রয়েল হাটে একদিন।
আজ - ৪ জ্যৈষ্ঠ, | ১৪২৯ , বঙ্গাব্দ | গ্রীষ্মকাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
আসলে গতানুগতিক কিছু খাবার যেমন - চিকেন তান্দুরি, কাচ্ছি, বার্গার , গ্রিল ইত্যাদি ইত্যাদি খেতে যখন আমরা কিছুটা বিরক্ত তখন ভিন্ন কিছু খাওয়ার ইচ্ছা জাগে মনের মাঝে। আসলে আমরা সাধারনত হোটেল রেস্টুরেন্টে গুলো একই ধরনের খাবার গুলো খেয়ে থাকি। তাই সকলে মিলে ঠিক করলাম এই রেষ্টুরেন্টিতে যাব লিভার ফ্রাই এবং ব্রেন ফ্রাই খাওয়ার জন্য।
যেহেতু এই রেষ্টুরেন্টের বেশ সুনাম রয়েছে তাই এখানে প্রচুর মানুষ আসে । আর যেহেতু ঈদের সিজন চলছিল তাই প্রচুর ভিড় ছিল সেখানে। কোন সিট খালি ছিলনা বসার জন্য। আর আমরা প্রায় বিশ মিনিটের মতো অপেক্ষা করার পর একটি টেবিল খালি পেয়েছি। আসলে ওখানে এত ভিড় ছিল যে আমরা ভেবেছিলাম ওখানে আর আমাদের খাওয়া হবে না।যাই হোক অবশেষে আমরা সিট পেয়ে তিন বন্ধু বসে পড়লাম। এরপর ওয়েটারকে ডেকে আমরা লিভার ফ্রাই এবং ব্রেন ফ্রাই অর্ডার দিলাম। এখানেই এই দুইটি খাবার খুবই বিখ্যাত। আমি তো এই রেস্টুরেন্টে আসি শুধুমাত্র এই লিভার ফ্রাই এবং ব্রেন ফ্রাই খাওয়ার জন্য। আমার জানামতে আর কোথাও এত ভালো লিভার ফ্রাই এবং ব্রেন ফ্রাই পাওয়া যায় কিনা সন্দেহ আছে। যাই হোক আমরা অর্ডার দেওয়ার কিছুক্ষণ পর ওয়েটার এসে আমাদের জানাই যে, এই মুহূর্তে ব্রেন ফ্রাই তাদের কাছে নেই শেষ হয়ে গেছে। এবার কি আর করার তাই শুধুমাত্র লিভার ফ্রাই আর নান ছিল আমাদের মেনুতে। যাই হোক, দশ মিনিট পর ওয়েটার এসে আমাদের খাবার দিয়ে যায়।
আসলে, আমি কোলাহলমুক্ত জায়গাগুলোতে ফটোগ্রাফি করতে তেমন একটা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি না। তাই তেমন একটা বেশি ফটোগ্রাফি করতে পারেনি। মাত্র কয়েকটি ফটোগ্রাফি করেছে। কিন্তু আমার ইচ্ছে ছিল রেস্টুরেন্ট সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করার।
যাই হোক খাওয়া দাওয়া সেরে একটু হাঁটতে বের হয়। রেস্টুরেন্টে আশেপাশে সুন্দর কিছু জায়গা রয়েছে যেমন শিশু পার্ক, পাঁচ তারকা হোটেল রেডিসন ব্লু (যেটি চট্টগ্রামের বড় নামকরা হোটেল গুলোর মধ্যে অন্যতম)। আর আমি এই কিছুর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় কিছু ফটোগ্রাফি করেনি আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য । এরপর কিছুক্ষন ঘুরেফিরে সন্ধ্যার পরপরই আমি বাসায় ফিরে আসি।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
রয়েল হাটের লিভার ফ্রাইটা একদম পছন্দ না আমার।কেমন যেনো তিতা তিতা লাগে আমার কাছে।আগে নিয়মিত যেতাম,কয়েকমাস একদম যাওয়া হয়নি।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
লিভার ফ্রাই আর ব্রেন ফ্রাই কখনো খাইনি। আর রেস্টুরেন্টের ভিড় দেখেতো আমি অবাক😲। যাইহোক ব্রেন ফ্রাই এর ছবিটা আর দেখতে পেলামনাহ। আর চট্টগ্রাম শিশু পার্কটি বাহির থেকে দেখতে বেশ সুন্দর দেখাচ্ছে।
