূহ কারণ তারা ঘর থেকে বের হতে পারছে না। চমৎকার করে বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ

 3 years ago 

বাচ্চাদের সাথে দুষ্টামি করা অনেক মজার।বিশেষ করে ওদের রাগানো।সুযোগ পেলে আমি এই কাজটি করবই।শেষের দিকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন।এখন সব দালানকোঠার ভিরে হারিয়ে সব খেলার মাঠ ফলে ছোট ছেলেরা অলস হয়ে যাচ্ছে।

 3 years ago 

খুব সুন্দর । বাচ্চাদের এরকম একটা মুহূর্তে সত্যিই অনবদ্য ।দেখে মন ভালো হয়ে গেল। খুব ভালো লাগলো। দারুন ভাইয়া এত ভালো অনুভূতির সাথে বাচ্চাদের ছবি আকার মত নান্দনিক বিষয় তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।

 3 years ago 

ছবির ফলের বাটিটা সেরা দেখতে। রংমিলান্তি।

 3 years ago 

অনেক ভালো লিখেছেন ভাইয়া।ঠিকই বলেছেন আগের দিনগুলো আসলেই অনেক ভালো ছিল। আপনার কাজিনটা অনেক কিউট। ধন্যবাদ আপনাকে।

 3 years ago 

আপনার মতো আমিও আমার কাজিরদের সাথে সময় বের করছি। করোনাকালীন সময়ে তারাই একমাত্র সঙ্গি।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 65733.39
ETH 3506.40
USDT 1.00
SBD 2.51