আমাদের সমাজটা আজ কোথায়।
আজ- ৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, হেমন্তকাল
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে আমরা সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে বিভিন্ন ধরনের খবরাখবর আমাদের চোখের সামনে ভেসে আসে। সেই সকল হৃদয়বিদারক ঘটনা গুলো যখন দেখি তখন মনে হয় যেন আমরা এই কোন সমাজে বসবাস করছি যেখানে কিনা একজন সন্তান সজ্ঞানে তার মাকে খুন করতে পারে।
কিছুদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়াতে 'সাদ' নামক সেই ছেলে কথাটা আমরা নিশ্চয়ই শুনেছি। যে কিনা সামান্য কিছু টাকার জন্য নিজের আপন মাকে খুন করে ডিপ ফ্রিজে ভরে রাখতে পারে। এবং পরবর্তীতে নিজের দোষ ঢাকতে ঘরে ডাকাতি হয়েছে এমন বানোয়াট কথা সকলকে ছড়িয়ে দিয়ে আইনের কাছে আশ্রয় চাই। কতটা নির্মম, নির্দয় হলে সন্তান এমন একটি কাজ করতে পারে । সেটাই আপনারা একটু ভেবে দেখেন। সত্যি বলতে যখন কিনা এই ঘটনাটি চোখের সামনে আসলো তখন যেন কথা বলা সে শব্দে হারিয়ে ফেলেছি। মনে হলে আমরা এই কোন সমাজে বসবাস করছি যেখানে জীবনের সবথেকে কাছের আপন মানুষটাও এভাবে অনিরাপদ থাকতে পারে।
একটা সন্তান তার মায়ের কাছে সব থেকে বেশি নিরাপদ এমন ঠিক একই ভাবে সন্তানরা যখন বড় হয় তখনো মা-বাবারা তার সন্তানের কাছে নিরাপদ থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এই ঘটনাটা যেন উল্টা চিত্র। নিজের আপন ছেলের হাতে খুন হয়েছে ঘটনাটা সত্যিই কি একজন সুস্থ মানুষের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব।
এমন অনেক ঘটনা আমরা চারপাশে প্রতিনিয়ত ঘটছে এবং দেখছি। যেখানে কিনা একজন সন্তান তার বৃদ্ধ মা-বাবাকে বাঁচাতে তার জীবনের সর্বোচ্চ টুকু দিতেও প্রস্তুত থাকে। এমনকি নিজের জীবন দিয়ে হলেও চেষ্টা করে তাদের জীবন বাঁচাতে। কিন্তু সমাজের এই দুই একটা ঘটনা যেন সমাজের বিপরীত একটি চিত্র প্রকাশ করে।
আসলে, আমাদের আশেপাশে কিংবা পরিবার-পরিজনের মধ্যে এমন অনেক ঘটনা কিন্তু ঘটে যেগুলো ঘটার নয় যা ব্যতিক্রম । কিন্তু এই সকল ঘটনাগুলোর পিছনে কি পরিবারের শিক্ষায় কিংবা সমাজ ব্যবস্থায় দায়। কোন পরিবার কিংবা সমাজ কিন্তু চাই না তার সন্তানটা খারাপ হোক কিংবা তার সন্তান বিফলে যাক। কিন্তু এত কিছুর পরেও পারিবারিক শিক্ষা এবং সমাজব্যবস্থা কিন্তু একজন মানুষকে খারাপ করে তুলতে বাধ্য করে। কেননা একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ কখনো এত বড় জঘন্য কাজ করতে পারে বলে আমি মনে করি না।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
বলার মত কোন ভাষা নেই ভাইয়া এই সাদ ছেলেটার কাণ্ডকর্ম দেখে। কি এক আজব সমাজে এসে পৌঁছেছি আমরা, সন্তানের কাছে মা আজ অনিরাপদ। এক হৃদয়বিদারক ঘটনা। এরকম অমানুষিক কুলাঙ্গার এবং চরিত্রহীন সন্তানগুলো কখনোই স্রষ্টার কাছে ভালো কিছু পাবে না। তাদের জীবন ধুলিস্যাৎ হয়ে যাবে। আমি গভীরভাবে প্রার্থনা করছি এরকম ঘটনা যেন আর কখনো আমাদের ধরায় না ঘটে। সমসাময়িক একটি বিষয়কে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
ব্যাপারটা জেনে সত্যিই খারাপ লাগলো ভাই। সাদ নামক ছেলেটার চরম শাস্তি হওয়া দরকার। মাঝেমধ্যে শোনা যায়, ছেলে নিজেই মা বাবাকে মারধর করে বাসা থেকে বের করে দিয়েছে। এসব শুনলে ভীষণ খারাপ লাগে। আসলে এখনকার কিছু কিছু মানুষ একেবারে পাষাণ। যাইহোক সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক সেই কামনা করছি।
পুলিশ প্রথমে সন্দেহ করেছিল ঐ ছেলেটাই তার মা কে খুন করেছে। কিন্তু গতকাল আসল সত্যটা বের হয়েছে। ঐ ছেলে না তার মা কে খুন করেছে ভাড়াটিয়া রা। এবং ছেলেটা পুরো নির্দোষ। গতকাল এটা দেখলাম আমি। আমাদের দেশের মানুষ সাংবাদিক কোন কিছু যাচাইবাছাই না করেই একজনের উপর দোষ চাপিয়ে দিতে উস্তাদ।
এই ঘটনাটি যখন দেখলাম তখন দেখে গা শিউরে উঠেছে। আসলেই বাবা-মার কাছে একটি সন্তান যেমন নিরাপদ ঠিক তেমনি মা-বাবাদের যখন একটু বয়স হয় তখন সন্তানের কাছে তারা নিরাপদে থাকে। এমন সন্তান যেন কারো না হয় এই দোয়াই করি আর এমন ঘটনা যেন না ঘটে। পৃথিবীর প্রত্যেকটি বাবা-মা তাদের সন্তানের আদর যত্নের ভালো থাকুক এটাই প্রার্থনা করি।ধন্যবাদ ভাই পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।