ভাইয়া আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে রেস্টুরেন্টে গিয়েছেন এবং খাওয়া-দাওয়া করেছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। আসলে কর্মব্যস্ত জীবনে সবাই যে যার মতো ব্যস্ত থাকে। তাই বন্ধুদের সাথে দেখা করার খুব একটা সময় হয়ে ওঠে না। আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে দেখা করে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন এবং সেই মুহূর্ত আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। রেস্টুরেন্টের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মনে হচ্ছে রেস্টুরেন্টটি অনেক উন্নত। অনেক সুন্দর ভাবে আপনার কাটানো মুহূর্ত আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।❤️❤️
আপনিও অনেক দারুন একটি সময় কাটিয়েছেন ভাইয়া ।রয়েল হাট রেস্টুরেন্টে সত্যিই অনেক সুন্দর। এমন জাঁকজমকপূর্ণ রেস্টুরেন্টে খেতে তো মজা লাগবে। আসলে আপনি ঠিক বলেছেন পিজা বার্গার থেকে শুরু করে এগুলো খেতে খেতে আমাদের মাঝে মাঝে এমন বিরক্তি আসে আর খেতে ইচ্ছা করে না তখন আমরা চাই ভিন্ন কিছু স্বাদ নিতে। চট্টগ্রাম শিশু পার্ক অনেক সুন্দর। চট্টগ্রামের মতো ঢাকাতে হোটেল রেডিসন আছে দুটোই অনেক বিখ্যাত। এত সুন্দর ভাবে আপনার কাটানো দিন আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
লিভার ফ্রাই ও ব্রেইন ফ্রাই, সাধারণত রেস্টুরেন্টে দেখা যায় না,এই ম্যনু গুলো।যাই হোক স্কুলের বন্ধুদের সাথে ভালো সময় কাটিয়েছেন।ব্রেন ফ্রাই পেলে আরো মজা করে খেতে পারতেন।ধন্যবাদ
বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে মাঝে মাঝে এমন গেট টুগেদার করতে পারলে ভালোই লাগে। আসলেই খাবার দুটি খুবই আনকমন ছিল। আমি আজ পর্যন্ত কখনো মগজ ভাজা খাইনি। ভেবেছিলাম আপনার পোস্টে দেখতে পাবো। দুর্ভাগ্য যে আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। যাই হোক সুন্দর একটি পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
Hi @moh.arif,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
রয়েল হাট, নামটি দেখে চোখ আমার কপালে উঠে গেল। অনেকদিন যাওয়া হয়না ওদিকে, তবে আমার সবচেয়ে প্রিয় শহর গুলোর মধ্য চট্টগ্রাম ছিল একটি। আমি বেশ কয়েক বছর কাটিয়েছি চট্টগ্রাম ষোলশহর 2 নম্বর গেট। তবে আপনার বিস্তারিত পড়ে খুব আফসোস হচ্ছে যদি আমি থাকতাম হয়তো আমারও বন্ধুবান্ধব নিয়ে দু একবার যাওয়া হতো। তবে সবচেয়ে বেশি খারাপ লাগছে হোটেল রেডিসনের ফটোগ্রাফি দেখে। যদি আমি ছোট মানুষ তবে হোটেল রেডিসনে আমার প্রায় ৬/৭ যাওয়া হয়েছিল। ওখানকার পরিবেশ একটু ভিন্ন রকমের। যাই হোক আর ওদিকে যাচ্ছি না। তবে আপনাদের খাওয়ার মেন্যু গুলো ছিল সম্পূর্ণ আলাদা এবং তবে ভাগ্য নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হল খুব মিস করছি। আপনার এত সুন্দর একটি মুহূর্ত আর পুরনো স্কুল জীবনের বন্ধুদের পেলে আনন্দ একটু বেশি হয়। সবাই মনে হয় যেন অন্তরঙ্গ একটি সম্পর্ক। আমাদের সাথে এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য, আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম ভাইয়া।
আমরা একটা জিনিষ খুব ভাবায়,এবং মনে হলে উদাস হয়ে জাই।এই যে বন্ধু গুলো আগে রাত পোহালেই তাদের মুখ গুলো দেখতে হতো।অথচ সোমবার পরিক্রমায় আজ চাইলেও তাদের সাক্ষাৎ পাওয়া যায় না।যাইহোক ভালো ছিল মিট আপ এর গল্প গুলো।আর ফটোগ্রাফি গুলো কিন্তু দারুন লেগেছে আমার😍