বিমান জাদুঘরে একদিন।

বেশ কিছুদিন আগে একটি কাজের জন্য ঢাকায় যাওয়া হয়েছিল । ঢাকায় গিয়ে উঠেছিলাম আত্মীয়র এক বাসায়। এটা আগারগাঁওয়ে অবস্থিত ছিল । যে কাজের জন্য গিয়েছিলাম ওই কাজটি মোটামুটি এক দিনেই সম্পন্ন হয়ে গিয়েছিল। কাজ শেষ হওয়াতে কিছুটা স্বস্তি বোধ করলাম এবং পরের দিন চিন্তা করলাম আগারগাঁও এর আশেপাশে কিছু এলাকা ঘুরে দেখব।ঢাকায় বসবাস না করাই ওখানকার এলাকাগুলো আমি। খুব একটা ভালোভাবে চেনা জানা নেই আমার।

ওই সময় খুবই আলোচিত একটি বিষয় ছিল মেট্রোরেল, তো শুরুতেই চিন্তা করলাম মেট্রো রেল স্টেশন যেহেতু শুরু হয়েছে মেট্রোরেলে উঠা যায় কিনা। আগারগাঁও মেট্রো রেল স্টেশনটি আমার ওই আত্মীয়র বাসা থেকে পাঁচ মিনিটের দূরত্বে অবস্থিত। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমি ভালোভাবে খোঁজ নিয়ে যাই নি, যার কারণে জানতে পারিনি যে মেট্রোরেল শুধুমাত্র দুপুর ১২ টা পর্যন্ত চলে। যেহেতু আমি বিকালে বের হয়েছিলাম তাই মেট্রলে উঠা আমার পক্ষে আর সম্ভব হয়নি। তবে খুব ইচ্ছা ছিল বাংলাদেশের প্রথম বারের মতো চালু হওয়া মেট্রোরেলে একটু ভ্রমন করার।

যাই হোক মেট্রোলে যেহেতু চড়া হয়নি তাই চিন্তা করলাম আশেপাশে আর কোথায় ঘুরা যায়। আগারগাও মেট্রো স্টেশন এর পাশে দেখলাম বিমান বাহিনী জাদুঘর । তাই চিন্তা করলাম ওখান থেকে ঘুরে আসা যাক।

শুরুতেই কাউন্টার থেকে টিকিট কেটে নিলাম । টিকিটের মূল্যটা ঠিক কত টাকা ছিল তা এই মুহূর্তে আমার মনে পড়ছে না। তবে সম্ভবত ৫০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে ছিল। যাইহোক, জাদুঘরে ঢুকতে ঢুকতে তখন প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল।

জাদুঘরের বাহিরে দিকটা দেখে আমি প্রথমে ভেবেছিলাম ছোটখাটো একটি পরিসরের মধ্যে এটি তৈরি করা হয়েছে । কিন্তু পরবর্তীতে জাদুঘরের ভেতরে প্রবেশ করার পর বুঝতে পারলাম এটি আয়তনের দিক থেকে বেশ বড় । এবং এই জাদুঘরটি বিশাল একটা জায়গা জুড়ে অবস্থিত এবং এখানে একটি ছোটখাটো বিনোদন কেন্দ্র ও আছে।

জাদুঘরের শুরুতে অনেকগুলা বিমান সাজানো, পুরাতন যুদ্ধবিমান গুলো একে একে সাজিয়ে রাখা হয়েছে । আর একবার শেষ প্রান্তে আলাদাভাবে একটি শিশু পার্কের মত ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, সেখানে শিশুদের বিনোদনের জন্য অনেকগুলো সরঞ্জাম রয়েছে। সেখানে নাগরদোলা থেকে শুরু করে ট্রেন রেসিং কার, সব কিছু রাখা হয়েছে শিশুদের বিনোদনের জন্য।